alt

মতামত » সম্পাদকীয়

প্রতিবন্ধীদের টেকসই উন্নয়ন ও সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ

: বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১

নীতিনির্ধারকরা দাবি করেন, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমান সরকার অনেক বেশি প্রতিবন্ধীবান্ধব। তাদের অধিকার রক্ষায় ও উন্নয়নে অনেক কাজও করছে সরকার। কিন্তু বাজেটে তাদের জন্য নেই সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ। ২০১৮ সালে সংসদে পাস হয়েছে প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা। অথচ সেটা বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল বুধবার রাজধানীতে বেসরকারি সংস্থা ডিজঅ্যাবলড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন (ডিআরআরএ) আয়োজনে ‘৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও বাজেটে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও অবস্থান’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাজেটে প্রতিবন্ধীদের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ না থাকার বিষয়টি নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতিবন্ধী রয়েছে ২৭ লাখ। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা দেড় কোটি। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক এ জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা ও উন্নয়ন ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

টেকসই সার্বিক উন্নয়ন চাইলে দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষদের কথাও ভাবতে হবে। সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোলে তাদের সম্পদে পরিণত করা সম্ভব। এজন্য তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।

শুধু অনুদান বা ভাতা দিয়ে বা তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে আটকে রেখে প্রতিবন্ধীদের কাক্সিক্ষত উন্নতি সাধন করা কঠিন হবে বলে আমরা মনে করি। তাদের জন্যও মূলধারার উন্নয়ন বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ থাকা জরুরি। পরিকল্পনামন্ত্রীও বিষয়টি বলেছেন। আমরা আশা করব, বিষয়টি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে।

প্রতিবন্ধীদের জন্য বিক্ষিপ্তিভাবে যেসব কাজ করা হচ্ছে সেগুলোকে এক ছাতার নিচে এনে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ দেয়া গেলে উন্নয়নকে আরও বেগবান ও টেকসই করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করতে চাই। প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বিদ্যমান বাধাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

প্রতিবন্ধীদের টেকসই উন্নয়ন ও সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ

বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১

নীতিনির্ধারকরা দাবি করেন, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমান সরকার অনেক বেশি প্রতিবন্ধীবান্ধব। তাদের অধিকার রক্ষায় ও উন্নয়নে অনেক কাজও করছে সরকার। কিন্তু বাজেটে তাদের জন্য নেই সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ। ২০১৮ সালে সংসদে পাস হয়েছে প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা। অথচ সেটা বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল বুধবার রাজধানীতে বেসরকারি সংস্থা ডিজঅ্যাবলড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন (ডিআরআরএ) আয়োজনে ‘৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও বাজেটে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও অবস্থান’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাজেটে প্রতিবন্ধীদের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ না থাকার বিষয়টি নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতিবন্ধী রয়েছে ২৭ লাখ। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা দেড় কোটি। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক এ জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা ও উন্নয়ন ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

টেকসই সার্বিক উন্নয়ন চাইলে দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষদের কথাও ভাবতে হবে। সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোলে তাদের সম্পদে পরিণত করা সম্ভব। এজন্য তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।

শুধু অনুদান বা ভাতা দিয়ে বা তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে আটকে রেখে প্রতিবন্ধীদের কাক্সিক্ষত উন্নতি সাধন করা কঠিন হবে বলে আমরা মনে করি। তাদের জন্যও মূলধারার উন্নয়ন বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ থাকা জরুরি। পরিকল্পনামন্ত্রীও বিষয়টি বলেছেন। আমরা আশা করব, বিষয়টি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে।

প্রতিবন্ধীদের জন্য বিক্ষিপ্তিভাবে যেসব কাজ করা হচ্ছে সেগুলোকে এক ছাতার নিচে এনে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ দেয়া গেলে উন্নয়নকে আরও বেগবান ও টেকসই করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করতে চাই। প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বিদ্যমান বাধাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top