alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে টেকসই ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২২

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকও এ আইনের ‘কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে’ বলে মেনে নিয়েছেন। সাংবাদিকেদের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা হলে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার না করার কথাও তিনি বলেছেন।

সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী নানা প্লাটফর্মে এ অভিযোগ করে আসছিলেন যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। আইন করার সময় এই বলে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, এর অপপ্রয়োগ করা হবে না। বাস্তবে এর উল্টোটা ঘটতে দেখা যায়। আইনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশই সাংবাদিক ও লেখক। অনেককে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখিও করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জামিনও মেলে না সহজে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা আর্টিকেল ১৯-এর হিসাব অনুযায়ী, এ আইনে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত মামলা হয়েছে ২২৫টি ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৬৬ জনকে, যার মধ্যে সাংবাদিক রয়েছেন ১৫ জন।

কেউ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করে কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করলে তার বিচার করা হবে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু কোন আইনের কারণে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়া কাম্য নয় যার ফলে মতপ্রকাশের পথে বাধা তৈরি হয়, গণমাধ্যমের বিকাশের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। গণতান্ত্রিক সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, মতপ্রকাশের পথকে মসৃণ করা।

কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশে মুক্ত মত প্রকাশের ক্ষেত্রে এক ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। মানুষের মত প্রকাশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এমনকি কোন মতকে সমর্থন জানানো অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোন পোস্টে লাইক দিতে ও শেয়ার করতেও মানুষ এখন ভয় পায়। এমন ভীতিকর পরিবেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশে কল্পনা করা যায় না। আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘আইনটির অপব্যবহারের কারণে একটা ধারণা জন্মেছে যে বাক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার রোধ করতে এ আইন করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই আইন এর কোনটাকেই বন্ধ বা বাদ দেয়ার জন্য করা হয়নি।’

আশার কথা হচ্ছে, আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার নিয়ে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এরপর এই আইনের অপপ্রয়োগ টেকসইভাবে বন্ধ হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আইনটির বিতর্কিত ধারাগুলো বাতিল বা সংশোধন করা হয়।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে টেকসই ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২২

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকও এ আইনের ‘কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে’ বলে মেনে নিয়েছেন। সাংবাদিকেদের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা হলে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার না করার কথাও তিনি বলেছেন।

সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী নানা প্লাটফর্মে এ অভিযোগ করে আসছিলেন যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। আইন করার সময় এই বলে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, এর অপপ্রয়োগ করা হবে না। বাস্তবে এর উল্টোটা ঘটতে দেখা যায়। আইনে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশই সাংবাদিক ও লেখক। অনেককে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখিও করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জামিনও মেলে না সহজে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা আর্টিকেল ১৯-এর হিসাব অনুযায়ী, এ আইনে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত মামলা হয়েছে ২২৫টি ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৬৬ জনকে, যার মধ্যে সাংবাদিক রয়েছেন ১৫ জন।

কেউ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করে কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করলে তার বিচার করা হবে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু কোন আইনের কারণে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়া কাম্য নয় যার ফলে মতপ্রকাশের পথে বাধা তৈরি হয়, গণমাধ্যমের বিকাশের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। গণতান্ত্রিক সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, মতপ্রকাশের পথকে মসৃণ করা।

কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশে মুক্ত মত প্রকাশের ক্ষেত্রে এক ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। মানুষের মত প্রকাশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এমনকি কোন মতকে সমর্থন জানানো অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোন পোস্টে লাইক দিতে ও শেয়ার করতেও মানুষ এখন ভয় পায়। এমন ভীতিকর পরিবেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশে কল্পনা করা যায় না। আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘আইনটির অপব্যবহারের কারণে একটা ধারণা জন্মেছে যে বাক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার রোধ করতে এ আইন করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই আইন এর কোনটাকেই বন্ধ বা বাদ দেয়ার জন্য করা হয়নি।’

আশার কথা হচ্ছে, আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার নিয়ে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এরপর এই আইনের অপপ্রয়োগ টেকসইভাবে বন্ধ হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আইনটির বিতর্কিত ধারাগুলো বাতিল বা সংশোধন করা হয়।

back to top