alt

opinion » editorial

উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি : বড় মূল্য দিতে হতে পারে

: সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১

করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই দুই শতাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করছে, সংক্রমিত হচ্ছে ১০ হাজারের বেশি। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও কোরবানির পশুর হাটে স্থাস্থ্যবিধির মানা হচ্ছে না। পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করা যাবে কি না-এ নিয়ে আশঙ্কা ছিল। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল-কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার চেষ্টা করছে না। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। হ্যান্ড স্যানিটাইজের কথা সবাই ভুলেই গেছে।

হাটের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট-সংখ্যক ক্রেতা প্রবেশ করবে, বাকিরা বাইরে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অপেক্ষা করবে-এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। অনেক হাটের নির্দিষ্ট কোন সীমানা বা সুরক্ষিত এলাকা নেই। বিক্রেতাদের যেখানে খুশি সেখানে বসছে, ক্রেতাও যাচ্ছে। ইজাদারদের যেসব স্বাস্থ্যবিধির শর্ত দিয়ে হাট ইজারা দেয়া হয়েছিল সেসবের ধারে-কাছেও নেই তারা।

কোরবানির হাটে একটা কাজই শুধু ঠিকমতো করা হচ্ছে-মাইকিং। মাইকিং করে পশু কেনা-বেচার শর্তগুলো ঠিকই বলা হচ্ছে। কিন্তু সেসব কথা কারও কানে যাচ্ছে বলে মনে হয় না। ক্রেতা-বিক্রেতা কারও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন গরজ নাই। কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সেটা মানানোর বা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কোন কর্তৃপক্ষ আছে বলে মনে হয় না।

এভাবে চলতে থাকলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা নিযন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ঈদের পরে দুই সপ্তাহ কঠোর লকডাইন বা টিকা দিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাবে। কারণ অনেক দেশকেই টিকা দেয়ার পরও করোনার দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঢেউ সামাল দিতে ভীষণ বেগ পেতে হয়েছে। তাদের অনেক সময় লেগেছে, বহু প্রাণ ক্ষয় হয়েছে। আমরা চাই না বাংলাদেশও তেমন পরিস্থিতির শিকার হোক, মহাবিপর্যয়ে পড়–ক।

এখনও সময় আছে, সবাইকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিয়মকানুন মেনে করোনা প্রতিরোধ করাই হবে তুলনামূলকভাবে ভালো পথ। পশুর হাটসহ সব জায়গায় যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় সেজন্য সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে, সবাইকে সচেতন করতে হবে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাকে সেটা মানানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি : বড় মূল্য দিতে হতে পারে

সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১

করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই দুই শতাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করছে, সংক্রমিত হচ্ছে ১০ হাজারের বেশি। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও কোরবানির পশুর হাটে স্থাস্থ্যবিধির মানা হচ্ছে না। পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করা যাবে কি না-এ নিয়ে আশঙ্কা ছিল। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল-কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার চেষ্টা করছে না। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। হ্যান্ড স্যানিটাইজের কথা সবাই ভুলেই গেছে।

হাটের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট-সংখ্যক ক্রেতা প্রবেশ করবে, বাকিরা বাইরে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অপেক্ষা করবে-এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। অনেক হাটের নির্দিষ্ট কোন সীমানা বা সুরক্ষিত এলাকা নেই। বিক্রেতাদের যেখানে খুশি সেখানে বসছে, ক্রেতাও যাচ্ছে। ইজাদারদের যেসব স্বাস্থ্যবিধির শর্ত দিয়ে হাট ইজারা দেয়া হয়েছিল সেসবের ধারে-কাছেও নেই তারা।

কোরবানির হাটে একটা কাজই শুধু ঠিকমতো করা হচ্ছে-মাইকিং। মাইকিং করে পশু কেনা-বেচার শর্তগুলো ঠিকই বলা হচ্ছে। কিন্তু সেসব কথা কারও কানে যাচ্ছে বলে মনে হয় না। ক্রেতা-বিক্রেতা কারও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন গরজ নাই। কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সেটা মানানোর বা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কোন কর্তৃপক্ষ আছে বলে মনে হয় না।

এভাবে চলতে থাকলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা নিযন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ঈদের পরে দুই সপ্তাহ কঠোর লকডাইন বা টিকা দিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাবে। কারণ অনেক দেশকেই টিকা দেয়ার পরও করোনার দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঢেউ সামাল দিতে ভীষণ বেগ পেতে হয়েছে। তাদের অনেক সময় লেগেছে, বহু প্রাণ ক্ষয় হয়েছে। আমরা চাই না বাংলাদেশও তেমন পরিস্থিতির শিকার হোক, মহাবিপর্যয়ে পড়–ক।

এখনও সময় আছে, সবাইকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিয়মকানুন মেনে করোনা প্রতিরোধ করাই হবে তুলনামূলকভাবে ভালো পথ। পশুর হাটসহ সব জায়গায় যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় সেজন্য সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে, সবাইকে সচেতন করতে হবে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাকে সেটা মানানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top