alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ডিএসসিসির খাল পরিষ্কার প্রসঙ্গে

: বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২২

রাজধানীর খালগুলো পরিষ্কার করার অভিযান শুরু করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। পূর্বে রাজধানীর এসব খাল ছিল ঢাকা ওয়াসার নিয়ন্ত্রণে। অবৈধ দখল এবং বর্জ্যে খালগুলো ভরে যায়। এমনকি কিছু কিছু খালের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যায়। শুধু কাগজে-কলমেই নাম খুঁজে পাওয়া যায়। দখল-দূষণের পর জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরবাসীকে। ২০২০ সালের শেষের দিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে খালগুলো হস্তান্তর করা হয়।

কংক্রিটে আচ্ছাদিত রাজধানী থেকে প্রাকৃতিকভাবে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়েছে অনেক আগেই। এখন কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক- এ দুই ব্যবস্থাপনায় পানি নিষ্কাশন করতে হয়। পানি নিষ্কাশনের পথগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই রাজধানীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই শহরের বিভিন্ন অংশ পানিতে ডুবে থাকে। নগরবাসীকে পড়তে হয় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে।

অভিযোগ আছে, খালগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা করা হয় না। বর্জ্য পরিষ্কার করে খাল-নালা-ড্রেনের পাশে রেখে দেয়া হয়। একপর্যায়ে সেগুলো আবার খালে গিয়ে জমা হয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। পাশাপাশি নতুন বর্জ্য তো আছেই।

এর আগেও ঢাকা শহরের খাল-নালা বহুবার পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু স্থায়ী কোন সুফল মেলেনি। এতে অর্থের যেমন অপচয় হয় তেমনি অভিযানের লক্ষ্য অধরাই থেকে যায়। বর্জ্য পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলো অপসারণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। এখন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অনেক অধুনিক যন্ত্রপাতি ও যানবাহন রয়েছে। বর্জ্য খালের তীরে না রেখে সরাসরি এসব যানবাহনে উঠিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই অপসারণ করা যায়।

খাল পরিষ্কারের জন্য সমন্বিত কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। নগরের বসিন্দারা যাতে খালে বর্জ্য না ফেলেন সেই ব্যবস্থা করেতে হবে। পয়ঃবর্জ্য যেন খালে না যায়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া শুধু নালা বা খাল পরিষ্কার করলেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না। একটি পরিকল্পিত নগরের ৩০-৩৫ শতাংশ উন্মুক্ত স্থান, সবুজ এলাকা ও জলাধার থাকে। ঢাকা শহরের তা নেই, যতটুকু আছে তাও বছর বছর কমেছে। এরপরও যতটুকু আছে, ততটুকুর সর্বোত্তম ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার শুধু দুই সিটি করপোরেশনই নয়; একাধিক সংস্থা যুক্ত। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার বলে আমরা মনে করি। তাছাড়া নাগরিকদেও যেখানে-সেখানে বর্জ্য ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাদের সচেতন হতে হবে।

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ডিএসসিসির খাল পরিষ্কার প্রসঙ্গে

বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২২

রাজধানীর খালগুলো পরিষ্কার করার অভিযান শুরু করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। পূর্বে রাজধানীর এসব খাল ছিল ঢাকা ওয়াসার নিয়ন্ত্রণে। অবৈধ দখল এবং বর্জ্যে খালগুলো ভরে যায়। এমনকি কিছু কিছু খালের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যায়। শুধু কাগজে-কলমেই নাম খুঁজে পাওয়া যায়। দখল-দূষণের পর জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরবাসীকে। ২০২০ সালের শেষের দিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে খালগুলো হস্তান্তর করা হয়।

কংক্রিটে আচ্ছাদিত রাজধানী থেকে প্রাকৃতিকভাবে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়েছে অনেক আগেই। এখন কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক- এ দুই ব্যবস্থাপনায় পানি নিষ্কাশন করতে হয়। পানি নিষ্কাশনের পথগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই রাজধানীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই শহরের বিভিন্ন অংশ পানিতে ডুবে থাকে। নগরবাসীকে পড়তে হয় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে।

অভিযোগ আছে, খালগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা করা হয় না। বর্জ্য পরিষ্কার করে খাল-নালা-ড্রেনের পাশে রেখে দেয়া হয়। একপর্যায়ে সেগুলো আবার খালে গিয়ে জমা হয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। পাশাপাশি নতুন বর্জ্য তো আছেই।

এর আগেও ঢাকা শহরের খাল-নালা বহুবার পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু স্থায়ী কোন সুফল মেলেনি। এতে অর্থের যেমন অপচয় হয় তেমনি অভিযানের লক্ষ্য অধরাই থেকে যায়। বর্জ্য পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলো অপসারণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। এখন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অনেক অধুনিক যন্ত্রপাতি ও যানবাহন রয়েছে। বর্জ্য খালের তীরে না রেখে সরাসরি এসব যানবাহনে উঠিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই অপসারণ করা যায়।

খাল পরিষ্কারের জন্য সমন্বিত কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। নগরের বসিন্দারা যাতে খালে বর্জ্য না ফেলেন সেই ব্যবস্থা করেতে হবে। পয়ঃবর্জ্য যেন খালে না যায়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া শুধু নালা বা খাল পরিষ্কার করলেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না। একটি পরিকল্পিত নগরের ৩০-৩৫ শতাংশ উন্মুক্ত স্থান, সবুজ এলাকা ও জলাধার থাকে। ঢাকা শহরের তা নেই, যতটুকু আছে তাও বছর বছর কমেছে। এরপরও যতটুকু আছে, ততটুকুর সর্বোত্তম ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার শুধু দুই সিটি করপোরেশনই নয়; একাধিক সংস্থা যুক্ত। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার বলে আমরা মনে করি। তাছাড়া নাগরিকদেও যেখানে-সেখানে বর্জ্য ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাদের সচেতন হতে হবে।

back to top