alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ইঁদুরের উপদ্রব থেকে কৃষিকে রক্ষা করতে হবে

: সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১

ইঁদুরের উপদ্রব থেকে আমন ধান রক্ষায় শিকারি বিড়াল ব্যবহার করছেন যশোরের কেশবপুরের কৃষকরা। ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে তারা এ পদ্ধতি অবলম্বন করছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ সময় ধানক্ষেতে পানি না থাকায় ইঁদুরের উৎপাত বেড়ে গেছে। জিংক পাউডার, গ্যাস ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন বিষটোপ ব্যবহার করেও ইঁদুর নিধন করা যাচ্ছে না।

ধান ছাড়াও গম, বাদাম, আলু, ডাল, সবজি, নারিকেলসহ বিভিন্ন ফলমূল ও ফসলের ক্ষতি করেছে ইঁদুর। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক হিসাব অনুযায়ী- ইঁদুর বছরে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকার ফসল নষ্ট করে। তাছাড়া সরকারি-বেসরকারি খাদ্যগুদাম, পাউরুটি ও বিস্কুট তৈরির কারখানা, হোটেল-রেস্তোরাঁ, পাইকারি ও খুচরা পণ্য বিক্রির দোকানে বিপুল পরিমাণে খাদ্য ইঁদুর নষ্ট করে; যার কোন হিসাব নেই।

ইঁদুর দমন প্রক্রিয়া কৃষির আর দশটা বালাইয়ের মতো নয়। ইঁদুর নিধনে এখন অনেক কৌশলই রয়েছে। সেগুলো দেশের কৃষকদের জানাও আছে; কিন্তু যশোরের কৃষকরা সেটা কাজে লাগাতে পারছে না কেন- সেটা একটা প্রশ্ন। ইঁদুর নিধনের প্রচলিত পদ্ধতি যদি ব্যর্থ হয় তাহলে এর বংশবিস্তার ঘটতেই থাকবে; যা আরও বেশি ফসলহানির কারণ হয়ে দাঁড়াবে, কৃষকও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কাজেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।

সমন্বিতভাবে ইঁদুর নিধন করলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যেতে পারে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রতি বছর মাসব্যাপী ইঁদুর নিধন অভিযান পরিচালনা করে থাকে। পাশাপাশি আমরা আশা করবো- সংশ্লিষ্ট খাতের গবেষকরা বিষয়টি নিয়ে আরও ব্যাপক গবেষণা করবেন। ইঁদুর নিধনের পদ্ধতিগুলোর ব্যর্থতার কারণ কী, এর কোথাও কোন দুর্বলতা আছে কিনা, বা প্রয়োগে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা- সেগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। বিদ্যমান পদ্ধতির পাশাপাশি আর কোন বিকল্প পদ্ধতি উদ্ভাবন করা যায় কিনা- সেই চেষ্টাও চালাতে হবে। কৃষি গবেষণায় দেশে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কৃষি গবেষকদের অনেক উদ্ভাবন ও আবিষ্কার দেশের কৃষি খাতকে এগিয়ে দিয়েছে। ইঁদুর নিধনের প্রশ্নেও তাদের সাফল্য আব্যাহত থাকবে- এটা আমাদের আশা। ইঁদুরের কারণে ফসলের যে ক্ষয়ক্ষতি হয় তা কমানো গেলে একদিকে যেমন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে আয়ও বাড়বে।

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ইঁদুরের উপদ্রব থেকে কৃষিকে রক্ষা করতে হবে

সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১

ইঁদুরের উপদ্রব থেকে আমন ধান রক্ষায় শিকারি বিড়াল ব্যবহার করছেন যশোরের কেশবপুরের কৃষকরা। ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে তারা এ পদ্ধতি অবলম্বন করছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ সময় ধানক্ষেতে পানি না থাকায় ইঁদুরের উৎপাত বেড়ে গেছে। জিংক পাউডার, গ্যাস ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন বিষটোপ ব্যবহার করেও ইঁদুর নিধন করা যাচ্ছে না।

ধান ছাড়াও গম, বাদাম, আলু, ডাল, সবজি, নারিকেলসহ বিভিন্ন ফলমূল ও ফসলের ক্ষতি করেছে ইঁদুর। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক হিসাব অনুযায়ী- ইঁদুর বছরে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকার ফসল নষ্ট করে। তাছাড়া সরকারি-বেসরকারি খাদ্যগুদাম, পাউরুটি ও বিস্কুট তৈরির কারখানা, হোটেল-রেস্তোরাঁ, পাইকারি ও খুচরা পণ্য বিক্রির দোকানে বিপুল পরিমাণে খাদ্য ইঁদুর নষ্ট করে; যার কোন হিসাব নেই।

ইঁদুর দমন প্রক্রিয়া কৃষির আর দশটা বালাইয়ের মতো নয়। ইঁদুর নিধনে এখন অনেক কৌশলই রয়েছে। সেগুলো দেশের কৃষকদের জানাও আছে; কিন্তু যশোরের কৃষকরা সেটা কাজে লাগাতে পারছে না কেন- সেটা একটা প্রশ্ন। ইঁদুর নিধনের প্রচলিত পদ্ধতি যদি ব্যর্থ হয় তাহলে এর বংশবিস্তার ঘটতেই থাকবে; যা আরও বেশি ফসলহানির কারণ হয়ে দাঁড়াবে, কৃষকও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কাজেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।

সমন্বিতভাবে ইঁদুর নিধন করলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যেতে পারে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রতি বছর মাসব্যাপী ইঁদুর নিধন অভিযান পরিচালনা করে থাকে। পাশাপাশি আমরা আশা করবো- সংশ্লিষ্ট খাতের গবেষকরা বিষয়টি নিয়ে আরও ব্যাপক গবেষণা করবেন। ইঁদুর নিধনের পদ্ধতিগুলোর ব্যর্থতার কারণ কী, এর কোথাও কোন দুর্বলতা আছে কিনা, বা প্রয়োগে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা- সেগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। বিদ্যমান পদ্ধতির পাশাপাশি আর কোন বিকল্প পদ্ধতি উদ্ভাবন করা যায় কিনা- সেই চেষ্টাও চালাতে হবে। কৃষি গবেষণায় দেশে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কৃষি গবেষকদের অনেক উদ্ভাবন ও আবিষ্কার দেশের কৃষি খাতকে এগিয়ে দিয়েছে। ইঁদুর নিধনের প্রশ্নেও তাদের সাফল্য আব্যাহত থাকবে- এটা আমাদের আশা। ইঁদুরের কারণে ফসলের যে ক্ষয়ক্ষতি হয় তা কমানো গেলে একদিকে যেমন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে আয়ও বাড়বে।

back to top