alt

opinion » editorial

পরিবেশ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিন

: শুক্রবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২২

পরিবেশ অধিদপ্তর দুর্বল, দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অনেকাংশে অক্ষম ও অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এই মন্তব্যের ভিত্তি হচ্ছে টিআইবির করা একটি গবেষণা প্রতিবেদন।

প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষণা করেছে। আইনের শাসন, সক্ষমতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, অংশগ্রহণ, কার্যসম্পাদন, সমন্বয় এবং অনিয়ম-দুর্নীতি-এই ৮টি সূচকের আলোকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে পরিবেশ অধিদপ্তরের দুর্নীতির শোচনীয় চিত্র দেখতে পেয়েছে।

কোন সূচকেই পরিবেশ অধিদপ্তরের অবস্থান ভালো নয়। টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন শুধু অধিদপ্তরের রুগ্ণতার প্রমাণই হাজির করেনি সেটা দেশের পরিবেশের দুরবস্থাও প্রকাশ করে। দেশে দখল-দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে পরিবেশ রক্ষায় অধিদপ্তর তার ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করছে কিনা। তাদের ভূমিকা নিয়ে অতীতেও প্রশ্ন উঠেছে। পরিবেশ রক্ষায় দেশে অনেক আইন থাকলেও তার প্রয়োগ হয় সামান্যই। যারা দখল-দূষণের জন্য দায়ী তাদের সঙ্গে একশ্রেণির কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজশের কথা শোনা যায়। শর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে পরিবেশ রক্ষা পাবে কী করে!

বাংলাদেশ জলবায়ু প্রশ্নে বিশ্ব দরবারে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে। সরকার পরিবেশ রক্ষায় নানা সময় অনেক অঙ্গীকার করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেসব অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ প্রচেষ্টা কতটা জোরালো। পরিবেশ রক্ষার কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকাইবা কী?

পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা নানান সময় প্রশ্নবিদ্ধ হলেও তা খতিয়ে দেখা হয় না। তাদের জবাবদিহি আদায় করা হয় না। কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকলে প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের পরিবেশও উন্নত হতো। বিষয়টি সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির যেসব অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। পরিবেশকে টেকসইভাবে রক্ষা করতে হলে সবার আগে শর্ষের মধ্যে থাক ভূত তাড়াতে হবে। পাশাপাশি পরিবেশ-সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন প্রয়োগে তৎপর হতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

পরিবেশ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিন

শুক্রবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২২

পরিবেশ অধিদপ্তর দুর্বল, দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অনেকাংশে অক্ষম ও অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এই মন্তব্যের ভিত্তি হচ্ছে টিআইবির করা একটি গবেষণা প্রতিবেদন।

প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষণা করেছে। আইনের শাসন, সক্ষমতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, অংশগ্রহণ, কার্যসম্পাদন, সমন্বয় এবং অনিয়ম-দুর্নীতি-এই ৮টি সূচকের আলোকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে পরিবেশ অধিদপ্তরের দুর্নীতির শোচনীয় চিত্র দেখতে পেয়েছে।

কোন সূচকেই পরিবেশ অধিদপ্তরের অবস্থান ভালো নয়। টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন শুধু অধিদপ্তরের রুগ্ণতার প্রমাণই হাজির করেনি সেটা দেশের পরিবেশের দুরবস্থাও প্রকাশ করে। দেশে দখল-দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে পরিবেশ রক্ষায় অধিদপ্তর তার ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করছে কিনা। তাদের ভূমিকা নিয়ে অতীতেও প্রশ্ন উঠেছে। পরিবেশ রক্ষায় দেশে অনেক আইন থাকলেও তার প্রয়োগ হয় সামান্যই। যারা দখল-দূষণের জন্য দায়ী তাদের সঙ্গে একশ্রেণির কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজশের কথা শোনা যায়। শর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে পরিবেশ রক্ষা পাবে কী করে!

বাংলাদেশ জলবায়ু প্রশ্নে বিশ্ব দরবারে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে। সরকার পরিবেশ রক্ষায় নানা সময় অনেক অঙ্গীকার করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেসব অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ প্রচেষ্টা কতটা জোরালো। পরিবেশ রক্ষার কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকাইবা কী?

পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা নানান সময় প্রশ্নবিদ্ধ হলেও তা খতিয়ে দেখা হয় না। তাদের জবাবদিহি আদায় করা হয় না। কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকলে প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের পরিবেশও উন্নত হতো। বিষয়টি সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির যেসব অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। পরিবেশকে টেকসইভাবে রক্ষা করতে হলে সবার আগে শর্ষের মধ্যে থাক ভূত তাড়াতে হবে। পাশাপাশি পরিবেশ-সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন প্রয়োগে তৎপর হতে হবে।

back to top