যে যেভাবে পারছে নদী দখল করছে। এবার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে তিস্তা নদী দখলের অভিযোগ উঠেছে। নদীর ভেতরে ৩০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ইনট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড’। জানা গেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সঙ্গে চুক্তিও করেছে। নদীতে এখন নির্মাণযজ্ঞ চলছে। যখন তিস্তা খনন ও রক্ষার দাবি উঠেছে তখন নদীর বুক চিরে তৈরি করা হয়েছে পাকা সড়ক। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আদালত নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করেছে। একটি জীবন্ত সত্তার মাঝে গিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প শুরু করা হলো কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ার সময় নদীর অস্তিত্ব রক্ষার কথা কি সংশ্লিষ্টরা বিবেচনা করেছেন? নদীর অভিভাবক জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের কাছ থেকে কি অনাপত্তি নেয়া হয়েছে? পরিবেশ অধিদপ্তর কি ছাড়পত্র দিয়েছে? বৈধ কাগজপত্র না থাকলে উক্ত প্রতিষ্ঠান সেখানে প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে এত বড় কাজ করছে কীভাবে?
নদী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো যথাযথ ভূমিকা রাখছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীর ভেতর এত বড় একটি স্থাপনা গড়ে উঠছে সেটা কোন কর্তৃপক্ষের নজরেই কি পড়েনি? তিস্তার বুকে বিদ্যুৎ প্রকল্প করার খবর আরও আগেই জানা গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এটা বন্ধে সংশ্লিষ্টরা কী পদক্ষেপ নিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বশীলরা নদ-নদীগুলো নিজ উদ্যোগে দেখভাল করে না। দখল-দূষণ নিয়ে মানুষ প্রতিবাদ করলে, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও তাদের ভাবান্তর হয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত না দখল-দূষণের বিষয় আদালত পর্যন্ত গড়ায় বা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কোন নির্দেশনা না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা নিশ্চুপ-নিষ্ক্রিয় থাকে। তাদের নীরবতা নদ-নদী দখলের বড় একটি কারণ।
তিস্তার অস্তিত্ব বিপন্ন করে এমন কোন প্রকল্প আমরা চাই না। সেখানে আমরা পানির প্রবাহ দেখতে চাই, কোন স্থাপনা বা পাকা সড়ক চাই না। নদীর ভেতরে কীভাবে বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। এর সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতা আদায় করা জরুরি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ০২ জানুয়ারী ২০২২
যে যেভাবে পারছে নদী দখল করছে। এবার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে তিস্তা নদী দখলের অভিযোগ উঠেছে। নদীর ভেতরে ৩০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ইনট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড’। জানা গেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সঙ্গে চুক্তিও করেছে। নদীতে এখন নির্মাণযজ্ঞ চলছে। যখন তিস্তা খনন ও রক্ষার দাবি উঠেছে তখন নদীর বুক চিরে তৈরি করা হয়েছে পাকা সড়ক। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আদালত নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করেছে। একটি জীবন্ত সত্তার মাঝে গিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প শুরু করা হলো কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ার সময় নদীর অস্তিত্ব রক্ষার কথা কি সংশ্লিষ্টরা বিবেচনা করেছেন? নদীর অভিভাবক জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের কাছ থেকে কি অনাপত্তি নেয়া হয়েছে? পরিবেশ অধিদপ্তর কি ছাড়পত্র দিয়েছে? বৈধ কাগজপত্র না থাকলে উক্ত প্রতিষ্ঠান সেখানে প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে এত বড় কাজ করছে কীভাবে?
নদী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো যথাযথ ভূমিকা রাখছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীর ভেতর এত বড় একটি স্থাপনা গড়ে উঠছে সেটা কোন কর্তৃপক্ষের নজরেই কি পড়েনি? তিস্তার বুকে বিদ্যুৎ প্রকল্প করার খবর আরও আগেই জানা গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এটা বন্ধে সংশ্লিষ্টরা কী পদক্ষেপ নিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বশীলরা নদ-নদীগুলো নিজ উদ্যোগে দেখভাল করে না। দখল-দূষণ নিয়ে মানুষ প্রতিবাদ করলে, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও তাদের ভাবান্তর হয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত না দখল-দূষণের বিষয় আদালত পর্যন্ত গড়ায় বা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কোন নির্দেশনা না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা নিশ্চুপ-নিষ্ক্রিয় থাকে। তাদের নীরবতা নদ-নদী দখলের বড় একটি কারণ।
তিস্তার অস্তিত্ব বিপন্ন করে এমন কোন প্রকল্প আমরা চাই না। সেখানে আমরা পানির প্রবাহ দেখতে চাই, কোন স্থাপনা বা পাকা সড়ক চাই না। নদীর ভেতরে কীভাবে বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। এর সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতা আদায় করা জরুরি।