alt

opinion » editorial

রাজধানীর বৃত্তাকার নৌপথে চলুক ওয়াটার বাস

: রোববার, ২০ জুন ২০২১

তিনবারের চেষ্টাতেও রাজধানীর বৃত্তাকার নৌপথে চালু করা গেল না ওয়াটার বাস। কয়েক দফা চেষ্টা করেও সদরঘাট-গাবতলী এবং টঙ্গী-নারায়ণগঞ্জ নৌপথ চালু করা যায়নি। সর্বশেষ বুড়িগঙ্গা নদীতেও যাত্রী পারাপারের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, বৃত্তাকার নৌপথের তিন পর্বের প্রথম দুটিতে খরচ হয়েছে ১০০ কেটি টাকা। বর্তমানে ১২টি ওয়াটার বাসের মধ্যে চট্টগ্রামে জাহাজ থেকে ঘাটে যাত্রী ওঠানো-নামানোর জন্য একটি ব্যবহৃত হচ্ছে। বাকিগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় পড়ে আছে। ২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এ জলপথ প্রকল্পের টাকা যেন জলেই গেল!

বিআইডাব্লিউটিসির নৌপথ চালুকরণ প্রকল্প থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালে ‘ওয়াটার ট্যাক্সি’ নামে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু হয়। মাসখানেক চলে এটা বন্ধ হওয়ার পর ২০১০ সালে আবার দ্বিতীয়বার চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এ যাত্রাও ১১ মাস পরে বন্ধ হয়ে যায়। সর্বশেষ ‘ওয়াটার বাস’ নামে এ প্রকল্প চালু হয় ২০১৩ সালে। তাও বছরখানেক পরে বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর কাজে লাগেনি বেসরকারি উদ্যোগ ও বুড়িগঙ্গায় যাত্রী পারাপারেও। কখনও দীর্ঘায়িত না হওয়া এবং প্রত্যেকবার সীমিত আকারে চলা এসব ওয়াটার বাসে যাত্রী সেবার মান নিয়ে ছিল বিস্তর অভিযোগ।

সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, এ প্রকল্পের সফলতার মুখ না দেখার কারণ বহুবিধ। এগুলোর মধ্যে নদী দূষণ এবং বার্ষকালে নাব্য সংকটই প্রধান। রাজধানীতে কম উচ্চতার ১৩টি সেতু প্রতিস্থাপন করার কথা ছিল, তা করা হয়নি। তাছাড়া ওয়াটার বাসগুলো চালাতে বিভিন্ন রুটে ১২টি ল্যান্ডিং স্টেশন বা ঘাট স্থাপন করা হয়েছিল, যেগুলো বাস স্ট্যান্ডের কাছে না। এমনকি নেই সংযোগ সড়কও। তাই যাত্রী দুর্ভোগ ছিল চরমে।

রাজধানীবাসীকে সহজ ও আরামদায়ক যোগাযোগের অনেক স্বপ্নই দেখানো হয়েছিল। স্বপ্নগুলো অধরাই থেকে গেছে এখনও। রাজধানীকে ঘিরে থাকা চারটি নদীর সুবিধা কাজে লাগানো গেল না, ওয়াটার বাস চালু করা গেল না। মেট্রো রেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুফল কবে মিলবে সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। নাগরিকদের যাতায়াত-যোগাযোগের দুর্দশা থেকে যে সহসাই মুক্তি মিলছে না সেটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

চক্রাকার ওয়াটার বাসের ব্যর্থতার জন্য দায়ী সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা আন্তরিক সেই প্রশ্ন উঠেছে। তারা একে অন্যকে দোষারোপেই বেশি ব্যস্ত। তাদের সমন্বয়হীনতার কারণে বৃত্তাকার নৌপথ চালু করা গেল না। আর এসব সমস্যা থেকে কীভাবে বেড়িয়ে আসা যাবে সে প্রচেষ্টাও তাদের মধ্যে দেখা যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াটার বাস চালু করতে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বিশ্বের উন্নত শহরগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থাকে সহজ করার জন্য সড়ক, রেল ও নদী, এ তিনটি পথকেই একসঙ্গে কাজে লাগানো হয়। ঢাকা মহনগরীর যাতায়ত-যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক করতে হলে নৌপথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তাই বৃত্তাকার ওয়াটার বাস যাতে চালু করা যায় সেজন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। নদী দূষণ রোধ, নাব্য সংকট দূরীকরণ, পরিকল্পিত ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ, নদীর উপরে সেতু পুনর্নির্মাণ করে হলেও এটাকে চালু করতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

