alt

opinion » editorial

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

: শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১

নিরাপদ খাদ্য প্রতিটা মানুষেরই চাওয়া। জীবনধারণ তথা স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য মানুষ খাদ্য গ্রহণ করে। খাদ্য মানুষের স্বাস্থ্যক্ষয় বা প্রাণ সংহারের কারণ হবে সেটা কারও কাম্য নয়। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমরা যা খাচ্ছি তা কতটা নিরাপদ? ভোক্তার কাছে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছানো বড় একটি চ্যালেঞ্জ।

কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথ উদ্যোগে আজ পালিত হয়েছে বিশ্ব খাদ্য দিবস। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ- ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি, আর ভালো পরিবেশেই উন্নত জীবন’।

নিরাপদ খাদ্যের দাবি প্রতিটা মানুষেরই। কিন্তু এর সন্ধান মেলা ভার। উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণন পর্যন্ত প্রতিটা স্তরে নানা কারণে খাদ্য অনিরাপদ। ফসলের অধিক ফলন পেতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে। ভালো ফলনের আশায় চাষিরাও এর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, যথেচ্ছ রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য ও মাটির গুণগতমান নষ্ট হচ্ছে। উদ্ভিদ-ফসলে ব্যাপকভাবে এর প্রভাব পড়ছে। জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্যহীনতার পেছনেও এর দায় রয়েছে।

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে বিকল্প পদ্ধতির চাষাবাদের ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষক যেন এই পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী বা উৎসাহী হন, সেই চেষ্টা চালাতে হবে। আশার কথা হলো, সরকার এ লক্ষ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ‘পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন’ শীর্ষক প্রকল্পটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে। আমরা এ প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও বিস্তৃতি দেখতে চাই।

কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য পণ্য সংরক্ষণ ও বিপণন নিরাপদ করাও জরুরি। দেশে খাদ্য সংরক্ষণ, ফল পাকানো ইত্যাদি কাজে ফরমালিন, কার্বাইড, ইথিলিনসহ বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে। এসব রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যেমন জরুরি তেমনি এগুলো উৎপাদন-বিপণনে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব উপায়ে কম খরচে বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনসহ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। কোন একক কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এটি সম্ভব নয়।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১

নিরাপদ খাদ্য প্রতিটা মানুষেরই চাওয়া। জীবনধারণ তথা স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য মানুষ খাদ্য গ্রহণ করে। খাদ্য মানুষের স্বাস্থ্যক্ষয় বা প্রাণ সংহারের কারণ হবে সেটা কারও কাম্য নয়। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমরা যা খাচ্ছি তা কতটা নিরাপদ? ভোক্তার কাছে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছানো বড় একটি চ্যালেঞ্জ।

কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথ উদ্যোগে আজ পালিত হয়েছে বিশ্ব খাদ্য দিবস। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ- ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি, আর ভালো পরিবেশেই উন্নত জীবন’।

নিরাপদ খাদ্যের দাবি প্রতিটা মানুষেরই। কিন্তু এর সন্ধান মেলা ভার। উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণন পর্যন্ত প্রতিটা স্তরে নানা কারণে খাদ্য অনিরাপদ। ফসলের অধিক ফলন পেতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে। ভালো ফলনের আশায় চাষিরাও এর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, যথেচ্ছ রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য ও মাটির গুণগতমান নষ্ট হচ্ছে। উদ্ভিদ-ফসলে ব্যাপকভাবে এর প্রভাব পড়ছে। জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্যহীনতার পেছনেও এর দায় রয়েছে।

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে বিকল্প পদ্ধতির চাষাবাদের ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষক যেন এই পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী বা উৎসাহী হন, সেই চেষ্টা চালাতে হবে। আশার কথা হলো, সরকার এ লক্ষ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ‘পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন’ শীর্ষক প্রকল্পটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে। আমরা এ প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও বিস্তৃতি দেখতে চাই।

কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য পণ্য সংরক্ষণ ও বিপণন নিরাপদ করাও জরুরি। দেশে খাদ্য সংরক্ষণ, ফল পাকানো ইত্যাদি কাজে ফরমালিন, কার্বাইড, ইথিলিনসহ বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে। এসব রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যেমন জরুরি তেমনি এগুলো উৎপাদন-বিপণনে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব উপায়ে কম খরচে বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনসহ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। কোন একক কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এটি সম্ভব নয়।

back to top