alt

opinion » editorial

পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের কারখানা কি সরবে না

: শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১

পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের সব কারখানা ও গুদাম সরানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। সেখানে রাসায়নিক কারখানাগুলো বহাল তবিয়তে আছে। মাঝে মধ্যেই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে পুরান ঢাকার বেআইনি কেমিক্যাল কারখানা ও গুদামগুলো এখনো সরানো যাচ্ছে না। গুদাম স্থানান্তরে ব্যবসায়ীদের?ও আগ্রহ নেই। নানান অজুহাতে তারা সেখানেই রয়ে গেছেন।

রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক গুদামগুলো সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে একাধিকবার। ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলী অগ্নিকান্ডে ১২৪ জন মানুষের মৃত্যুর পরই এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডে ৭৮ জন মানুষের মৃত্যুর পরও দেয়া হয়েছিল একই নির্দেশ। প্রধানমন্ত্রী রাসায়নিকের গুদাম সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।

রাসায়নিক গুদামের কারণে পুরান ঢাকায় বিভিন্ন সময় অগ্নিকান্ড ঘটছে আর সরকার নির্দেশের পর নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোন নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হয় না। খোদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও দেখা যাচ্ছে তা কার্যকর হচ্ছে না।

এর আগে সরকার বলেছে, অনেক দেন-দরবার করেও রাসায়নিকের গুদামগুলো পুরান ঢাকা থেকে সরানো যাচ্ছে না। অবৈধ গুদামের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। দ্রুত এগুলো সরানো না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

গুদাম সরানো হবে কী, দিন দিন তা বাড়ছে। এর মানে কোথাও কোন গলদ আছে। সমস্যা কোথায়, কারা এ জননিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নির্দেশ বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে, কারা গড়িমসি করছে- তা খুঁজে বের করে অতিসত্বর কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাসায়নিকের গুদাম সরিয়ে নিতে রাসায়নিক শিল্পপল্লী প্রতিষ্ঠার কাজ শেষ হয়নি। পল্লী প্রতিষ্ঠার আগে রাসায়নিকের ব্যবসা অস্থায়ী গুদামে সরিয়ে নেয়ার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, তা-ও বাস্তবায়ন হয়নি। অগ্নিকান্ডের প্রতিটি ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ কিছুটা নড়েচড়ে বসে কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তা থেমে যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অগ্নিকান্ড থেকে জনগণের জানমাল রক্ষা করতে আসলেই আন্তরিক কিনা- সেই প্রশ্ন উঠেছে। সরকার আন্তরিক হলে রাসায়নিকের গুদাম গত প্রায় এক যুগেও সরানো যাবে না সেটা হতে পারে না। পুরান ঢাকায় হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ী রাসায়নিকের ব্যবসা করেন বলে জানা যায়। অভিযোগ রয়েছে, রাসায়নিক ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনেক পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

পুরান ঢাকার গুদামগুলোতে আছে কমবেশি পাঁচ হাজার রকমের রাসায়নিক। যার মধ্যে অতিদাহ্য রাসায়নিকও রয়েছে। সেখানে প্লাস্টিকের কারখানা ও গুদামের সংখ্যাও কম নয়। এ কারণে এলাকাটি বরাবরই অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে থাকে। যতদিন না রাসায়নিকের গুদামগুলো সেখান থেকে অন্যত্র পুরোপুরি সরানো হবে ততদিন এই ঝুঁকি কমবে না। সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সাময়িক অভিযান চালিয়ে কিছুদিনের জন্য অবৈধ গুদাম বন্ধ করে সমাধান মিলবে না।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের কারখানা কি সরবে না

শুক্রবার, ১২ নভেম্বর ২০২১

পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের সব কারখানা ও গুদাম সরানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। সেখানে রাসায়নিক কারখানাগুলো বহাল তবিয়তে আছে। মাঝে মধ্যেই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে পুরান ঢাকার বেআইনি কেমিক্যাল কারখানা ও গুদামগুলো এখনো সরানো যাচ্ছে না। গুদাম স্থানান্তরে ব্যবসায়ীদের?ও আগ্রহ নেই। নানান অজুহাতে তারা সেখানেই রয়ে গেছেন।

রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক গুদামগুলো সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে একাধিকবার। ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলী অগ্নিকান্ডে ১২৪ জন মানুষের মৃত্যুর পরই এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডে ৭৮ জন মানুষের মৃত্যুর পরও দেয়া হয়েছিল একই নির্দেশ। প্রধানমন্ত্রী রাসায়নিকের গুদাম সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।

রাসায়নিক গুদামের কারণে পুরান ঢাকায় বিভিন্ন সময় অগ্নিকান্ড ঘটছে আর সরকার নির্দেশের পর নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোন নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হয় না। খোদ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও দেখা যাচ্ছে তা কার্যকর হচ্ছে না।

এর আগে সরকার বলেছে, অনেক দেন-দরবার করেও রাসায়নিকের গুদামগুলো পুরান ঢাকা থেকে সরানো যাচ্ছে না। অবৈধ গুদামের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। দ্রুত এগুলো সরানো না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

গুদাম সরানো হবে কী, দিন দিন তা বাড়ছে। এর মানে কোথাও কোন গলদ আছে। সমস্যা কোথায়, কারা এ জননিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নির্দেশ বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে, কারা গড়িমসি করছে- তা খুঁজে বের করে অতিসত্বর কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাসায়নিকের গুদাম সরিয়ে নিতে রাসায়নিক শিল্পপল্লী প্রতিষ্ঠার কাজ শেষ হয়নি। পল্লী প্রতিষ্ঠার আগে রাসায়নিকের ব্যবসা অস্থায়ী গুদামে সরিয়ে নেয়ার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, তা-ও বাস্তবায়ন হয়নি। অগ্নিকান্ডের প্রতিটি ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ কিছুটা নড়েচড়ে বসে কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তা থেমে যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অগ্নিকান্ড থেকে জনগণের জানমাল রক্ষা করতে আসলেই আন্তরিক কিনা- সেই প্রশ্ন উঠেছে। সরকার আন্তরিক হলে রাসায়নিকের গুদাম গত প্রায় এক যুগেও সরানো যাবে না সেটা হতে পারে না। পুরান ঢাকায় হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ী রাসায়নিকের ব্যবসা করেন বলে জানা যায়। অভিযোগ রয়েছে, রাসায়নিক ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনেক পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

পুরান ঢাকার গুদামগুলোতে আছে কমবেশি পাঁচ হাজার রকমের রাসায়নিক। যার মধ্যে অতিদাহ্য রাসায়নিকও রয়েছে। সেখানে প্লাস্টিকের কারখানা ও গুদামের সংখ্যাও কম নয়। এ কারণে এলাকাটি বরাবরই অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে থাকে। যতদিন না রাসায়নিকের গুদামগুলো সেখান থেকে অন্যত্র পুরোপুরি সরানো হবে ততদিন এই ঝুঁকি কমবে না। সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সাময়িক অভিযান চালিয়ে কিছুদিনের জন্য অবৈধ গুদাম বন্ধ করে সমাধান মিলবে না।

back to top