রাজধানীর বৃত্তাকার নৌপথে চলুক ওয়াটার বাস

রোববার, ২০ জুন ২০২১

তিনবারের চেষ্টাতেও রাজধানীর বৃত্তাকার নৌপথে চালু করা গেল না ওয়াটার বাস। কয়েক দফা চেষ্টা করেও সদরঘাট-গাবতলী এবং টঙ্গী-নারায়ণগঞ্জ নৌপথ চালু করা যায়নি। সর্বশেষ বুড়িগঙ্গা নদীতেও যাত্রী পারাপারের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, বৃত্তাকার নৌপথের তিন পর্বের প্রথম দুটিতে খরচ হয়েছে ১০০ কেটি টাকা। বর্তমানে ১২টি ওয়াটার বাসের মধ্যে চট্টগ্রামে জাহাজ থেকে ঘাটে যাত্রী ওঠানো-নামানোর জন্য একটি ব্যবহৃত হচ্ছে। বাকিগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় পড়ে আছে। ২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এ জলপথ প্রকল্পের টাকা যেন জলেই গেল!

বিআইডাব্লিউটিসির নৌপথ চালুকরণ প্রকল্প থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালে ‘ওয়াটার ট্যাক্সি’ নামে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু হয়। মাসখানেক চলে এটা বন্ধ হওয়ার পর ২০১০ সালে আবার দ্বিতীয়বার চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এ যাত্রাও ১১ মাস পরে বন্ধ হয়ে যায়। সর্বশেষ ‘ওয়াটার বাস’ নামে এ প্রকল্প চালু হয় ২০১৩ সালে। তাও বছরখানেক পরে বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর কাজে লাগেনি বেসরকারি উদ্যোগ ও বুড়িগঙ্গায় যাত্রী পারাপারেও। কখনও দীর্ঘায়িত না হওয়া এবং প্রত্যেকবার সীমিত আকারে চলা এসব ওয়াটার বাসে যাত্রী সেবার মান নিয়ে ছিল বিস্তর অভিযোগ।

সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, এ প্রকল্পের সফলতার মুখ না দেখার কারণ বহুবিধ। এগুলোর মধ্যে নদী দূষণ এবং বার্ষকালে নাব্য সংকটই প্রধান। রাজধানীতে কম উচ্চতার ১৩টি সেতু প্রতিস্থাপন করার কথা ছিল, তা করা হয়নি। তাছাড়া ওয়াটার বাসগুলো চালাতে বিভিন্ন রুটে ১২টি ল্যান্ডিং স্টেশন বা ঘাট স্থাপন করা হয়েছিল, যেগুলো বাস স্ট্যান্ডের কাছে না। এমনকি নেই সংযোগ সড়কও। তাই যাত্রী দুর্ভোগ ছিল চরমে।

রাজধানীবাসীকে সহজ ও আরামদায়ক যোগাযোগের অনেক স্বপ্নই দেখানো হয়েছিল। স্বপ্নগুলো অধরাই থেকে গেছে এখনও। রাজধানীকে ঘিরে থাকা চারটি নদীর সুবিধা কাজে লাগানো গেল না, ওয়াটার বাস চালু করা গেল না। মেট্রো রেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুফল কবে মিলবে সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। নাগরিকদের যাতায়াত-যোগাযোগের দুর্দশা থেকে যে সহসাই মুক্তি মিলছে না সেটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

চক্রাকার ওয়াটার বাসের ব্যর্থতার জন্য দায়ী সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা আন্তরিক সেই প্রশ্ন উঠেছে। তারা একে অন্যকে দোষারোপেই বেশি ব্যস্ত। তাদের সমন্বয়হীনতার কারণে বৃত্তাকার নৌপথ চালু করা গেল না। আর এসব সমস্যা থেকে কীভাবে বেড়িয়ে আসা যাবে সে প্রচেষ্টাও তাদের মধ্যে দেখা যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াটার বাস চালু করতে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বিশ্বের উন্নত শহরগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থাকে সহজ করার জন্য সড়ক, রেল ও নদী, এ তিনটি পথকেই একসঙ্গে কাজে লাগানো হয়। ঢাকা মহনগরীর যাতায়ত-যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক করতে হলে নৌপথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তাই বৃত্তাকার ওয়াটার বাস যাতে চালু করা যায় সেজন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। নদী দূষণ রোধ, নাব্য সংকট দূরীকরণ, পরিকল্পিত ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ, নদীর উপরে সেতু পুনর্নির্মাণ করে হলেও এটাকে চালু করতে হবে।

back to top