alt

opinion » editorial

সাইবার বুলিং প্রতিরোধে আইনের প্রয়োগ ও সচেতনতা জরুরি

: শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের জীবনের নানা ক্ষেত্রে লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে। মানুষে মানুষে যোগাযোগ অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে সহজ ও সাবলীল হওয়া তারই একটি উদাহরণ। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যোগাযোগের বিশ্বকে করেছে বিস্তৃত। চেনা-অচেনার ভেদরেখাও যেন উঠে গেছে।

সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষের জীবনে যেমন নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে, তেমন কিছু সমস্যাও দেখা দিয়েছে। একজনের ছবি বা ভিডিও অনলাইনে বিকৃত করা, একজন অন্যজনকে হেয় প্রতিপন্ন করার মতো সাইবার বুলিং এখন বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাইবার বুলিংয়ের শিকার মানুষ হতাশায় ভোগেন। হতাশাগ্রস্ত কেউ কেউ আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়।

‘স্টপ সাইবার বুলিং ডে’ ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৬০ ভাগ অনলাইন বুলিং বা হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী, শিশু এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী। করোনার সংক্রমণের পর থেকে গত দেড় বছরে দেশে সাইবার বুলিং বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্যই বেশি সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে তাদের অনলাইনে বিপদে পড়ার আশঙ্কাটাও বাড়ছে।

সাইবার বুলিং একটি বৈশ্বিক সংকট। এ সংকট থেকে সবার নিরাপদ থাকা জরুরি। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছরের জুন মাসের তৃতীয় শুক্রবার ‘স্টপ সাইবার বুলিং ডে’ পালন করা হচ্ছে।

সাইবার বুলিংয়ের মতো সমস্যার কারণে অনলাইন ব্যবহারকারীরা যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দায়ী নয়। বরং সাইবার জগতের অপব্যবহারকারীই এজন্য দায়ী। প্রযুক্তিকে দূরে সরিয়ে বা এর ব্যবহার সীমিত করে এ থেকে পরিত্রাণ মিলবে না।

ইন্টারনেটের অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াটা জরুরি। কেউ সাইবার বুলিং করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। হয়রানির শিকার মানুষ যেন আইনের আশ্রয় পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এক জরিপে দেখা গেছে, দেশে যারা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হন তাদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ হয়রানির ভয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যান না। আবার যারা গিয়ে থাকেন তাদের মধ্যে ৭২ শতাংশ অভিযোগকারী প্রত্যাশা অনুযায়ী বিচার পান না। আইন প্রয়োগ করতে হবে ডিজিটাল জগতকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে। কেবল সরকারবিরোধী মতকে দমন করা আইনের লক্ষ্য হলে বুলিং করা সাইবার অপরাধীরা অন্যায় উৎসাহ পাবে।

নাগরিকদের অনলাইনে সুরক্ষা দিতে সরকারকে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। অনলাইনে নিরাপদ থাকার কৌশলগুলো মানুষকে জানাতে হবে। এজন্য নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাতে হবে। পাঠ্যসূচিতে নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

সাইবার বুলিং প্রতিরোধে আইনের প্রয়োগ ও সচেতনতা জরুরি

শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের জীবনের নানা ক্ষেত্রে লক্ষণীয় উন্নতি হয়েছে। মানুষে মানুষে যোগাযোগ অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে সহজ ও সাবলীল হওয়া তারই একটি উদাহরণ। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যোগাযোগের বিশ্বকে করেছে বিস্তৃত। চেনা-অচেনার ভেদরেখাও যেন উঠে গেছে।

সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষের জীবনে যেমন নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে, তেমন কিছু সমস্যাও দেখা দিয়েছে। একজনের ছবি বা ভিডিও অনলাইনে বিকৃত করা, একজন অন্যজনকে হেয় প্রতিপন্ন করার মতো সাইবার বুলিং এখন বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাইবার বুলিংয়ের শিকার মানুষ হতাশায় ভোগেন। হতাশাগ্রস্ত কেউ কেউ আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়।

‘স্টপ সাইবার বুলিং ডে’ ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৬০ ভাগ অনলাইন বুলিং বা হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী, শিশু এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী। করোনার সংক্রমণের পর থেকে গত দেড় বছরে দেশে সাইবার বুলিং বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্যই বেশি সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে তাদের অনলাইনে বিপদে পড়ার আশঙ্কাটাও বাড়ছে।

সাইবার বুলিং একটি বৈশ্বিক সংকট। এ সংকট থেকে সবার নিরাপদ থাকা জরুরি। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছরের জুন মাসের তৃতীয় শুক্রবার ‘স্টপ সাইবার বুলিং ডে’ পালন করা হচ্ছে।

সাইবার বুলিংয়ের মতো সমস্যার কারণে অনলাইন ব্যবহারকারীরা যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দায়ী নয়। বরং সাইবার জগতের অপব্যবহারকারীই এজন্য দায়ী। প্রযুক্তিকে দূরে সরিয়ে বা এর ব্যবহার সীমিত করে এ থেকে পরিত্রাণ মিলবে না।

ইন্টারনেটের অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াটা জরুরি। কেউ সাইবার বুলিং করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। হয়রানির শিকার মানুষ যেন আইনের আশ্রয় পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এক জরিপে দেখা গেছে, দেশে যারা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হন তাদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ হয়রানির ভয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যান না। আবার যারা গিয়ে থাকেন তাদের মধ্যে ৭২ শতাংশ অভিযোগকারী প্রত্যাশা অনুযায়ী বিচার পান না। আইন প্রয়োগ করতে হবে ডিজিটাল জগতকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে। কেবল সরকারবিরোধী মতকে দমন করা আইনের লক্ষ্য হলে বুলিং করা সাইবার অপরাধীরা অন্যায় উৎসাহ পাবে।

নাগরিকদের অনলাইনে সুরক্ষা দিতে সরকারকে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। অনলাইনে নিরাপদ থাকার কৌশলগুলো মানুষকে জানাতে হবে। এজন্য নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাতে হবে। পাঠ্যসূচিতে নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

back to top