alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর লক্ষ্য কি যথাসময়ে পূরণ হবে

: মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২

বছর শুরুর প্রথম দুই দিনেই সড়কে ঝরেছে ১৭ প্রাণ। সড়ক দুর্ঘটান বেড়েই চলছে। গত এক বছরে সারাদেশে চার হাজার ৬৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটানয় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ছয় হাজার ৫৫৩ জন, যা ২০২০ সালের চেয়ে ১২২ জন বেশি। সে বছর প্রাণ হারিয়েছিল পাঁচ হাজার ৪৩১ জন।

সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ চোখে পরে না। কাগজে কলমে নানা পরিকল্পনা রয়েছে। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ঘোষণা করে ২০১৫ সালে। সে বছরই সড়কে প্রাণ হারিয়েছে ৫ হাজার তিনজন। ১৫ বছর মেয়াদি এসডিজি অর্জনে ২০৩০ সালে সরকার সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর আগে জাতিসংঘ ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এক দশকে সারা বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি অর্ধেক কমিয়ে আনার ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ এই ঘোষণাপত্রে সই করে।

এর বাইরে সরকার সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ১৯৯৭ সাল থেকে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা করে আসছে। এর মধ্যে সাতটি পরিকল্পনা হয়েছে। সর্বশেষ পরিকল্পনায় ২০২৪ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনার যে লক্ষ্য বিভিন্ন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে তা কি নির্ধারিত সময়ে অর্জিত হবে? দুর্ঘটনার ঊর্ধ্বমুখী পরিসংখ্যান দেখে সেই ভরসা জাগে না। মহামারী করোনার সময়ে দীর্ঘদিন যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। লক্ষ্য পূরণের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাও যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। বাকি সময়ে এতবড় লক্ষ্য অর্জিত হবে কিনাÑসেটা নিয়ে সংশয় থাকলেও সংশ্লিষ্টদের এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।

এক এক সময় এক একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করাই সার। একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিলেই আপনা আপনি পূরণ হয়ে যাবে না। লক্ষ্য পূরণে কাজও করতে হয়। টেকসইভাবে লক্ষ্য অর্জনে কোন পদক্ষেপই কার্যকর বা যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি।

সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি ও আহত হওয়ার বিষয়টি শুধু সংখ্যার বিচারে বিবেচনা করলে হবে না। প্রতিটি প্রাণ অমূল্য। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে যারা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারায় তারা কর্মক্ষমতা হারিয়ে পরিবারের বোঝায় পরিণত হয়।

দুর্ঘটনা কেন ঘটে বা এটা প্রতিরোধে করণীয় কীÑসেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রশ্ন হচ্ছেÑকরণীয়গুলো যথাযথাভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা। সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনার কারণে মূলত দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না বলে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর লক্ষ্য কি যথাসময়ে পূরণ হবে

মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২

বছর শুরুর প্রথম দুই দিনেই সড়কে ঝরেছে ১৭ প্রাণ। সড়ক দুর্ঘটান বেড়েই চলছে। গত এক বছরে সারাদেশে চার হাজার ৬৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটানয় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ছয় হাজার ৫৫৩ জন, যা ২০২০ সালের চেয়ে ১২২ জন বেশি। সে বছর প্রাণ হারিয়েছিল পাঁচ হাজার ৪৩১ জন।

সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে কার্যকর কোন পদক্ষেপ চোখে পরে না। কাগজে কলমে নানা পরিকল্পনা রয়েছে। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ঘোষণা করে ২০১৫ সালে। সে বছরই সড়কে প্রাণ হারিয়েছে ৫ হাজার তিনজন। ১৫ বছর মেয়াদি এসডিজি অর্জনে ২০৩০ সালে সরকার সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর আগে জাতিসংঘ ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এক দশকে সারা বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি অর্ধেক কমিয়ে আনার ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ এই ঘোষণাপত্রে সই করে।

এর বাইরে সরকার সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ১৯৯৭ সাল থেকে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা করে আসছে। এর মধ্যে সাতটি পরিকল্পনা হয়েছে। সর্বশেষ পরিকল্পনায় ২০২৪ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনার যে লক্ষ্য বিভিন্ন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে তা কি নির্ধারিত সময়ে অর্জিত হবে? দুর্ঘটনার ঊর্ধ্বমুখী পরিসংখ্যান দেখে সেই ভরসা জাগে না। মহামারী করোনার সময়ে দীর্ঘদিন যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। লক্ষ্য পূরণের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাও যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। বাকি সময়ে এতবড় লক্ষ্য অর্জিত হবে কিনাÑসেটা নিয়ে সংশয় থাকলেও সংশ্লিষ্টদের এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।

এক এক সময় এক একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করাই সার। একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিলেই আপনা আপনি পূরণ হয়ে যাবে না। লক্ষ্য পূরণে কাজও করতে হয়। টেকসইভাবে লক্ষ্য অর্জনে কোন পদক্ষেপই কার্যকর বা যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি।

সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি ও আহত হওয়ার বিষয়টি শুধু সংখ্যার বিচারে বিবেচনা করলে হবে না। প্রতিটি প্রাণ অমূল্য। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে যারা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারায় তারা কর্মক্ষমতা হারিয়ে পরিবারের বোঝায় পরিণত হয়।

দুর্ঘটনা কেন ঘটে বা এটা প্রতিরোধে করণীয় কীÑসেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রশ্ন হচ্ছেÑকরণীয়গুলো যথাযথাভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা। সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনার কারণে মূলত দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না বলে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

back to top