alt

opinion » editorial

নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থাই না নেবে, তাহলে ইসির প্রয়োজন কী

: বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আছে আর কয়েক মাস। শেষ বেলাতেও ইসির বিরুদ্ধে নির্বাচন নিয়ে নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার অভিযোগ মিলছে। গত ১১ নভেম্বর দেশের ৮৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষ ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। নির্বাচনের আগে-পরে সহিংসতায় মারা গেছেন ৩৯ জন।

দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচনেও ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে না দেয়া, গোপন বুথে প্রভাবশালী প্রার্থীদের কর্মীদের অবস্থান নেয়াসহ নানা অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক ভোটার অভিযোগ করেছেন, তারা পছন্দমতো ভোট দিতে পারেননি। অনেকে বিশেষ প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য হয়েছেন বা ভোট না দিয়ে ফিরে এসেছেন।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের বটতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একজন প্রিসাইডিং অফিসার অভিযোগ করেছেন যে, ভোটের আগের রাতে তাকে একজন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য অনৈতিক প্রস্তাব দেয়া হয়। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ভোটের দিন সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা কেন্দ্রে গিয়ে নির্বাচন শুরুর আগেই তাকে বরখাস্ত করেন। প্রিসাইডিং অফিসার যে অভিযোগ করেছেন ইসি তার সত্যতা যাচাই করে কোন ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব।

ইউপি নির্বাচন নিয়ে অনেক অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার খবরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ইসি এসব অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে কিনা। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ মিললে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু সেটা কি করা হচ্ছে? নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা, ভোটের আগে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা আর আশ্বাস দেয়া, আর ভোটের পর ‘খুবই সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর’ নির্বাচন হয়েছে বলে আত্মতৃপ্তি লাভ করাই যেন ইসির কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের এমন দাবি জনগণ কতটা বিশ্বাস করে সেটা কখনো তারা ভেবে দেখে না।

ইসি তার ক্ষমতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে নির্বাচনে অনিয়ম হতে পারত না বলে আমরা মনে করি। নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর যদি তাদের ন্যূনতম নিয়ন্ত্রণও থাকত তাহলে গোপন বুথে কোন প্রার্থী বিশেষের সাঙ্গপাঙ্গ বসে থাকতে পারত না।

অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে দেশের নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি বদলাবে না। আর ইসি যদি ব্যবস্থাই না নেবে তাহলে তার থাকবার দরকারটা কী- সেটা একটা প্রশ্ন।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থাই না নেবে, তাহলে ইসির প্রয়োজন কী

বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আছে আর কয়েক মাস। শেষ বেলাতেও ইসির বিরুদ্ধে নির্বাচন নিয়ে নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার অভিযোগ মিলছে। গত ১১ নভেম্বর দেশের ৮৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষ ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। নির্বাচনের আগে-পরে সহিংসতায় মারা গেছেন ৩৯ জন।

দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচনেও ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে না দেয়া, গোপন বুথে প্রভাবশালী প্রার্থীদের কর্মীদের অবস্থান নেয়াসহ নানা অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক ভোটার অভিযোগ করেছেন, তারা পছন্দমতো ভোট দিতে পারেননি। অনেকে বিশেষ প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য হয়েছেন বা ভোট না দিয়ে ফিরে এসেছেন।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের বটতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একজন প্রিসাইডিং অফিসার অভিযোগ করেছেন যে, ভোটের আগের রাতে তাকে একজন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য অনৈতিক প্রস্তাব দেয়া হয়। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ভোটের দিন সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা কেন্দ্রে গিয়ে নির্বাচন শুরুর আগেই তাকে বরখাস্ত করেন। প্রিসাইডিং অফিসার যে অভিযোগ করেছেন ইসি তার সত্যতা যাচাই করে কোন ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব।

ইউপি নির্বাচন নিয়ে অনেক অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার খবরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ইসি এসব অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে কিনা। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ মিললে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু সেটা কি করা হচ্ছে? নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা, ভোটের আগে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা আর আশ্বাস দেয়া, আর ভোটের পর ‘খুবই সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর’ নির্বাচন হয়েছে বলে আত্মতৃপ্তি লাভ করাই যেন ইসির কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের এমন দাবি জনগণ কতটা বিশ্বাস করে সেটা কখনো তারা ভেবে দেখে না।

ইসি তার ক্ষমতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে নির্বাচনে অনিয়ম হতে পারত না বলে আমরা মনে করি। নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর যদি তাদের ন্যূনতম নিয়ন্ত্রণও থাকত তাহলে গোপন বুথে কোন প্রার্থী বিশেষের সাঙ্গপাঙ্গ বসে থাকতে পারত না।

অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে দেশের নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি বদলাবে না। আর ইসি যদি ব্যবস্থাই না নেবে তাহলে তার থাকবার দরকারটা কী- সেটা একটা প্রশ্ন।

back to top