alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবনের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক

: শনিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২২

উচ্চ ফলনশীলসহ শতাধিক বিভিন্ন ধানের জাত আবিষ্কারের কৃতিত্ব রয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি)। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সময় নানা ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতিও উদ্ভাবন করেছে। তাদের উদ্ভাবিত কৃষিযন্ত্রের আরও একটি নতুন সংযোজন হলো দেশের জমিতে ব্যবহারের উপযোগী ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার। ব্রির বিজ্ঞানীরা নিজেরা গবেষণা করে ধান কাটার যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেছেন বলে জানা গেছে। যদিও এর ইঞ্জিনটি বিদেশ থেকে আমদানিকৃত।

ব্রির বিজ্ঞানীদের এ উদ্ভাবন দেশের কৃষি খাতের জন্য একটি সুখবর বলে আমরা মনে করি। তাদের উদ্ভাবিত যন্ত্রটির দাম পড়বে মাত্র ১২-১৩ লাখ টাকা। বিদেশ থেকে আমদানি করতে যার খরচ পড়ত ২৫-৩০ লাখ টাকা। উদ্ভাবিত যন্ত্রটির ইঞ্জিনের ক্ষমতা ৮৭ হর্স পাওয়ার। এটি ঘণ্টায় তিন-চার বিঘা জমির ধান কাটতে সক্ষম। এর জ্বালানি খরচও তুলনামূলক কম- ঘণ্টায় সাড়ে তিন থেকে চার লিটার। পাশাপাশি এটির হারভেস্টিং লস শতকরা এক ভাগের কম বলে জানা গেছে। যন্ত্রটি খন্ড খন্ড জমিতেও ব্যবহার উপযোগী। আশা করি, কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র দেশের কৃষি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা বাংলাদেশকে এমন এক জায়গায় দেখতে চাই, এ ধরনের যন্ত্র উদ্ভাবনে যখন ইঞ্জিনও আমদানি করতে হবে না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। যন্ত্রটি যাতে কৃষকরা কাজে লাগাতে পারেন সেজন্য সহজলভ্য করতে হবে। এটির ব্যবহার যেন সহজ ও পরিবেশবান্ধব হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে।

বলা হয়েছে যন্ত্রটির খরচ কম হবে। আমদানি করা যন্ত্রের চেয়ে খরচ কম, সেটা ঠিক আছে। তারপরও এটি কিনতে ১০-১২ লাখ টাকার মতো খরচ পড়বে। দেশের সিংহভাগ কৃষকই এটা কেনার সামর্থ্য রাখেন কি না সেটাও ভাবতে হবে। কৃষকরা যদি নতুন উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে না পারেন তাহলে এর সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। তাই ব্যয় সাশ্রয়ী কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবনের চেষ্টা চালাতে হবে। সেগুলো যাতে কৃষকের ঘরে ঘরে পেঁৗঁছে যায়, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। পাশাপাশি দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব যন্ত্রপাতি যাতে বিদেশেও রপ্তানি করা যায় সেই দিকেও বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। উদ্ভাবনের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবনের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক

শনিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২২

উচ্চ ফলনশীলসহ শতাধিক বিভিন্ন ধানের জাত আবিষ্কারের কৃতিত্ব রয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি)। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সময় নানা ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতিও উদ্ভাবন করেছে। তাদের উদ্ভাবিত কৃষিযন্ত্রের আরও একটি নতুন সংযোজন হলো দেশের জমিতে ব্যবহারের উপযোগী ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার। ব্রির বিজ্ঞানীরা নিজেরা গবেষণা করে ধান কাটার যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেছেন বলে জানা গেছে। যদিও এর ইঞ্জিনটি বিদেশ থেকে আমদানিকৃত।

ব্রির বিজ্ঞানীদের এ উদ্ভাবন দেশের কৃষি খাতের জন্য একটি সুখবর বলে আমরা মনে করি। তাদের উদ্ভাবিত যন্ত্রটির দাম পড়বে মাত্র ১২-১৩ লাখ টাকা। বিদেশ থেকে আমদানি করতে যার খরচ পড়ত ২৫-৩০ লাখ টাকা। উদ্ভাবিত যন্ত্রটির ইঞ্জিনের ক্ষমতা ৮৭ হর্স পাওয়ার। এটি ঘণ্টায় তিন-চার বিঘা জমির ধান কাটতে সক্ষম। এর জ্বালানি খরচও তুলনামূলক কম- ঘণ্টায় সাড়ে তিন থেকে চার লিটার। পাশাপাশি এটির হারভেস্টিং লস শতকরা এক ভাগের কম বলে জানা গেছে। যন্ত্রটি খন্ড খন্ড জমিতেও ব্যবহার উপযোগী। আশা করি, কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র দেশের কৃষি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা বাংলাদেশকে এমন এক জায়গায় দেখতে চাই, এ ধরনের যন্ত্র উদ্ভাবনে যখন ইঞ্জিনও আমদানি করতে হবে না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। যন্ত্রটি যাতে কৃষকরা কাজে লাগাতে পারেন সেজন্য সহজলভ্য করতে হবে। এটির ব্যবহার যেন সহজ ও পরিবেশবান্ধব হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে।

বলা হয়েছে যন্ত্রটির খরচ কম হবে। আমদানি করা যন্ত্রের চেয়ে খরচ কম, সেটা ঠিক আছে। তারপরও এটি কিনতে ১০-১২ লাখ টাকার মতো খরচ পড়বে। দেশের সিংহভাগ কৃষকই এটা কেনার সামর্থ্য রাখেন কি না সেটাও ভাবতে হবে। কৃষকরা যদি নতুন উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে না পারেন তাহলে এর সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। তাই ব্যয় সাশ্রয়ী কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবনের চেষ্টা চালাতে হবে। সেগুলো যাতে কৃষকের ঘরে ঘরে পেঁৗঁছে যায়, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। পাশাপাশি দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব যন্ত্রপাতি যাতে বিদেশেও রপ্তানি করা যায় সেই দিকেও বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। উদ্ভাবনের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

back to top