alt

opinion » editorial

শিশুটিকে হত্যা করল কে

: শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আসামিরা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কাক্সিক্ষত বিচার না পাওয়া শিশুটির পরিবার নিরাপত্তার অভাবে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। শিশুটি ও তার পরিবারের করুণ পরিণতি মেনে নিতে না পারা বিক্ষুব্ধ মানুষ ধর্ষণ আর হত্যার বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন।

২০১৯ সালের ৪ মার্চ যশোরের শিশু আফরিন তৃষা কথার (৮) বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশু ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলার ভিত্তিতে আটক করা সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ স্বীকার করে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। মামলার তদন্তে জানা যায়, শামীম নামক এক ব্যক্তিকে মাদক সেবনে বাধা দেয়া এবং ইজিবাইকে ওঠা নিয়ে শিশুটির বাবার সঙ্গে বিরোধের জেরে উক্ত ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। প্রধান সন্দেহভাজন শামীম কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। তদন্ত শেষে দুই আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়। আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতে হাজির করা সাক্ষ্য-প্রমাণে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি উঠে এসেছিল। কিন্তু মামলার চূড়ান্ত রায়ে আসামিরা বেকসুর খালাস পেয়েছে। এ রায়ে বাদী, সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এবং স্থানীয় মানুষ ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত হয়েছেন।

শিশু তৃষা যে হত্যার শিকার হয়েছে সেটা নিয়ে আইনি বিচারের কোন স্তরে সংশয় দেখা দিয়েছে বলে জানা যায় না। হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করার বিষয়টি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেই প্রকাশ পেয়েছে। শিশুটির এমন করুণ পরিণতির জন্য কারও না কারও দায় নিশ্চয়ই রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, মামলার অভিযুক্ত আসামিরা যদি নির্দোষ হয় তাহলে শিশুটিকে কে বা কারা ধর্ষণ ও হত্যা করল। কারা শিশুটির পরিবারকে এলাকাছাড়া করল সেই প্রশ্নের উত্তরও জানা জরুরি। তৃষা হত্যার বিচার প্রক্রিয়ার কোন স্তরে কোন গলদ ছিল কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। এসব প্রশ্নের উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

শিশুটিকে হত্যা করল কে

শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আসামিরা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কাক্সিক্ষত বিচার না পাওয়া শিশুটির পরিবার নিরাপত্তার অভাবে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। শিশুটি ও তার পরিবারের করুণ পরিণতি মেনে নিতে না পারা বিক্ষুব্ধ মানুষ ধর্ষণ আর হত্যার বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন।

২০১৯ সালের ৪ মার্চ যশোরের শিশু আফরিন তৃষা কথার (৮) বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশু ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলার ভিত্তিতে আটক করা সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ স্বীকার করে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। মামলার তদন্তে জানা যায়, শামীম নামক এক ব্যক্তিকে মাদক সেবনে বাধা দেয়া এবং ইজিবাইকে ওঠা নিয়ে শিশুটির বাবার সঙ্গে বিরোধের জেরে উক্ত ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। প্রধান সন্দেহভাজন শামীম কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। তদন্ত শেষে দুই আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়। আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতে হাজির করা সাক্ষ্য-প্রমাণে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি উঠে এসেছিল। কিন্তু মামলার চূড়ান্ত রায়ে আসামিরা বেকসুর খালাস পেয়েছে। এ রায়ে বাদী, সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এবং স্থানীয় মানুষ ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত হয়েছেন।

শিশু তৃষা যে হত্যার শিকার হয়েছে সেটা নিয়ে আইনি বিচারের কোন স্তরে সংশয় দেখা দিয়েছে বলে জানা যায় না। হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করার বিষয়টি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেই প্রকাশ পেয়েছে। শিশুটির এমন করুণ পরিণতির জন্য কারও না কারও দায় নিশ্চয়ই রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, মামলার অভিযুক্ত আসামিরা যদি নির্দোষ হয় তাহলে শিশুটিকে কে বা কারা ধর্ষণ ও হত্যা করল। কারা শিশুটির পরিবারকে এলাকাছাড়া করল সেই প্রশ্নের উত্তরও জানা জরুরি। তৃষা হত্যার বিচার প্রক্রিয়ার কোন স্তরে কোন গলদ ছিল কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। এসব প্রশ্নের উত্তর কি মিলবে?

back to top