alt

মতামত » সম্পাদকীয়

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে

: রোববার, ১৮ জুলাই ২০২১

দেশে শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ, মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ, কানের রোগ, টাইফয়েড, কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়াজনিত রোগ, যক্ষ্মা, গনোরিয়া, সিফিলিসের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়েছে। বছর তিনেক আগে সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, ঔষধ প্রশাসন, আইসিডিডিআরবি, গ্লোবাল অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ও দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ ডিনামিক্স, ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিসির দেয়া যৌথ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছিল।

এখন জানা যাচ্ছে, দেশে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত অনেক শিশুর মধ্যে রোগজীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। বিষয়টা অনেক শিশুর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আইসিডিডিআর, বি ও ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল (এমজিএইচ) পরিচালিত একটি নতুন গবেষণা থেকে জানা গেছে এই তথ্য। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. হ্যারিস বলেছেন, কোভিড-১৯ যদি একটি জলোচ্ছ্বাস হয়ে থাকে তবে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সমস্যাকে বলতে হবে বন্যা। এবং বাংলাদেশের শিশুরা ইতোমধ্যেই এই বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।

ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরেক মহামারী সৃষ্টি হতে পারে বলে দীর্ঘকাল ধরেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটা অবশ্য সারা বিশ্বেরই সমস্যা। কোন কোন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এই সমস্যা ইতোমধ্যে শেকড় গেড়ে বসেছে। এর বিরুদ্ধে সচেতন না হলে করোনা মহামারীর চেয়েও ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে মানবজাতিকে।

ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে ওঠার বড় একটি কারণ হচ্ছে এর যথেচ্ছ ব্যবহার। অনেক রোগী বা রোগীর স্বজন, একশ্রেণীর ওষুধ বিক্রেতার বিরুদ্ধে খেয়ালখুশিমতো অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এই বিপজ্জনক প্রবণতা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক যেন বিক্রি করা না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। আবার যেসব রোগের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার জরুরি সেসব ক্ষেত্রে যেন নিয়ম ও মাত্রা মেনে ওষুধ গ্রহণ করা হয় সে সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের নিয়ম যথার্থভাবে না মানা হলে সংশ্লিষ্ট রোগীর শরীরে কোন কোন অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে।

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে

রোববার, ১৮ জুলাই ২০২১

দেশে শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ, মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ, কানের রোগ, টাইফয়েড, কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়াজনিত রোগ, যক্ষ্মা, গনোরিয়া, সিফিলিসের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়েছে। বছর তিনেক আগে সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, ঔষধ প্রশাসন, আইসিডিডিআরবি, গ্লোবাল অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ও দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ ডিনামিক্স, ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিসির দেয়া যৌথ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছিল।

এখন জানা যাচ্ছে, দেশে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত অনেক শিশুর মধ্যে রোগজীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। বিষয়টা অনেক শিশুর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আইসিডিডিআর, বি ও ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল (এমজিএইচ) পরিচালিত একটি নতুন গবেষণা থেকে জানা গেছে এই তথ্য। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. হ্যারিস বলেছেন, কোভিড-১৯ যদি একটি জলোচ্ছ্বাস হয়ে থাকে তবে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সমস্যাকে বলতে হবে বন্যা। এবং বাংলাদেশের শিশুরা ইতোমধ্যেই এই বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।

ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরেক মহামারী সৃষ্টি হতে পারে বলে দীর্ঘকাল ধরেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটা অবশ্য সারা বিশ্বেরই সমস্যা। কোন কোন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এই সমস্যা ইতোমধ্যে শেকড় গেড়ে বসেছে। এর বিরুদ্ধে সচেতন না হলে করোনা মহামারীর চেয়েও ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে মানবজাতিকে।

ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে ওঠার বড় একটি কারণ হচ্ছে এর যথেচ্ছ ব্যবহার। অনেক রোগী বা রোগীর স্বজন, একশ্রেণীর ওষুধ বিক্রেতার বিরুদ্ধে খেয়ালখুশিমতো অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এই বিপজ্জনক প্রবণতা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক যেন বিক্রি করা না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। আবার যেসব রোগের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার জরুরি সেসব ক্ষেত্রে যেন নিয়ম ও মাত্রা মেনে ওষুধ গ্রহণ করা হয় সে সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের নিয়ম যথার্থভাবে না মানা হলে সংশ্লিষ্ট রোগীর শরীরে কোন কোন অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে।

back to top