alt

মতামত » সম্পাদকীয়

আইসিটি শিক্ষক সংকট দূর করুন

: রোববার, ২১ নভেম্বর ২০২১

আগামী বছর থেকেই নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের মোকাবিলায় দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাত দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিয়েছে সরকার। এজন্য নীতিনির্ধারকরা চাচ্ছেন, স্কুল পর্যায়েই শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তির হাতেখড়ি হোক।

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আলোকে ২০১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে পর্যায়ক্রমে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত আইসিটি নামক নতুন বিষয়কে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

পরিতাপের বিষয় হলো, দেশের অধিকাংশ স্কুল-কলেজে এখনও আইসিটির বিষয়ভিত্তিক ও দক্ষ শিক্ষক নেই। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, দেশে পুরোনো ৩১৭টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোনটিতেই ‘আইসিটি’ বিষয়ের শিক্ষক নেই। এমনকি এ বিষয়ের পদও নেই। সম্প্রতি জাতীয়করণ হওয়া ২৮৯টি বিদ্যালয় এবং দুটি প্রকল্পের আওতায় প্রতিষ্ঠিত নতুন ১৫টিসহ দেশে ছয় শতাধিক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কোন বিদ্যালয়ে আইসিটি শিক্ষক নেই। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুয়ায়ী, প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে বর্তমানে বিদ্যালয় পর্যায়ে ১৩ হাজার ৯২৬ জন এবং কলেজ পর্যায়ে চার হাজার ছয়জন আইসিটি শিক্ষক রয়েছেন। এ হিসেবে ন্যূনতম একজন করে ধরা হলেও প্রায় ২২ হাজার প্রতিষ্ঠানে ‘আইসিটি’ শিক্ষক নেই।

স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় বিষয়ের শিক্ষকরা আইসিটি বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে পাঠদান করছেন। তাছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বা খন্ডকালীন কম্পিউটার অপারেটর দিয়ে আইসিটি বিষয়ে পাঠদান চলছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানিয়েছেন, আইসিটি বিষয়টি পড়াতে হলে গভীর জ্ঞান থাকা দরকার। সেই প্রশিক্ষণ সাধারণ শিক্ষকদের নেই। তাই তাদের পক্ষে আইসিটি বিষয়ের গভীরে গিয়ে পাঠদান সম্ভব নয়।

তাছাড়া নবম-দশম শ্রেণীতে আইসিটি বিষয়ে ‘বেসিক প্রোগ্রামিং’ রয়েছে। আইসিটি শিক্ষকরা বিভিন্ন ধরনের টুলস (শিক্ষা উপকরণ) ব্যবহার করে পাঠদান করতে পারেন, অনেক গভীরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝাতে পারেন। যারা আইসিটি বিষয়ের ওপর এক বা দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তারা সেভাবে গভীরে গিয়ে পাঠদান করতে পারছেন না। নিজেরাই নবম-দশম শ্রেণীর আইসিটি বিষয়ের ল্যাঙ্গুয়েজ, প্রোগ্রামিং, কোডিং-এগুলো বুঝতে পারেন না।

আমরা মনে করি, অগ্রধিকার ভিত্তিতে সরকারের বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক সমস্যার সমাধান করা দরকার। কারণ ২০২২ শিক্ষাবর্ষ থেকেও নতুন শিক্ষাক্রমে আইসিটি বিষয়টিকে আধুনিকায়ন করে ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি’ নামে পূর্বের মতো বাধ্যতামূলক রাখা হয়েছে। এভাবে জোড়াতালি দিয়ে যদি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়, তাহলে সরকারের এমন একটি যুগোপযোগী শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন শুধু পাঠ্যবই এবং কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে বলে শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের অভিমত।

শুধু নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করে পাঠ্যপুস্তক ছাপালেই শিক্ষার্থীরা আপনাআপনি তথ্যপ্রযুক্তি শিখে যাবে না। বিষয়ভিত্তিক ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক থাকতে হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জোরালো পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

