alt

opinion » editorial

দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচন

: বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১

জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ-উদ্দীপনা কোন অংশে কম থাকে না। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে তা বেশিই থাকে। স্থানীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। তবে এই নির্বাচন নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষও কম ঘটে না। তাতে হতাহতের ঘটনা ঘটে প্রায়ই।

অতীতে সব সরকার আমলেই কমবেশি সংঘাত-সংঘর্ষ ঘটেছে। এবারের ইউপি নির্বাচনেও তার পুনরাবৃত্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রথম দফার ইউপি নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দ্বিতীয় ধাপের প্রায় সাড়ে আটশ’ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আজ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত সংঘর্ষ আরও তীব্র হয়েছে।

নির্বাচনকেন্দ্রিক সংঘাত-সংঘর্ষের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর একশ্রেণীর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দায়ী করা হয়। সাম্প্রতিক কালের ইউপি নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল ছাড়া বাকি দলগুলোর আগ্রহ ও অংশগ্রহণ দুটোই কমেছে। যদিও বড় সব দল থেকেই অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। তবে তারা নির্বাচনী মাঠে সুবিধা করতে পারেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা কোণঠাসা হয়ে থাকেন। নির্বাচনের মাঠে তাদের উপস্থিতি সরব নয়।

কোন কোন স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীও নেই। দ্বিতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৮১ জন চেয়ারম্যান পদে, ৭৬ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে এবং ২০৩ জন সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে। তাহলে সংঘাত-সংঘর্ষটা হচ্ছে কীভাবে, কারা করছে এগুলো- এটা একটা প্রশ্ন।

নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার জন্য ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের অন্তর্কলহ আর স্বার্থের সংঘাতকে দায়ী করা হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। প্রসঙ্গক্রমে কক্সবাজারের কথা বলা যায়। নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা রোধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই অবাস্থয় দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা নিয়ে ইসির মধ্যেও ‘উদ্বেগ’ রয়েছে। তারা যথারীতি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার অঙ্গীকার করেছে। যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

বর্তমান ইসির মেয়াদ আর বেশি দিন নেই। আমরা আশা করব, বিদায় বেলায় অন্তত তারা অঙ্গীকার অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেজন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচন

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১

জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ-উদ্দীপনা কোন অংশে কম থাকে না। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে তা বেশিই থাকে। স্থানীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। তবে এই নির্বাচন নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষও কম ঘটে না। তাতে হতাহতের ঘটনা ঘটে প্রায়ই।

অতীতে সব সরকার আমলেই কমবেশি সংঘাত-সংঘর্ষ ঘটেছে। এবারের ইউপি নির্বাচনেও তার পুনরাবৃত্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রথম দফার ইউপি নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দ্বিতীয় ধাপের প্রায় সাড়ে আটশ’ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আজ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত সংঘর্ষ আরও তীব্র হয়েছে।

নির্বাচনকেন্দ্রিক সংঘাত-সংঘর্ষের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর একশ্রেণীর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দায়ী করা হয়। সাম্প্রতিক কালের ইউপি নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল ছাড়া বাকি দলগুলোর আগ্রহ ও অংশগ্রহণ দুটোই কমেছে। যদিও বড় সব দল থেকেই অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। তবে তারা নির্বাচনী মাঠে সুবিধা করতে পারেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা কোণঠাসা হয়ে থাকেন। নির্বাচনের মাঠে তাদের উপস্থিতি সরব নয়।

কোন কোন স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীও নেই। দ্বিতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৮১ জন চেয়ারম্যান পদে, ৭৬ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে এবং ২০৩ জন সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে। তাহলে সংঘাত-সংঘর্ষটা হচ্ছে কীভাবে, কারা করছে এগুলো- এটা একটা প্রশ্ন।

নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার জন্য ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের অন্তর্কলহ আর স্বার্থের সংঘাতকে দায়ী করা হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। প্রসঙ্গক্রমে কক্সবাজারের কথা বলা যায়। নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা রোধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই অবাস্থয় দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা নিয়ে ইসির মধ্যেও ‘উদ্বেগ’ রয়েছে। তারা যথারীতি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার অঙ্গীকার করেছে। যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

বর্তমান ইসির মেয়াদ আর বেশি দিন নেই। আমরা আশা করব, বিদায় বেলায় অন্তত তারা অঙ্গীকার অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেজন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করবে।

back to top