alt

মতামত » সম্পাদকীয়

অনেক শিক্ষার্থী এখনো কেন পাঠ্যবই পায়নি

: সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২

দেশে বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই দেওয়ার একটা সংস্কৃতি চালু রয়েছে। বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাসে ভাসছে- এমন আনন্দময় চিত্র দেখা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এবারও বছরের শুরুতে বই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার প্রথম দিনেই সব বই পেয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসে অংশগ্রহণ করতে পারেনি দেশের সব শিক্ষার্থী। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর পর ১১ দিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো দেশের অনেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বই হাতে পায়নি। নতুন বই পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে সদ্যভর্তি হওয়া প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ বই এখনো ছাপা হয়নি। এর বাইরে গত বুধবার পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি বইয়ের ছাড়পত্র হয়নি। মাধ্যমিক স্তরের মোট ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার বই ছাপা হওয়ার কথা রয়েছে। তাছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে সোয়া চার কোটি শিক্ষার্থীর জন্য ৩৪ কোটি ৭০ লাখের বেশি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, বই ছাপার অনুমোদনসংক্রান্ত কাজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রায় এক মাস দেরি করেছিল। ফলে ছাপার কাজ শুরু করতেই দেরি হয়। দিতে হয়েছিল বই ছাপার কাজে পুনঃদরপত্রও।

এবার শিক্ষার্থীদের কাছে সময়মতো বই নাও পৌঁছতে পারে- এমন আশঙ্কা করা হয়েছিল আগে থেকেই। সংশ্লিষ্টদের বলাও হয়েছিল। তারা আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ৯৫ শতাংশ বই ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যেই ছাপানো হবে। আর বাকি বই ৭ জানুয়ারির মধ্যেই ছাপা হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তাদের কথা ও কাজে মিল পাওয়া যায়নি। এখন বলা হচ্ছে- বই ছাপা ও বিতরণের কাজ শেষ করতে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগবে।

বই ছাপা ও বিতরণের নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করবো, এ সময়ের মধ্যে যেন লক্ষ্য পূরণ হয়। আর শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো বই না পৌঁছানোর কারণ সংশ্লিষ্টদেরই চিহ্নিত করতে হবে। এবারের কাজ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আগামীতে যেন এর পুনারাবৃত্তি না হয়।

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

অনেক শিক্ষার্থী এখনো কেন পাঠ্যবই পায়নি

সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২

দেশে বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই দেওয়ার একটা সংস্কৃতি চালু রয়েছে। বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাসে ভাসছে- এমন আনন্দময় চিত্র দেখা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এবারও বছরের শুরুতে বই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার প্রথম দিনেই সব বই পেয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসে অংশগ্রহণ করতে পারেনি দেশের সব শিক্ষার্থী। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর পর ১১ দিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনো দেশের অনেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বই হাতে পায়নি। নতুন বই পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে সদ্যভর্তি হওয়া প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ বই এখনো ছাপা হয়নি। এর বাইরে গত বুধবার পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি বইয়ের ছাড়পত্র হয়নি। মাধ্যমিক স্তরের মোট ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার বই ছাপা হওয়ার কথা রয়েছে। তাছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে সোয়া চার কোটি শিক্ষার্থীর জন্য ৩৪ কোটি ৭০ লাখের বেশি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, বই ছাপার অনুমোদনসংক্রান্ত কাজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রায় এক মাস দেরি করেছিল। ফলে ছাপার কাজ শুরু করতেই দেরি হয়। দিতে হয়েছিল বই ছাপার কাজে পুনঃদরপত্রও।

এবার শিক্ষার্থীদের কাছে সময়মতো বই নাও পৌঁছতে পারে- এমন আশঙ্কা করা হয়েছিল আগে থেকেই। সংশ্লিষ্টদের বলাও হয়েছিল। তারা আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ৯৫ শতাংশ বই ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যেই ছাপানো হবে। আর বাকি বই ৭ জানুয়ারির মধ্যেই ছাপা হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তাদের কথা ও কাজে মিল পাওয়া যায়নি। এখন বলা হচ্ছে- বই ছাপা ও বিতরণের কাজ শেষ করতে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগবে।

বই ছাপা ও বিতরণের নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করবো, এ সময়ের মধ্যে যেন লক্ষ্য পূরণ হয়। আর শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো বই না পৌঁছানোর কারণ সংশ্লিষ্টদেরই চিহ্নিত করতে হবে। এবারের কাজ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আগামীতে যেন এর পুনারাবৃত্তি না হয়।

back to top