alt

মতামত » সম্পাদকীয়

দশমিনার চরাঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করুন

: মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর বুকচিরে জেগে ওঠা চরাঞ্চলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন এসব ভূখ-ে দীর্ঘ ৫০ বছরেও নির্মাণ করা হয়নি বেড়িবাঁধ। এসব চরাঞ্চল জোয়ারের পানিতে ডুবে, আবার ভাটায় জেগে ওঠে। মাঝখানে দুর্ভোগের শিকার হয় বাসিন্দারা। তাছাড়া প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার ফসলহানি তো আছেই। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চরবোরহান, চরশাহজালাল, লালচরসহ কয়েকটি চর উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এসব চরাঞ্চলে বিভিন্ন অঞ্চলের ভাগ্যহারা মানুষ অর্ধশত বছর আগে বসতি স্থাপন করে। বেড়িবাঁধ না থাকায় নদীর জোয়ারের পানি ঢুকে যায়। বর্ষা মৌসুমে জোয়ারে ৩-৪ ফুট পানিতে ডুবে থাকে এসব এলাকা। প্রতি বছর ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ্বাসে চরাঞ্চলের মানুষের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। চরের মানুষকে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হয়।

চরাঞ্চলের মানুষ বেড়িবাঁধের জন্য সভা-সমাবেশসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করে আসছে বহু বছর ধরেই। কিন্তু বেড়িবাঁধ নির্মাণের কোন উদ্যোগই চোখে পড়ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে আশ্বাস মিলেছে কয়েক দফা। এরপরও কেন বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না- সেটা একটা প্রশ্ন। আশ্বাস কিংবা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি থেকে বের হয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছেÑ এমনটা আমরা দেখতে চাই।

শুধু দশমিনার চরাঞ্চলই নয়, এমন আরও অনেক এলাকা অরক্ষিত রয়েছে। সেসব অঞ্চলেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি এসব বাঁধ নির্মাণে যাতে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। কারণ অতীতে অনিয়ম-দুর্নীতির তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। একশ্রেণির ঠিকাদার ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মিলে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ নতুন নয়। বাঁধের উচ্চতা এবং পুরুত্ব যা হওয়ার কথা তা করা হয় না। যেখানে যে পরিমাণ বা যে ধরনের উপকরণ দেওয়ার কথা তা দেওয়া হয় না। এমন অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতি যেন না হয় সেটা মনিটর কারতে হবে। জনগণের কষ্টের টাকা যেন বাস্তবিক অর্থে চরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাঘবে কাজে লাগেÑ সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কোন এলাকার দুর্ভোগকে পুুঁজি করে প্রকল্পের নামে কেউ লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করুক সেটা আমরা চাই না।

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

দশমিনার চরাঞ্চলে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করুন

মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর বুকচিরে জেগে ওঠা চরাঞ্চলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন এসব ভূখ-ে দীর্ঘ ৫০ বছরেও নির্মাণ করা হয়নি বেড়িবাঁধ। এসব চরাঞ্চল জোয়ারের পানিতে ডুবে, আবার ভাটায় জেগে ওঠে। মাঝখানে দুর্ভোগের শিকার হয় বাসিন্দারা। তাছাড়া প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার ফসলহানি তো আছেই। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চরবোরহান, চরশাহজালাল, লালচরসহ কয়েকটি চর উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এসব চরাঞ্চলে বিভিন্ন অঞ্চলের ভাগ্যহারা মানুষ অর্ধশত বছর আগে বসতি স্থাপন করে। বেড়িবাঁধ না থাকায় নদীর জোয়ারের পানি ঢুকে যায়। বর্ষা মৌসুমে জোয়ারে ৩-৪ ফুট পানিতে ডুবে থাকে এসব এলাকা। প্রতি বছর ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ্বাসে চরাঞ্চলের মানুষের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। চরের মানুষকে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হয়।

চরাঞ্চলের মানুষ বেড়িবাঁধের জন্য সভা-সমাবেশসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করে আসছে বহু বছর ধরেই। কিন্তু বেড়িবাঁধ নির্মাণের কোন উদ্যোগই চোখে পড়ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে আশ্বাস মিলেছে কয়েক দফা। এরপরও কেন বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না- সেটা একটা প্রশ্ন। আশ্বাস কিংবা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি থেকে বের হয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছেÑ এমনটা আমরা দেখতে চাই।

শুধু দশমিনার চরাঞ্চলই নয়, এমন আরও অনেক এলাকা অরক্ষিত রয়েছে। সেসব অঞ্চলেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি এসব বাঁধ নির্মাণে যাতে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। কারণ অতীতে অনিয়ম-দুর্নীতির তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। একশ্রেণির ঠিকাদার ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মিলে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ নতুন নয়। বাঁধের উচ্চতা এবং পুরুত্ব যা হওয়ার কথা তা করা হয় না। যেখানে যে পরিমাণ বা যে ধরনের উপকরণ দেওয়ার কথা তা দেওয়া হয় না। এমন অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতি যেন না হয় সেটা মনিটর কারতে হবে। জনগণের কষ্টের টাকা যেন বাস্তবিক অর্থে চরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাঘবে কাজে লাগেÑ সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কোন এলাকার দুর্ভোগকে পুুঁজি করে প্রকল্পের নামে কেউ লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করুক সেটা আমরা চাই না।

back to top