আইসিটি শিক্ষক সংকট দূর করুন

রোববার, ২১ নভেম্বর ২০২১

আগামী বছর থেকেই নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের মোকাবিলায় দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাত দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিয়েছে সরকার। এজন্য নীতিনির্ধারকরা চাচ্ছেন, স্কুল পর্যায়েই শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তির হাতেখড়ি হোক।

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আলোকে ২০১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে পর্যায়ক্রমে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত আইসিটি নামক নতুন বিষয়কে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

পরিতাপের বিষয় হলো, দেশের অধিকাংশ স্কুল-কলেজে এখনও আইসিটির বিষয়ভিত্তিক ও দক্ষ শিক্ষক নেই। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, দেশে পুরোনো ৩১৭টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোনটিতেই ‘আইসিটি’ বিষয়ের শিক্ষক নেই। এমনকি এ বিষয়ের পদও নেই। সম্প্রতি জাতীয়করণ হওয়া ২৮৯টি বিদ্যালয় এবং দুটি প্রকল্পের আওতায় প্রতিষ্ঠিত নতুন ১৫টিসহ দেশে ছয় শতাধিক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কোন বিদ্যালয়ে আইসিটি শিক্ষক নেই। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুয়ায়ী, প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে বর্তমানে বিদ্যালয় পর্যায়ে ১৩ হাজার ৯২৬ জন এবং কলেজ পর্যায়ে চার হাজার ছয়জন আইসিটি শিক্ষক রয়েছেন। এ হিসেবে ন্যূনতম একজন করে ধরা হলেও প্রায় ২২ হাজার প্রতিষ্ঠানে ‘আইসিটি’ শিক্ষক নেই।

স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় বিষয়ের শিক্ষকরা আইসিটি বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে পাঠদান করছেন। তাছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বা খন্ডকালীন কম্পিউটার অপারেটর দিয়ে আইসিটি বিষয়ে পাঠদান চলছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানিয়েছেন, আইসিটি বিষয়টি পড়াতে হলে গভীর জ্ঞান থাকা দরকার। সেই প্রশিক্ষণ সাধারণ শিক্ষকদের নেই। তাই তাদের পক্ষে আইসিটি বিষয়ের গভীরে গিয়ে পাঠদান সম্ভব নয়।

তাছাড়া নবম-দশম শ্রেণীতে আইসিটি বিষয়ে ‘বেসিক প্রোগ্রামিং’ রয়েছে। আইসিটি শিক্ষকরা বিভিন্ন ধরনের টুলস (শিক্ষা উপকরণ) ব্যবহার করে পাঠদান করতে পারেন, অনেক গভীরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝাতে পারেন। যারা আইসিটি বিষয়ের ওপর এক বা দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তারা সেভাবে গভীরে গিয়ে পাঠদান করতে পারছেন না। নিজেরাই নবম-দশম শ্রেণীর আইসিটি বিষয়ের ল্যাঙ্গুয়েজ, প্রোগ্রামিং, কোডিং-এগুলো বুঝতে পারেন না।

আমরা মনে করি, অগ্রধিকার ভিত্তিতে সরকারের বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক সমস্যার সমাধান করা দরকার। কারণ ২০২২ শিক্ষাবর্ষ থেকেও নতুন শিক্ষাক্রমে আইসিটি বিষয়টিকে আধুনিকায়ন করে ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি’ নামে পূর্বের মতো বাধ্যতামূলক রাখা হয়েছে। এভাবে জোড়াতালি দিয়ে যদি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়, তাহলে সরকারের এমন একটি যুগোপযোগী শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন শুধু পাঠ্যবই এবং কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে বলে শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের অভিমত।

শুধু নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করে পাঠ্যপুস্তক ছাপালেই শিক্ষার্থীরা আপনাআপনি তথ্যপ্রযুক্তি শিখে যাবে না। বিষয়ভিত্তিক ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক থাকতে হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জোরালো পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

back to top