alt

মতামত » সম্পাদকীয়

শিশুর জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ

: শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

শিশুর জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ কে না কামনা করেন। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি শিশুর ভবিষ্যৎকে উন্নত আর উজ্জ্বল করার স্বপ্নই দেখছি শুধু নাকি স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজও করছি। শিশুর সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য চাই উন্নত বিশ্ব। আর উন্নত বিশ্বের ধারণা শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।

জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শিশু দিবস পালিত হয়েছে আজ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্রত্যেক শিশুর জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ’। দিবসটি পালন করা হয় শিশু অধিকার সনদের আলোকে; যেখানে যা শিশুদের নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, স্বাস্থ্যগত এবং সাংস্কৃতিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে।

শিশুর জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য তার অধিকারগুলো রক্ষা করা জরুরি। সমস্যা হচ্ছে শিশুদেরও যে অধিকার আছে সেটা মানতে না চাওয়া মানুষের সংখ্য অনেক। তাদের অধিকার সম্পর্কে জানেন না সিংহভাগ মানুষ। আবার যারা তাদের অধিকার সম্পর্কে ধারণা রাখেন তাদের ক’জন সেটা রক্ষা করেন বা রক্ষা করার তাগিদ অনুভব করেন সেই প্রশ্ন করা যায়। অথচ জাতিসংঘে শিশু অধিকার সনদ গ্রহণের পর পেরিয়ে গেছে ৩২ বছর। এই সনদকে বলা হয় বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে অনুমোদিত মানবাধিকার চুক্তি।

শিশুর উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার কাজটি খেয়ালখুশি মতো করলে চলবে না। এই কাজে শিশুর মতামত নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এখনও বিশ্বজুড়েই শিশুদের মতপ্রকাশের সুযোগ সীমিত। বহু শিশু বড় হয় চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তে মধ্য দিয়ে। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। শিশুকে তার মত প্রকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। তার কথা শোনা বা মত জানাই যথেষ্ট নয়। সেগুলোর যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে শিশুর মতো মূল্যায়ন করার সক্ষমতা সবার আছে কিনা।

বৈশ্বিক মহামারীতে সবচেয়ে বেশি যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের মধ্যে শিশুরা অন্যতম। বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট, সংঘাত-সংঘর্ষ, দারিদ্র্য, নানান বৈষম্য প্রভৃতির কারণেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব থেকে শিশুকে রক্ষা করে তার জন্য উজ্জ্বল ও উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হলে মানব জাতিকে শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে।

শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাদের উন্নয়নে বিভিন্ন পর্যায়ে বিনিয়োগ করা জরুরি। শিশুর উন্নতি মানে চার দেয়ালে আটকে রাখা জীবন নয়। প্রতিটি শিশুর জন্য আনন্দময় শৈশব-কৈশরকেও নিশ্চিত করতে হবে।

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

শিশুর জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ

শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

শিশুর জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ কে না কামনা করেন। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি শিশুর ভবিষ্যৎকে উন্নত আর উজ্জ্বল করার স্বপ্নই দেখছি শুধু নাকি স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজও করছি। শিশুর সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য চাই উন্নত বিশ্ব। আর উন্নত বিশ্বের ধারণা শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।

জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শিশু দিবস পালিত হয়েছে আজ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্রত্যেক শিশুর জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ’। দিবসটি পালন করা হয় শিশু অধিকার সনদের আলোকে; যেখানে যা শিশুদের নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, স্বাস্থ্যগত এবং সাংস্কৃতিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে।

শিশুর জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য তার অধিকারগুলো রক্ষা করা জরুরি। সমস্যা হচ্ছে শিশুদেরও যে অধিকার আছে সেটা মানতে না চাওয়া মানুষের সংখ্য অনেক। তাদের অধিকার সম্পর্কে জানেন না সিংহভাগ মানুষ। আবার যারা তাদের অধিকার সম্পর্কে ধারণা রাখেন তাদের ক’জন সেটা রক্ষা করেন বা রক্ষা করার তাগিদ অনুভব করেন সেই প্রশ্ন করা যায়। অথচ জাতিসংঘে শিশু অধিকার সনদ গ্রহণের পর পেরিয়ে গেছে ৩২ বছর। এই সনদকে বলা হয় বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে অনুমোদিত মানবাধিকার চুক্তি।

শিশুর উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার কাজটি খেয়ালখুশি মতো করলে চলবে না। এই কাজে শিশুর মতামত নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এখনও বিশ্বজুড়েই শিশুদের মতপ্রকাশের সুযোগ সীমিত। বহু শিশু বড় হয় চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তে মধ্য দিয়ে। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। শিশুকে তার মত প্রকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। তার কথা শোনা বা মত জানাই যথেষ্ট নয়। সেগুলোর যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে শিশুর মতো মূল্যায়ন করার সক্ষমতা সবার আছে কিনা।

বৈশ্বিক মহামারীতে সবচেয়ে বেশি যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের মধ্যে শিশুরা অন্যতম। বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট, সংঘাত-সংঘর্ষ, দারিদ্র্য, নানান বৈষম্য প্রভৃতির কারণেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব থেকে শিশুকে রক্ষা করে তার জন্য উজ্জ্বল ও উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হলে মানব জাতিকে শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে।

শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাদের উন্নয়নে বিভিন্ন পর্যায়ে বিনিয়োগ করা জরুরি। শিশুর উন্নতি মানে চার দেয়ালে আটকে রাখা জীবন নয়। প্রতিটি শিশুর জন্য আনন্দময় শৈশব-কৈশরকেও নিশ্চিত করতে হবে।

back to top