পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর বুকচিরে জেগে ওঠা চরাঞ্চলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন এসব ভূখ-ে দীর্ঘ ৫০ বছরেও নির্মাণ করা হয়নি বেড়িবাঁধ। এসব চরাঞ্চল জোয়ারের পানিতে ডুবে, আবার ভাটায় জেগে ওঠে। মাঝখানে দুর্ভোগের শিকার হয় বাসিন্দারা। তাছাড়া প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার ফসলহানি তো আছেই। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চরবোরহান, চরশাহজালাল, লালচরসহ কয়েকটি চর উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এসব চরাঞ্চলে বিভিন্ন অঞ্চলের ভাগ্যহারা মানুষ অর্ধশত বছর আগে বসতি স্থাপন করে। বেড়িবাঁধ না থাকায় নদীর জোয়ারের পানি ঢুকে যায়। বর্ষা মৌসুমে জোয়ারে ৩-৪ ফুট পানিতে ডুবে থাকে এসব এলাকা। প্রতি বছর ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ্বাসে চরাঞ্চলের মানুষের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। চরের মানুষকে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হয়।
চরাঞ্চলের মানুষ বেড়িবাঁধের জন্য সভা-সমাবেশসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করে আসছে বহু বছর ধরেই। কিন্তু বেড়িবাঁধ নির্মাণের কোন উদ্যোগই চোখে পড়ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে আশ্বাস মিলেছে কয়েক দফা। এরপরও কেন বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না- সেটা একটা প্রশ্ন। আশ্বাস কিংবা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি থেকে বের হয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছেÑ এমনটা আমরা দেখতে চাই।
শুধু দশমিনার চরাঞ্চলই নয়, এমন আরও অনেক এলাকা অরক্ষিত রয়েছে। সেসব অঞ্চলেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি এসব বাঁধ নির্মাণে যাতে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। কারণ অতীতে অনিয়ম-দুর্নীতির তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। একশ্রেণির ঠিকাদার ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মিলে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ নতুন নয়। বাঁধের উচ্চতা এবং পুরুত্ব যা হওয়ার কথা তা করা হয় না। যেখানে যে পরিমাণ বা যে ধরনের উপকরণ দেওয়ার কথা তা দেওয়া হয় না। এমন অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতি যেন না হয় সেটা মনিটর কারতে হবে। জনগণের কষ্টের টাকা যেন বাস্তবিক অর্থে চরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাঘবে কাজে লাগেÑ সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কোন এলাকার দুর্ভোগকে পুুঁজি করে প্রকল্পের নামে কেউ লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করুক সেটা আমরা চাই না।
 ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর বুকচিরে জেগে ওঠা চরাঞ্চলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন এসব ভূখ-ে দীর্ঘ ৫০ বছরেও নির্মাণ করা হয়নি বেড়িবাঁধ। এসব চরাঞ্চল জোয়ারের পানিতে ডুবে, আবার ভাটায় জেগে ওঠে। মাঝখানে দুর্ভোগের শিকার হয় বাসিন্দারা। তাছাড়া প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার ফসলহানি তো আছেই। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চরবোরহান, চরশাহজালাল, লালচরসহ কয়েকটি চর উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এসব চরাঞ্চলে বিভিন্ন অঞ্চলের ভাগ্যহারা মানুষ অর্ধশত বছর আগে বসতি স্থাপন করে। বেড়িবাঁধ না থাকায় নদীর জোয়ারের পানি ঢুকে যায়। বর্ষা মৌসুমে জোয়ারে ৩-৪ ফুট পানিতে ডুবে থাকে এসব এলাকা। প্রতি বছর ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ্বাসে চরাঞ্চলের মানুষের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। চরের মানুষকে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হয়।
চরাঞ্চলের মানুষ বেড়িবাঁধের জন্য সভা-সমাবেশসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করে আসছে বহু বছর ধরেই। কিন্তু বেড়িবাঁধ নির্মাণের কোন উদ্যোগই চোখে পড়ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে আশ্বাস মিলেছে কয়েক দফা। এরপরও কেন বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না- সেটা একটা প্রশ্ন। আশ্বাস কিংবা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি থেকে বের হয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছেÑ এমনটা আমরা দেখতে চাই।
শুধু দশমিনার চরাঞ্চলই নয়, এমন আরও অনেক এলাকা অরক্ষিত রয়েছে। সেসব অঞ্চলেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি এসব বাঁধ নির্মাণে যাতে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। কারণ অতীতে অনিয়ম-দুর্নীতির তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। একশ্রেণির ঠিকাদার ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মিলে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ নতুন নয়। বাঁধের উচ্চতা এবং পুরুত্ব যা হওয়ার কথা তা করা হয় না। যেখানে যে পরিমাণ বা যে ধরনের উপকরণ দেওয়ার কথা তা দেওয়া হয় না। এমন অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতি যেন না হয় সেটা মনিটর কারতে হবে। জনগণের কষ্টের টাকা যেন বাস্তবিক অর্থে চরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাঘবে কাজে লাগেÑ সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কোন এলাকার দুর্ভোগকে পুুঁজি করে প্রকল্পের নামে কেউ লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করুক সেটা আমরা চাই না।
