alt

opinion » editorial

ফেলানী হত্যার বিচার প্রতীক্ষার অবসান ঘটুক

: শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২

১১ বছরেও ফেলানী খাতুন হত্যার বিচার হয়নি। হত্যার বিচার ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে প্রক্রিয়াধীন আছে। ভারতীয় মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে দেশটির সুপ্রিমকোর্টে রিট আবেদন করেছিল। সংগঠনটি এর আগে অভিযোগ করে বলেছিল যে, ‘সমস্যা হচ্ছে ভারত সরকার চায় না এ হত্যাকান্ডের বিচার হোক।’

ফেলানী হত্যার ঘটনায় সমালোচনার মুখে ভারত সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার কথা বলেছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার না করার প্রশ্নে দুই দেশ একমত হয়। বাস্তবে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হয়নি। সীমান্ত হত্যাও বন্ধ হয়নি।

বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, সীমান্তে হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুঃখের, ভারতের জন্য লজ্জার। ভারতের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, আত্মরক্ষার জন্য বিএসএফকে গুলি ছুড়তে হয়। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিভিন্ন সময়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, বিএসএফের গুলিতে নিরস্ত্র মানুষ মারা যান। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকরা নির্যাতনের শিকার হন বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

সীমান্তে নানা অপরাধের কথা বলে ভারত। এ কারণে সীমান্ত হত্যা কমছে না বলে দেশটি মনে করে। আমরা বলতে চাই, অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বা হয়েছে এমন সন্দেহের প্রেক্ষিতে মানুষ হত্যা করা চলে না। কেউ যদি অপরাধ করেও থাকে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করাই সমীচীন। মানুষের জীবনের অধিকারকে কোন অবস্থাতেই অস্বীকার করা চলে না।

সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার জন্য যে প্রতিশ্রুতি ভারত দিয়েছে আমরা তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দেখতে চাই। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা বন্ধুপ্রতীম দুটি দেশের পক্ষে কঠিন কোন কাজ নয়। ভারত আন্তরিকভাবে চাইলে এটা বন্ধ করা সম্ভব। সীমান্তে বাংলাদেশের জন্য দুঃখের বা ভারতের জন্য লজ্জার ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হবে- এটা আমাদের প্রত্যাশা।

ফেলানী হত্যার দ্রুত বিচার হচ্ছে সেটাও আমরা দেখতে চাই।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

ফেলানী হত্যার বিচার প্রতীক্ষার অবসান ঘটুক

শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২

১১ বছরেও ফেলানী খাতুন হত্যার বিচার হয়নি। হত্যার বিচার ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে প্রক্রিয়াধীন আছে। ভারতীয় মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে দেশটির সুপ্রিমকোর্টে রিট আবেদন করেছিল। সংগঠনটি এর আগে অভিযোগ করে বলেছিল যে, ‘সমস্যা হচ্ছে ভারত সরকার চায় না এ হত্যাকান্ডের বিচার হোক।’

ফেলানী হত্যার ঘটনায় সমালোচনার মুখে ভারত সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার কথা বলেছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার না করার প্রশ্নে দুই দেশ একমত হয়। বাস্তবে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হয়নি। সীমান্ত হত্যাও বন্ধ হয়নি।

বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, সীমান্তে হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুঃখের, ভারতের জন্য লজ্জার। ভারতের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, আত্মরক্ষার জন্য বিএসএফকে গুলি ছুড়তে হয়। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিভিন্ন সময়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, বিএসএফের গুলিতে নিরস্ত্র মানুষ মারা যান। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকরা নির্যাতনের শিকার হন বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

সীমান্তে নানা অপরাধের কথা বলে ভারত। এ কারণে সীমান্ত হত্যা কমছে না বলে দেশটি মনে করে। আমরা বলতে চাই, অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বা হয়েছে এমন সন্দেহের প্রেক্ষিতে মানুষ হত্যা করা চলে না। কেউ যদি অপরাধ করেও থাকে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করাই সমীচীন। মানুষের জীবনের অধিকারকে কোন অবস্থাতেই অস্বীকার করা চলে না।

সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার জন্য যে প্রতিশ্রুতি ভারত দিয়েছে আমরা তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দেখতে চাই। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা বন্ধুপ্রতীম দুটি দেশের পক্ষে কঠিন কোন কাজ নয়। ভারত আন্তরিকভাবে চাইলে এটা বন্ধ করা সম্ভব। সীমান্তে বাংলাদেশের জন্য দুঃখের বা ভারতের জন্য লজ্জার ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হবে- এটা আমাদের প্রত্যাশা।

ফেলানী হত্যার দ্রুত বিচার হচ্ছে সেটাও আমরা দেখতে চাই।

back to top