alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশ শিকার নেপথ্যের চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম চলছে। মা ইলিশ রক্ষা করার জন্য ৪ অক্টোবর থেকে নদ-নদী এবং সাগরে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু অনেক জায়গাতেই জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মানছে না। মা ইলিশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জে ইলিশ-রক্ষা অভিযান চলাকালে নৌ-পুলিশের স?ঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মাছ ধরা নিয়ে অতীতেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ ধরা যাবে না সেটা জেলেদের অজানা নয়। তারপরও তারা কেন নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে জেল-জরিমানার শিকার হয় আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষেইবা কেন জড়ায়- সেটা একটা প্রশ্ন।

মাছ না ধরলে জেলেদের সংসার চলবে কি করে, খাবার জুটবে কোত্থেকে? জীবন-জীবিকার দায় তো রয়েছেই তার ওপর অনেকের ঘাড়ে আছে ঋণ আর তার সুদের বোঝা। এ কারণে বাধ্য হয়ে অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞার মৌসুমেও মাছ শিকারে চলে যায়। আবার স্থানীয় একটি চক্র জেলেদেরকে নিষেধাজ্ঞার মৌসুমে মাছ ধরার জন্য উসকানি দেয়, অন্যায় মদত দেয়।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের যে চাল দেয়া হয় তা যথেষ্ট নয়। আবার সেই চাল?ও অনেক জেলে পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে। চাল দেয়ার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। জীবিকা নিশ্চিত করা না গেলে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মাছ ধরা থেকে তাদের নিবৃত্ত করা কঠিন হবে।

যারা নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের মাছ ধরায় অন্যায় মদত দেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। কেবল জেলেদের জেল জরিমানা করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশ শিকার নেপথ্যের চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম চলছে। মা ইলিশ রক্ষা করার জন্য ৪ অক্টোবর থেকে নদ-নদী এবং সাগরে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু অনেক জায়গাতেই জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মানছে না। মা ইলিশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জে ইলিশ-রক্ষা অভিযান চলাকালে নৌ-পুলিশের স?ঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মাছ ধরা নিয়ে অতীতেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ ধরা যাবে না সেটা জেলেদের অজানা নয়। তারপরও তারা কেন নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে জেল-জরিমানার শিকার হয় আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষেইবা কেন জড়ায়- সেটা একটা প্রশ্ন।

মাছ না ধরলে জেলেদের সংসার চলবে কি করে, খাবার জুটবে কোত্থেকে? জীবন-জীবিকার দায় তো রয়েছেই তার ওপর অনেকের ঘাড়ে আছে ঋণ আর তার সুদের বোঝা। এ কারণে বাধ্য হয়ে অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞার মৌসুমেও মাছ শিকারে চলে যায়। আবার স্থানীয় একটি চক্র জেলেদেরকে নিষেধাজ্ঞার মৌসুমে মাছ ধরার জন্য উসকানি দেয়, অন্যায় মদত দেয়।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের যে চাল দেয়া হয় তা যথেষ্ট নয়। আবার সেই চাল?ও অনেক জেলে পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে। চাল দেয়ার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। জীবিকা নিশ্চিত করা না গেলে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মাছ ধরা থেকে তাদের নিবৃত্ত করা কঠিন হবে।

যারা নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের মাছ ধরায় অন্যায় মদত দেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। কেবল জেলেদের জেল জরিমানা করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

back to top