alt

opinion » editorial

পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি

: বৃহস্পতিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২১

আজ পার্বত্য চুক্তির ২৪ বছর পূর্তি হয়েছে। দীর্ঘ দুই যুগেও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রধান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিভিন্ন সময় হতাশা প্রকাশ করেছেন। সরকার বলছে, পার্বত্য চুক্তির ৪৮টি ধারা পূর্ণাঙ্গ এবং ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে ধারা ছিল ৭২টি।

সরকার পাহাড়ে অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাচ্ছে। তবে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হলে সেখানে উন্নয়ন টেকসই হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পাহাড়ে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেখানকার ভূমি বিরোধ মেটাতে হবে। এই লক্ষ্যে ২০০১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন করা হয়েছে। তবে আইনটি নিয়ে দেশে বিতর্ক সৃষ্টি হলে তা নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে তা সংশোধন করা হয়। কিন্তু সংশোধিত আইনের বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি আজও। আর এ কারণে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিচারিক কাজ শুরু করতে পারেনি ভূমি কমিশন।

দ্রুত ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের বিধিমালা করা হবে সেটা আমাদের আশা। ভূমি কমিশনকে কার্যকর করে ভূমির বিরোধ নিষ্পত্তি করা গেলে পাহাড়ের সিংহভাগ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস দূর করার জন্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি।

পার্বত্য অঞ্চলের একাধিক সংগঠন ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ে সক্রিয় রয়েছে অন্তত চারটি পরস্পরবিরোধী আঞ্চলিক সংগঠন। শান্তিচুক্তিকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব-বিবাদ তৈরি হলেও পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারই এখন তাদের মূল এজেন্ডায় পরিণত হয়েছে। এর ফলে সেখানে প্রায়ই হতাহতের ঘটনা ঘটছে। সংঘাত-সংঘর্ষে যারা মারা যাচ্ছে তাদের সিংহভাগই আঞ্চলিক দলের নেতাকর্মী।

পার্বত্য অঞ্চলের এসব সংগঠন অস্ত্র আর অর্থের ভান্ডার গড়ে তুলেছে বলে জানা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের অর্থ আর অস্ত্রের উৎস কী। আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষগুলো কী ভূমিকা রাখছে সেটা জানা জরুরি। অভিযোগ রয়েছে, স্বার্থান্বেষী কোন কোন গোষ্ঠী পাহাড়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতকে জিইয়ে রেখেছে। তারা চায় না যে, ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের অবসান ঘটুক, পাহাড়ে শান্তি ফিরুক। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে সরকার ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি

বৃহস্পতিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২১

আজ পার্বত্য চুক্তির ২৪ বছর পূর্তি হয়েছে। দীর্ঘ দুই যুগেও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রধান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিভিন্ন সময় হতাশা প্রকাশ করেছেন। সরকার বলছে, পার্বত্য চুক্তির ৪৮টি ধারা পূর্ণাঙ্গ এবং ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে ধারা ছিল ৭২টি।

সরকার পাহাড়ে অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাচ্ছে। তবে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হলে সেখানে উন্নয়ন টেকসই হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পাহাড়ে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেখানকার ভূমি বিরোধ মেটাতে হবে। এই লক্ষ্যে ২০০১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন করা হয়েছে। তবে আইনটি নিয়ে দেশে বিতর্ক সৃষ্টি হলে তা নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে তা সংশোধন করা হয়। কিন্তু সংশোধিত আইনের বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি আজও। আর এ কারণে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিচারিক কাজ শুরু করতে পারেনি ভূমি কমিশন।

দ্রুত ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের বিধিমালা করা হবে সেটা আমাদের আশা। ভূমি কমিশনকে কার্যকর করে ভূমির বিরোধ নিষ্পত্তি করা গেলে পাহাড়ের সিংহভাগ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস দূর করার জন্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি।

পার্বত্য অঞ্চলের একাধিক সংগঠন ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ে সক্রিয় রয়েছে অন্তত চারটি পরস্পরবিরোধী আঞ্চলিক সংগঠন। শান্তিচুক্তিকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব-বিবাদ তৈরি হলেও পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারই এখন তাদের মূল এজেন্ডায় পরিণত হয়েছে। এর ফলে সেখানে প্রায়ই হতাহতের ঘটনা ঘটছে। সংঘাত-সংঘর্ষে যারা মারা যাচ্ছে তাদের সিংহভাগই আঞ্চলিক দলের নেতাকর্মী।

পার্বত্য অঞ্চলের এসব সংগঠন অস্ত্র আর অর্থের ভান্ডার গড়ে তুলেছে বলে জানা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের অর্থ আর অস্ত্রের উৎস কী। আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষগুলো কী ভূমিকা রাখছে সেটা জানা জরুরি। অভিযোগ রয়েছে, স্বার্থান্বেষী কোন কোন গোষ্ঠী পাহাড়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতকে জিইয়ে রেখেছে। তারা চায় না যে, ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের অবসান ঘটুক, পাহাড়ে শান্তি ফিরুক। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে সরকার ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা।

back to top