alt

opinion » editorial

পুঁজিবাজারে কারসাজি বন্ধে বিএসইসিকে কঠোর হতে হবে

: শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১

নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে দেশের পুঁজিবাজার। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এক পর্যায়ে ৬ হাজার ১১৩ পয়েন্টে পৌঁছায়। দিন শেষে সূচক ৬ হাজার ৬৬ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা গত ৪০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সূচকের সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে। গত রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকার বেশি। ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বরের পর এটাই সর্বোচ্চ লেনদেন। ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বরে প্রায় ২ হাজার ৭১১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।

২০১০ সালের ভয়াবহ ধসের পর পুঁজিবাজার আবার চাঙা হয়েছে। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নেতৃত্বে (বিএসইসি) পরিবর্তন এসেছে। তারল্য সংকট নেই। ছোট-বড় বিনিয়োগকারীরা বাজারে ভিড় করছেন। কালোটাকা ঢুকেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে। কাজেই পুঁজিবাজার বাড়ছে, সূচক আর লেনদেনে হচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ড। এমন বাজারই দীর্ঘদিন ধরে সবাই প্রত্যাশা করে আসছেন। তবে পুঁজিবাজারের কিছু কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। দর এতটাই বেড়েছে যে এসব কোম্পানির মালিক-ব্যবস্থাপকদের চোখই ছানাবড়া হয়ে গেছে। তারা বলছেন, ‘আমরা এমন কোন সোনার খনি, রূপার খনি বা হীরার খনি পাই নাই, যে আমাদের শেয়ারদর এমন বাড়ছে।’

প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেছেন এই কথা। কারণ এক বছর আগেও বিমা কোম্পানিটির শেয়ারের দাম গত বছর ১৮ মার্চ ১৬.৩০ টাকা পর্যন্ত নেমেছিল। চলতি বছর ৩১ মে এর দর একপর্যায়ে ২০৫ টাকায় পৌঁছায়। ১৪ মাসের কিছু বেশি সময়ে এর দর বেড়েছে ১২৫৭ শতাংশেরও বেশি। শুধু এই একটি কোম্পানিই নয়, সব বীমা কোম্পানিরই দর বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এগুলোর সঙ্গে কিছু জাঙ্ক কোম্পানিও রয়েছে যাদের দর বেড়েছে হু হু করে।

সব দেশের পুঁজিবাজারেই কমবেশি কারসাজির ঘটনা ঘটে। বাজার চাঙা হলে কারসাজি বেড়ে যায়। ছোট মূলধনি কোম্পানি নিয়েই বেশি কারসাজি হয়। বীমা খাতসহ কিছু কিছু কোম্পানিতে যে কারসাজি হচ্ছে সেটা বিশেষজ্ঞরা যেমন বলছেন, সাধারণ মানুষও তেমন বুঝতে পারছে। প্রশ্ন হচ্ছে কারসাজি বন্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা স্টক এক্সচেঞ্জগুলো কী করছে।

পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে বিএসইসির অঙ্গীকার রয়েছে। কমিশনের বর্তমান নেতৃত্ব বেশ কিছু ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে। যে কারণে পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা তুঙ্গে পৌঁছেছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে হলে কমিশনকে সব ধরনের কারসাজি কঠোরভাবে দমন করতে হবে। বিএসইসি দাবি করে, তাদের নজরদারি ব্যবস্থা অতীতের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত। আমরা জানতে চাইব, তাদের সার্ভিল্যান্স বিভাগ কোন কারসাজি ধরতে পারছে কিনা। ধরতে পারলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা।

২০১০ সালের ধসে বহু মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। সর্বস্ব হারানোদের কেউ কেউ আত্মহত্যাও করেছে। কিন্তু সেই ধসের নেপথ্যের কারিগরদের বিচার হয়নি। আমরা চাই না, কমিশনের কোন দুর্বলতায় পুঁজিবাজারে আবারও কোন বিপর্যয় দেখা দিক। সেজন্য যেকোন মূল্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাজারের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষ যথাযথভাবে আইনকানুন মেনে চলছে কি না সেটা নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। কেউ আইনের ব্যত্যয় ঘটালে, কোন কারসাজি করলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। বাজার যেন হরিলুটের আড্ডাখানায় পরিণত না হয় সে বিষয়ে এখনি সতর্ক হতে হবে। স্বার্থান্বেষী কিছু লোকের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক, পুঁজিবাজর মুখ থুবড়ে পড়–ক সেটা আমরা চাই না।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

