alt

মতামত » সম্পাদকীয়

শৌচাগার সংকট থেকে রাজধানীবাসীকে উদ্ধার করুন

: শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

জনসংখ্যার বিবেচনায় ঢাকা বিশ্বের একাদশতম বৃহত্তম মহানগরী। রাজধানীর জনসংখ্যা দুই কোটি ছুঁই ছুঁই। এর বাইরে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা কাজে আসা-যাওয়া করে অনেকে। দেশের বাইরে থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ রাজধানী আসছে। শহরে বসবাসরত ও বহিরাগত মিলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে।

এত মানুষের জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট গণশৌচাগার রয়েছে মাত্র ১০১টি। ঢাকায় পথচারী ও বস্তির বাসিন্দারা এখনও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার সুবিধা পাচ্ছেন না। একটি শৌচাগার ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হয় বহু বস্তিবাসীকে। এ পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায় রাজধানীতে গণশৌচাগারের অবস্থা কত করুণ।

রাজধানীতে গণশৌচাগারের এমন হতশ্রী অবস্থার মধ্য গতকাল শুক্রবার পালিত হয়েছে বিশ্ব শৌচাগার দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল, শৌচাগারের মূল্যায়ন।

রাজধানীবাসীকে দিনের অনেকটা সময় নানা কাজে ঘরের বাইরে অবস্থান করতে হয়। এ সময়ই সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় তাদের। ঘরের বাইরে গেলে গণশৌচাগারের সংকটের কারণে নানা সমস্যা পোহাতে হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পরে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীরা।

শৌচাগারের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বছরের পর বছর কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে যায় কীভাবে-সেটা ভেবে আমরা বিস্মিত হই। রাজধানীতে গণশৌচাগার যে স্থাপন করা হচ্ছে না তা নয়। কিন্তু সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার যেসব গণশৌচাগার আছে, তার বেশিরভাগই ব্যবহারের অনুপযোগী। দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে এগুলো কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারছে না। শৌচাগার ইজারা দিয়ে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয় বাড়লেও সেবার মানের দিকে তাদের নজর নেই বলে অভিযোগ নগরবাসীর।

গণশৌচাগার নিয়ে রাজধানীর বাসিন্দারা একবারেই স্বস্তিতে নেই। বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে মানসম্মত গণশৌচাগারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে, ঘনবসতি বা বস্তি এলাকা এবং বেশি লোক সমাগম হয় এমন স্থানে প্রয়োজনীয়সংখ্যক গণশৌচাগার স্থাপন করতে হবে। সেগুলোকে নগরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান গণশৌচাগারগুলো সংস্কার করতে হবে।

বস্তিবাসীদের প্রয়োজনের কথা ভুললে চলবে না। তাদের স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার সুবিধা দিতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

শৌচাগার সংকট থেকে রাজধানীবাসীকে উদ্ধার করুন

শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

জনসংখ্যার বিবেচনায় ঢাকা বিশ্বের একাদশতম বৃহত্তম মহানগরী। রাজধানীর জনসংখ্যা দুই কোটি ছুঁই ছুঁই। এর বাইরে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা কাজে আসা-যাওয়া করে অনেকে। দেশের বাইরে থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ রাজধানী আসছে। শহরে বসবাসরত ও বহিরাগত মিলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে।

এত মানুষের জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট গণশৌচাগার রয়েছে মাত্র ১০১টি। ঢাকায় পথচারী ও বস্তির বাসিন্দারা এখনও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার সুবিধা পাচ্ছেন না। একটি শৌচাগার ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হয় বহু বস্তিবাসীকে। এ পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায় রাজধানীতে গণশৌচাগারের অবস্থা কত করুণ।

রাজধানীতে গণশৌচাগারের এমন হতশ্রী অবস্থার মধ্য গতকাল শুক্রবার পালিত হয়েছে বিশ্ব শৌচাগার দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল, শৌচাগারের মূল্যায়ন।

রাজধানীবাসীকে দিনের অনেকটা সময় নানা কাজে ঘরের বাইরে অবস্থান করতে হয়। এ সময়ই সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় তাদের। ঘরের বাইরে গেলে গণশৌচাগারের সংকটের কারণে নানা সমস্যা পোহাতে হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পরে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীরা।

শৌচাগারের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বছরের পর বছর কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে যায় কীভাবে-সেটা ভেবে আমরা বিস্মিত হই। রাজধানীতে গণশৌচাগার যে স্থাপন করা হচ্ছে না তা নয়। কিন্তু সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার যেসব গণশৌচাগার আছে, তার বেশিরভাগই ব্যবহারের অনুপযোগী। দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে এগুলো কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারছে না। শৌচাগার ইজারা দিয়ে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয় বাড়লেও সেবার মানের দিকে তাদের নজর নেই বলে অভিযোগ নগরবাসীর।

গণশৌচাগার নিয়ে রাজধানীর বাসিন্দারা একবারেই স্বস্তিতে নেই। বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে মানসম্মত গণশৌচাগারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে, ঘনবসতি বা বস্তি এলাকা এবং বেশি লোক সমাগম হয় এমন স্থানে প্রয়োজনীয়সংখ্যক গণশৌচাগার স্থাপন করতে হবে। সেগুলোকে নগরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান গণশৌচাগারগুলো সংস্কার করতে হবে।

বস্তিবাসীদের প্রয়োজনের কথা ভুললে চলবে না। তাদের স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার সুবিধা দিতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।

back to top