alt

মতামত » সম্পাদকীয়

আতশবাজি ও পটকা : শব্দ দূষণের আরেক রূপ

: রোববার, ০৯ জানুয়ারী ২০২২

রাজধানী ঢাকার শব্দদূষণে আরেকটি মাত্রা যুক্ত করেছে খ্রিস্টীয় নববর্ষের আতশবাজি ও পটকার শব্দ। এটা যদিও একটি দিনকে কেন্দ্র করে ঘটে তারপরও বিষয়টিকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। কারণ নগরবাসীর এর প্রতি নেতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে। আতশবাজি ও পটকা ফাটানোর বিকট শব্দের কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাজধানীতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নববর্ষের রাতে আতশবাজি ও ফানুস থেকে রাজধানীর ছয় জায়গায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

নাগরিকদের ওপর খ্রিস্টীয় নববর্ষের আতশবাজি এবং পটকার শব্দ কী পরিমাণ নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে সেটা সম্পর্কে ধারণা মেলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগের পরিসংখ্যান থেকে। নববর্ষে আতশবাজি, পটকা, উচ্চস্বরে গান-বাজনা, অনুষ্ঠান ইত্যাদি নিয়ে অভিযোগ এসেছে ৯ হাজার ২৩৮টি। শুধু তাই নয়, বছরজুড়ে রাতে গানবাজনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান, নির্মাণকাজ, পটকা, আতশবাজি চলে। ফলে পরীক্ষার্থী, বয়স্ক ও অসুস্থ লোকদের সমস্যা হয়, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

উৎসব উদ্যাপনে মানা নেই। মানুষ বিভিন্ন উৎসব উদ্যাপন করবে, কিন্তু সেটা করতে হবে অন্যের জীবনের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে, ক্ষতি না করে। একজনের উদ্যাপন যদি অন্যজনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন সেটিকে আর আনন্দ বলা চলে না।

প্রতি বছরই নববর্ষে উদ্যাপনের কিছু নিয়মনীতি বা বিধিনিষেধের কথা বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এরবাও খ্রিস্টীয় নববর্ষ উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছিল ডিএমপি। কিন্তু মানুষ তা মানছে না। প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লার ছাদ থেকে নির্বিঘ্নে আতশবাজি বা পটকা ফাটানো হয়, ফানুস ওড়ানো হয়। সেটা দেখে মনে হয় না কোন বিধিনিষেধ আছে বা শহরে কোন থানা-পুলিশ আছে।

শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুসারে আবাসিক, মিশ্র এবং বাণিজ্যিক এলাকা অনুসারে শব্দের বিভিন্ন মানমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এগুলো না মেনে কোন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে অনধিক এক মাসের কারাদন্ড বা অনধিক ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হবে। এ আইনের বাস্তবায়নও চোখে পড়ে না।

বিশেষ দিন বা উৎসব উপলক্ষে বিধিনিষেধের বাস্তবায়ন করতে হবে। শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। নয়তো আগামীতেও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাও ঘটতে থাকবে।

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

আতশবাজি ও পটকা : শব্দ দূষণের আরেক রূপ

রোববার, ০৯ জানুয়ারী ২০২২

রাজধানী ঢাকার শব্দদূষণে আরেকটি মাত্রা যুক্ত করেছে খ্রিস্টীয় নববর্ষের আতশবাজি ও পটকার শব্দ। এটা যদিও একটি দিনকে কেন্দ্র করে ঘটে তারপরও বিষয়টিকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। কারণ নগরবাসীর এর প্রতি নেতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে। আতশবাজি ও পটকা ফাটানোর বিকট শব্দের কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাজধানীতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নববর্ষের রাতে আতশবাজি ও ফানুস থেকে রাজধানীর ছয় জায়গায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

নাগরিকদের ওপর খ্রিস্টীয় নববর্ষের আতশবাজি এবং পটকার শব্দ কী পরিমাণ নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে সেটা সম্পর্কে ধারণা মেলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগের পরিসংখ্যান থেকে। নববর্ষে আতশবাজি, পটকা, উচ্চস্বরে গান-বাজনা, অনুষ্ঠান ইত্যাদি নিয়ে অভিযোগ এসেছে ৯ হাজার ২৩৮টি। শুধু তাই নয়, বছরজুড়ে রাতে গানবাজনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান, নির্মাণকাজ, পটকা, আতশবাজি চলে। ফলে পরীক্ষার্থী, বয়স্ক ও অসুস্থ লোকদের সমস্যা হয়, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

উৎসব উদ্যাপনে মানা নেই। মানুষ বিভিন্ন উৎসব উদ্যাপন করবে, কিন্তু সেটা করতে হবে অন্যের জীবনের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে, ক্ষতি না করে। একজনের উদ্যাপন যদি অন্যজনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন সেটিকে আর আনন্দ বলা চলে না।

প্রতি বছরই নববর্ষে উদ্যাপনের কিছু নিয়মনীতি বা বিধিনিষেধের কথা বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এরবাও খ্রিস্টীয় নববর্ষ উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছিল ডিএমপি। কিন্তু মানুষ তা মানছে না। প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লার ছাদ থেকে নির্বিঘ্নে আতশবাজি বা পটকা ফাটানো হয়, ফানুস ওড়ানো হয়। সেটা দেখে মনে হয় না কোন বিধিনিষেধ আছে বা শহরে কোন থানা-পুলিশ আছে।

শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুসারে আবাসিক, মিশ্র এবং বাণিজ্যিক এলাকা অনুসারে শব্দের বিভিন্ন মানমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এগুলো না মেনে কোন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে অনধিক এক মাসের কারাদন্ড বা অনধিক ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হবে। এ আইনের বাস্তবায়নও চোখে পড়ে না।

বিশেষ দিন বা উৎসব উপলক্ষে বিধিনিষেধের বাস্তবায়ন করতে হবে। শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। নয়তো আগামীতেও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাও ঘটতে থাকবে।

back to top