পুঁজিবাজারে কারসাজি বন্ধে বিএসইসিকে কঠোর হতে হবে

শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১

নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে দেশের পুঁজিবাজার। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এক পর্যায়ে ৬ হাজার ১১৩ পয়েন্টে পৌঁছায়। দিন শেষে সূচক ৬ হাজার ৬৬ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা গত ৪০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সূচকের সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে। গত রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকার বেশি। ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বরের পর এটাই সর্বোচ্চ লেনদেন। ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বরে প্রায় ২ হাজার ৭১১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।

২০১০ সালের ভয়াবহ ধসের পর পুঁজিবাজার আবার চাঙা হয়েছে। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নেতৃত্বে (বিএসইসি) পরিবর্তন এসেছে। তারল্য সংকট নেই। ছোট-বড় বিনিয়োগকারীরা বাজারে ভিড় করছেন। কালোটাকা ঢুকেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে। কাজেই পুঁজিবাজার বাড়ছে, সূচক আর লেনদেনে হচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ড। এমন বাজারই দীর্ঘদিন ধরে সবাই প্রত্যাশা করে আসছেন। তবে পুঁজিবাজারের কিছু কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। দর এতটাই বেড়েছে যে এসব কোম্পানির মালিক-ব্যবস্থাপকদের চোখই ছানাবড়া হয়ে গেছে। তারা বলছেন, ‘আমরা এমন কোন সোনার খনি, রূপার খনি বা হীরার খনি পাই নাই, যে আমাদের শেয়ারদর এমন বাড়ছে।’

প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেছেন এই কথা। কারণ এক বছর আগেও বিমা কোম্পানিটির শেয়ারের দাম গত বছর ১৮ মার্চ ১৬.৩০ টাকা পর্যন্ত নেমেছিল। চলতি বছর ৩১ মে এর দর একপর্যায়ে ২০৫ টাকায় পৌঁছায়। ১৪ মাসের কিছু বেশি সময়ে এর দর বেড়েছে ১২৫৭ শতাংশেরও বেশি। শুধু এই একটি কোম্পানিই নয়, সব বীমা কোম্পানিরই দর বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এগুলোর সঙ্গে কিছু জাঙ্ক কোম্পানিও রয়েছে যাদের দর বেড়েছে হু হু করে।

সব দেশের পুঁজিবাজারেই কমবেশি কারসাজির ঘটনা ঘটে। বাজার চাঙা হলে কারসাজি বেড়ে যায়। ছোট মূলধনি কোম্পানি নিয়েই বেশি কারসাজি হয়। বীমা খাতসহ কিছু কিছু কোম্পানিতে যে কারসাজি হচ্ছে সেটা বিশেষজ্ঞরা যেমন বলছেন, সাধারণ মানুষও তেমন বুঝতে পারছে। প্রশ্ন হচ্ছে কারসাজি বন্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা স্টক এক্সচেঞ্জগুলো কী করছে।

পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে বিএসইসির অঙ্গীকার রয়েছে। কমিশনের বর্তমান নেতৃত্ব বেশ কিছু ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে। যে কারণে পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা তুঙ্গে পৌঁছেছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে হলে কমিশনকে সব ধরনের কারসাজি কঠোরভাবে দমন করতে হবে। বিএসইসি দাবি করে, তাদের নজরদারি ব্যবস্থা অতীতের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত। আমরা জানতে চাইব, তাদের সার্ভিল্যান্স বিভাগ কোন কারসাজি ধরতে পারছে কিনা। ধরতে পারলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা।

২০১০ সালের ধসে বহু মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। সর্বস্ব হারানোদের কেউ কেউ আত্মহত্যাও করেছে। কিন্তু সেই ধসের নেপথ্যের কারিগরদের বিচার হয়নি। আমরা চাই না, কমিশনের কোন দুর্বলতায় পুঁজিবাজারে আবারও কোন বিপর্যয় দেখা দিক। সেজন্য যেকোন মূল্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাজারের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষ যথাযথভাবে আইনকানুন মেনে চলছে কি না সেটা নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। কেউ আইনের ব্যত্যয় ঘটালে, কোন কারসাজি করলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। বাজার যেন হরিলুটের আড্ডাখানায় পরিণত না হয় সে বিষয়ে এখনি সতর্ক হতে হবে। স্বার্থান্বেষী কিছু লোকের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক, পুঁজিবাজর মুখ থুবড়ে পড়–ক সেটা আমরা চাই না।

back to top