alt

opinion » editorial

বায়ুদূষণ রোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

: শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১

রাজধানীর বায়ুদূষণ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে অনেক আগেই। অতীতেও বিভিন্ন বৈশ্বিক মানদন্ডে দূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল উপরের দিকে। বৈশ্বিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২১ নভেম্বরও দূষণের তালিকায় শীর্ষস্থানে ছিল রাজধানী ঢাকা। এর আগেও কয়েকবার বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা।

উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বায়ুদূষণ শুধু ঢাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। আশেপাশের জেলা মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরেও এ দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে। বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ শহরের তালিকায় বাংলাদেশেরই রয়েছে চারটি এলাকা।

২০২০ সালের শীর্ষ ১০০ দূষিত শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে আইকিউ এয়ার। তালিকায় ১৬ নম্বরে রয়েছে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী শহর মানিকগঞ্জ। তাছাড়া ঢাকা, ঢাকার আজিমপুর ও গাজীপুরের শ্রীপুর রয়েছে যথাক্রমে ২৩, ৬০ ও ৬১ নম্বরে।

যে কোন দেশের উন্নয়নের শুরুর দিকে অনেক ধরনের দূষণ ঘটে বা মারাত্মক দূষণের শিকার হয়। সড়ক উন্নয়ন, ইউলুপ ও উড়ালসেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল নির্মাণ, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য রাজধানীতে খোঁড়াখুঁড়ি এখন নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। এসব উন্নয়ন জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ হলেও কোন কাজই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় না বলে অভিযোগ। তাছাড়া ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরে ড্রেনের ময়লাগুলো রাস্তার পাশে জমিয়ে রাখা হয়। একসময় এগুলো শুকিয়ে ধূলিকতায় পরিণত হয়ে দূষিত হয় বায়ু। সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িগুলো অধিকাংশ সময় না ঢেকেই ময়লা বহন করে। ফলে বায়ুদূষণ ঘটছে প্রতিনিয়তই।

ঢাকার আশপাশসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ছাড়পত্রবিহীন এসব ইটভাটা বায়ুষণের জন্য ৫৮ শতাংশ দায়ী। এসব ইটভাটা নিয়ন্ত্রণে সরকারের তেমন কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ে না।

রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো। এগুলো নির্মাণের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না ইমারত নির্মাণবিধি। সংশ্লিষ্টদের এসব তদারকের কার্যকরী ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায় না।

ধোঁয়া ও ধুলা বাতাসে ক্ষুদ্র কণা ছড়ায়, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন এসব উপাদানের ভেতর দিয়ে চলাচল করলে হৃদরোগ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

বায়ুদূষণের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা নেয়া দরকার। বায়ুদূষণ রোধে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে না পারলে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। দূষণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে।

দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা নানা প্রকল্প নিয়ে থাকে। দূষণবিরোধী কর্মকান্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

tab

opinion » editorial

বায়ুদূষণ রোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১

রাজধানীর বায়ুদূষণ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে অনেক আগেই। অতীতেও বিভিন্ন বৈশ্বিক মানদন্ডে দূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল উপরের দিকে। বৈশ্বিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২১ নভেম্বরও দূষণের তালিকায় শীর্ষস্থানে ছিল রাজধানী ঢাকা। এর আগেও কয়েকবার বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা।

উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বায়ুদূষণ শুধু ঢাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। আশেপাশের জেলা মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরেও এ দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে। বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ শহরের তালিকায় বাংলাদেশেরই রয়েছে চারটি এলাকা।

২০২০ সালের শীর্ষ ১০০ দূষিত শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে আইকিউ এয়ার। তালিকায় ১৬ নম্বরে রয়েছে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী শহর মানিকগঞ্জ। তাছাড়া ঢাকা, ঢাকার আজিমপুর ও গাজীপুরের শ্রীপুর রয়েছে যথাক্রমে ২৩, ৬০ ও ৬১ নম্বরে।

যে কোন দেশের উন্নয়নের শুরুর দিকে অনেক ধরনের দূষণ ঘটে বা মারাত্মক দূষণের শিকার হয়। সড়ক উন্নয়ন, ইউলুপ ও উড়ালসেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল নির্মাণ, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য রাজধানীতে খোঁড়াখুঁড়ি এখন নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। এসব উন্নয়ন জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ হলেও কোন কাজই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় না বলে অভিযোগ। তাছাড়া ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরে ড্রেনের ময়লাগুলো রাস্তার পাশে জমিয়ে রাখা হয়। একসময় এগুলো শুকিয়ে ধূলিকতায় পরিণত হয়ে দূষিত হয় বায়ু। সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িগুলো অধিকাংশ সময় না ঢেকেই ময়লা বহন করে। ফলে বায়ুদূষণ ঘটছে প্রতিনিয়তই।

ঢাকার আশপাশসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ছাড়পত্রবিহীন এসব ইটভাটা বায়ুষণের জন্য ৫৮ শতাংশ দায়ী। এসব ইটভাটা নিয়ন্ত্রণে সরকারের তেমন কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ে না।

রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো। এগুলো নির্মাণের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না ইমারত নির্মাণবিধি। সংশ্লিষ্টদের এসব তদারকের কার্যকরী ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায় না।

ধোঁয়া ও ধুলা বাতাসে ক্ষুদ্র কণা ছড়ায়, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন এসব উপাদানের ভেতর দিয়ে চলাচল করলে হৃদরোগ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

বায়ুদূষণের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা নেয়া দরকার। বায়ুদূষণ রোধে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে না পারলে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। দূষণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে।

দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা নানা প্রকল্প নিয়ে থাকে। দূষণবিরোধী কর্মকান্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

back to top