alt

opinion » editorial

সুন্দরবনের বিস্তৃতি প্রসঙ্গে

: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুন্দরবনের আয়তন বাড়ছে। বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। বনে কার্বনের মজুদ বাড়ার কথাও তিনি বলেছেন। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে করা বাঘশুমারি অনুযায়ী, ২০১৫ সালে সুন্দরবনে বাঘ ছিল ১০৬টি এবং ২০১৮ সালে এর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৪টি। ২০০৯ সালে সুন্দরবন কার্বন মজুদের পরিমাণ ছিল ১০৬ মিলিয়ন টন, সেটা ২০১৯ সালে ১৩৯ মিলিয়ন টন হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য নানান কারণেই সংকুচিত হয়ে পড়েছে বলে এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে। ১৭৭৬ সালে বাংলাদেশ অংশে সুন্দরবনের আয়তন ছিল ১১ হাজার ২৫৮ বর্গকিলোমিটার। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ট্রাস্টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) ২০১৬ সালে করা এক গবেষণায় দেখেছে, গত ২৪০ বছরে বনের আয়তন কমে হয়েছে ৬ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও কম।

বনের যেমন আয়তন কমেছে, তেমন কমেছে বাঘের সংখ্যা। ২০১০ সালে বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশের করা এক যৌথ জরিপে বলা হয়েছিল, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৪৫০ আর ২০১৮তে সংখ্যাটি হয়েছে ১১৪। ২০১৭ সালে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা তিন লাখ ১৭ হাজার ৯০০ হেক্টরে উন্নীত করা হয়েছে। এর আগে অভয়ারণ্যের আয়তন ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৭০০ হেক্টর। দ্বিগুণেরও বেশি আয়তন বাড়িয়ে বাঘের সংখ্যায় লক্ষ্যযোগ্য পরিবর্তন ঘটানো যায়নি। বাঘ বাড়াতে হলে এখনও অনেক কাজ করতে হবে।

বনের আয়তন বাড়ানোর জন্য সরকার কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ তৈরি করছে। সুন্দরবনের বিস্তৃতি ঘটলে পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য উপকৃত হবে কিন্তু বনের চারপাশে শিল্প কারখানা স্থাপন বন্ধ করা না গেলে বন ও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করা কঠিন হবে। যে কোন কাজে সুন্দরবন রক্ষার বিষয়টি অগ্রগণ্য করতে হবে। বন রক্ষা পেলে এর জীববৈচিত্র্য আপনা থেকেই রক্ষা পাবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

সুন্দরবনের বিস্তৃতি প্রসঙ্গে

বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুন্দরবনের আয়তন বাড়ছে। বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। বনে কার্বনের মজুদ বাড়ার কথাও তিনি বলেছেন। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে করা বাঘশুমারি অনুযায়ী, ২০১৫ সালে সুন্দরবনে বাঘ ছিল ১০৬টি এবং ২০১৮ সালে এর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৪টি। ২০০৯ সালে সুন্দরবন কার্বন মজুদের পরিমাণ ছিল ১০৬ মিলিয়ন টন, সেটা ২০১৯ সালে ১৩৯ মিলিয়ন টন হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য নানান কারণেই সংকুচিত হয়ে পড়েছে বলে এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে। ১৭৭৬ সালে বাংলাদেশ অংশে সুন্দরবনের আয়তন ছিল ১১ হাজার ২৫৮ বর্গকিলোমিটার। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ট্রাস্টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) ২০১৬ সালে করা এক গবেষণায় দেখেছে, গত ২৪০ বছরে বনের আয়তন কমে হয়েছে ৬ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও কম।

বনের যেমন আয়তন কমেছে, তেমন কমেছে বাঘের সংখ্যা। ২০১০ সালে বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশের করা এক যৌথ জরিপে বলা হয়েছিল, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৪৫০ আর ২০১৮তে সংখ্যাটি হয়েছে ১১৪। ২০১৭ সালে সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা তিন লাখ ১৭ হাজার ৯০০ হেক্টরে উন্নীত করা হয়েছে। এর আগে অভয়ারণ্যের আয়তন ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৭০০ হেক্টর। দ্বিগুণেরও বেশি আয়তন বাড়িয়ে বাঘের সংখ্যায় লক্ষ্যযোগ্য পরিবর্তন ঘটানো যায়নি। বাঘ বাড়াতে হলে এখনও অনেক কাজ করতে হবে।

বনের আয়তন বাড়ানোর জন্য সরকার কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ তৈরি করছে। সুন্দরবনের বিস্তৃতি ঘটলে পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য উপকৃত হবে কিন্তু বনের চারপাশে শিল্প কারখানা স্থাপন বন্ধ করা না গেলে বন ও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করা কঠিন হবে। যে কোন কাজে সুন্দরবন রক্ষার বিষয়টি অগ্রগণ্য করতে হবে। বন রক্ষা পেলে এর জীববৈচিত্র্য আপনা থেকেই রক্ষা পাবে।

back to top