alt

মতামত » সম্পাদকীয়

তিস্তায় কেন বিদ্যুৎ প্রকল্প

: রোববার, ০২ জানুয়ারী ২০২২

যে যেভাবে পারছে নদী দখল করছে। এবার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে তিস্তা নদী দখলের অভিযোগ উঠেছে। নদীর ভেতরে ৩০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ইনট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড’। জানা গেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সঙ্গে চুক্তিও করেছে। নদীতে এখন নির্মাণযজ্ঞ চলছে। যখন তিস্তা খনন ও রক্ষার দাবি উঠেছে তখন নদীর বুক চিরে তৈরি করা হয়েছে পাকা সড়ক। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

আদালত নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করেছে। একটি জীবন্ত সত্তার মাঝে গিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প শুরু করা হলো কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ার সময় নদীর অস্তিত্ব রক্ষার কথা কি সংশ্লিষ্টরা বিবেচনা করেছেন? নদীর অভিভাবক জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের কাছ থেকে কি অনাপত্তি নেয়া হয়েছে? পরিবেশ অধিদপ্তর কি ছাড়পত্র দিয়েছে? বৈধ কাগজপত্র না থাকলে উক্ত প্রতিষ্ঠান সেখানে প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে এত বড় কাজ করছে কীভাবে?

নদী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো যথাযথ ভূমিকা রাখছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীর ভেতর এত বড় একটি স্থাপনা গড়ে উঠছে সেটা কোন কর্তৃপক্ষের নজরেই কি পড়েনি? তিস্তার বুকে বিদ্যুৎ প্রকল্প করার খবর আরও আগেই জানা গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এটা বন্ধে সংশ্লিষ্টরা কী পদক্ষেপ নিয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বশীলরা নদ-নদীগুলো নিজ উদ্যোগে দেখভাল করে না। দখল-দূষণ নিয়ে মানুষ প্রতিবাদ করলে, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও তাদের ভাবান্তর হয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত না দখল-দূষণের বিষয় আদালত পর্যন্ত গড়ায় বা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কোন নির্দেশনা না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা নিশ্চুপ-নিষ্ক্রিয় থাকে। তাদের নীরবতা নদ-নদী দখলের বড় একটি কারণ।

তিস্তার অস্তিত্ব বিপন্ন করে এমন কোন প্রকল্প আমরা চাই না। সেখানে আমরা পানির প্রবাহ দেখতে চাই, কোন স্থাপনা বা পাকা সড়ক চাই না। নদীর ভেতরে কীভাবে বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। এর সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতা আদায় করা জরুরি।

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

তিস্তায় কেন বিদ্যুৎ প্রকল্প

রোববার, ০২ জানুয়ারী ২০২২

যে যেভাবে পারছে নদী দখল করছে। এবার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে তিস্তা নদী দখলের অভিযোগ উঠেছে। নদীর ভেতরে ৩০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ইনট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড’। জানা গেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সঙ্গে চুক্তিও করেছে। নদীতে এখন নির্মাণযজ্ঞ চলছে। যখন তিস্তা খনন ও রক্ষার দাবি উঠেছে তখন নদীর বুক চিরে তৈরি করা হয়েছে পাকা সড়ক। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

আদালত নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করেছে। একটি জীবন্ত সত্তার মাঝে গিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প শুরু করা হলো কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ার সময় নদীর অস্তিত্ব রক্ষার কথা কি সংশ্লিষ্টরা বিবেচনা করেছেন? নদীর অভিভাবক জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের কাছ থেকে কি অনাপত্তি নেয়া হয়েছে? পরিবেশ অধিদপ্তর কি ছাড়পত্র দিয়েছে? বৈধ কাগজপত্র না থাকলে উক্ত প্রতিষ্ঠান সেখানে প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে এত বড় কাজ করছে কীভাবে?

নদী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো যথাযথ ভূমিকা রাখছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীর ভেতর এত বড় একটি স্থাপনা গড়ে উঠছে সেটা কোন কর্তৃপক্ষের নজরেই কি পড়েনি? তিস্তার বুকে বিদ্যুৎ প্রকল্প করার খবর আরও আগেই জানা গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এটা বন্ধে সংশ্লিষ্টরা কী পদক্ষেপ নিয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বশীলরা নদ-নদীগুলো নিজ উদ্যোগে দেখভাল করে না। দখল-দূষণ নিয়ে মানুষ প্রতিবাদ করলে, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও তাদের ভাবান্তর হয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত না দখল-দূষণের বিষয় আদালত পর্যন্ত গড়ায় বা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কোন নির্দেশনা না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা নিশ্চুপ-নিষ্ক্রিয় থাকে। তাদের নীরবতা নদ-নদী দখলের বড় একটি কারণ।

তিস্তার অস্তিত্ব বিপন্ন করে এমন কোন প্রকল্প আমরা চাই না। সেখানে আমরা পানির প্রবাহ দেখতে চাই, কোন স্থাপনা বা পাকা সড়ক চাই না। নদীর ভেতরে কীভাবে বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। এর সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতা আদায় করা জরুরি।

back to top