alt

opinion » editorial

মজুরি বৈষম্যের অবসান চাই

: শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় সাওতাল সম্প্রদায়ের নারী কৃষি শ্রমিকরা মজুরি বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। একজন নারী শ্রমিক দিনশেষে মজুরি পান তিনশ’ টাকা। কিন্তু পুরুষ শ্রমিকরা মজুরি পান চারশ’ টাকা।

কম মজুরি দেয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেও কোন প্রতিকার পান না নারীরা। পেটের দায়ে বৈষম্য মেনে নিয়েই কাজ করতে হয়। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নারী শ্রমিকের মজুরি বৈষম্যের খবর দুঃখজনক। যুগ যুগ ধরেই নারীরা এই বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সবক্ষেত্রেই নারী শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যদিও শ্রম খাতে তাদের দক্ষতা আর মেধায় ঘাটতি নেই।

নারীরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন, তারা কাজে ফাঁকি দেন না। এ কারণে সংশ্লিষ্টরা তাদেরকে কর্মী হিসেবে নিতে আগ্রহী হন। কিন্তু মজুরি দেয়ার সময় নারীদের ন্যায্য পাওনাটা দেয়া হয় না।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় দেয়া হয় অর্ধেক মজুরি। বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক হাতে এই মজুরি বৈষম্য প্রবল। শ্রম জরিপের এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে নারীদের ৯২ শতাংশের কর্মসংস্থান হয় অনানুষ্ঠানিক খাতে।

দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে। তবে নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন কতটা ঘটেছে সেটা নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে এই বাস্তবতা আরও খারাপ।

জাতীয় জীবনে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন করতে হলে মজুরি বৈষম্য দূর করতে হবে, নারী শ্রমিককে তার ন্যায্য পাওনা দিতে হবে। আমরা মজুরি-বৈষম্য মুক্ত একটি সমাজ চাই। কেউ যেন নারী শ্রমিকদের ঠকাতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

মজুরি বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হলে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। বিশেষ করে মালিক শ্রেণীর মনোভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি।

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

tab

opinion » editorial

মজুরি বৈষম্যের অবসান চাই

শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর ২০২১

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় সাওতাল সম্প্রদায়ের নারী কৃষি শ্রমিকরা মজুরি বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। একজন নারী শ্রমিক দিনশেষে মজুরি পান তিনশ’ টাকা। কিন্তু পুরুষ শ্রমিকরা মজুরি পান চারশ’ টাকা।

কম মজুরি দেয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেও কোন প্রতিকার পান না নারীরা। পেটের দায়ে বৈষম্য মেনে নিয়েই কাজ করতে হয়। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নারী শ্রমিকের মজুরি বৈষম্যের খবর দুঃখজনক। যুগ যুগ ধরেই নারীরা এই বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সবক্ষেত্রেই নারী শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যদিও শ্রম খাতে তাদের দক্ষতা আর মেধায় ঘাটতি নেই।

নারীরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন, তারা কাজে ফাঁকি দেন না। এ কারণে সংশ্লিষ্টরা তাদেরকে কর্মী হিসেবে নিতে আগ্রহী হন। কিন্তু মজুরি দেয়ার সময় নারীদের ন্যায্য পাওনাটা দেয়া হয় না।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় দেয়া হয় অর্ধেক মজুরি। বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক হাতে এই মজুরি বৈষম্য প্রবল। শ্রম জরিপের এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে নারীদের ৯২ শতাংশের কর্মসংস্থান হয় অনানুষ্ঠানিক খাতে।

দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে। তবে নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন কতটা ঘটেছে সেটা নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে এই বাস্তবতা আরও খারাপ।

জাতীয় জীবনে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন করতে হলে মজুরি বৈষম্য দূর করতে হবে, নারী শ্রমিককে তার ন্যায্য পাওনা দিতে হবে। আমরা মজুরি-বৈষম্য মুক্ত একটি সমাজ চাই। কেউ যেন নারী শ্রমিকদের ঠকাতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

মজুরি বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হলে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। বিশেষ করে মালিক শ্রেণীর মনোভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি।

back to top