alt

মতামত » সম্পাদকীয়

হালদা রক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ নিন

: সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২

হালদা নদী রক্ষায় সরকারের উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছে। বছরের কোন সময়েই সেখানে যান্ত্রিক নৌযান চলার কথা নয়, খননযন্ত্র ব্যাবহারেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এর কোনটাই মানা হচ্ছে না। যান্ত্রিক নৌযান চলছে, খননযন্ত্র দিয়ে তোলা হচ্ছে বালু। সব নিষেধাজ্ঞা শিকেয় উঠেছে। মানুষের হঠকারী কার্যককলাপের খেসারত দিতে হচ্ছে হালদার জলজ প্রাণীদের।

দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক এই মৎস্য প্রজননকেন্দ্রে প্রায়ই গাঙ্গেয় ডলফিন মারা পড়ছে। গত চার বছরে সেখানে ৩৩টি ডলফিন মারা গেছে। নৌযানের প্রপেলারের আঘাতে অনেক ডলফিন মারা যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অবৈধ শিকারও করা হয়। মা মাছসহ ছোট-বড় মাছ নানা প্রজাতির মাছের অস্তিত্বও বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

নদীর উল্লেখযোগ্য একটা অংশকে মাছের অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। সেখান থেকে সংগৃহীত মাছের ডিম থেকে হাজার কেজির বেশি রেণু উৎপাদনের রেকর্ডও আছে। জানা গেছে, ১৯৪৫ সালে ৫ হাজার কেজি রেণু উৎপাদন করা হয়েছিল।

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হালদা থেকে প্রায়ই বালু তোলা হয়। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে এই অবৈধ কাজ দিনের পর দিন চলছে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। নদীকে রক্ষা করতে হলে বাল তোলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। জাল ফেলে বা বড়শি দিয়ে অবৈধ মাছ শিকার করা হয়। অবৈধ মাছ শিকার বন্ধে নজরদারি করা জরুরি।

নদীতে কলকারখানার বর্জ্য ও দূষিত পানি প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। যেসব কলকারখানা দূষণের জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। ভারী যান্ত্রিক নৌযান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের হালদার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে কাজগুলো করা জরুরি।

নদী রক্ষায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছিল। কথা ছিল, জেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে। আমরা আশা করব, সুপারিশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ সমন্বিত পদক্ষেপ নেবে।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

হালদা রক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ নিন

সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২

হালদা নদী রক্ষায় সরকারের উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছে। বছরের কোন সময়েই সেখানে যান্ত্রিক নৌযান চলার কথা নয়, খননযন্ত্র ব্যাবহারেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এর কোনটাই মানা হচ্ছে না। যান্ত্রিক নৌযান চলছে, খননযন্ত্র দিয়ে তোলা হচ্ছে বালু। সব নিষেধাজ্ঞা শিকেয় উঠেছে। মানুষের হঠকারী কার্যককলাপের খেসারত দিতে হচ্ছে হালদার জলজ প্রাণীদের।

দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক এই মৎস্য প্রজননকেন্দ্রে প্রায়ই গাঙ্গেয় ডলফিন মারা পড়ছে। গত চার বছরে সেখানে ৩৩টি ডলফিন মারা গেছে। নৌযানের প্রপেলারের আঘাতে অনেক ডলফিন মারা যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অবৈধ শিকারও করা হয়। মা মাছসহ ছোট-বড় মাছ নানা প্রজাতির মাছের অস্তিত্বও বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

নদীর উল্লেখযোগ্য একটা অংশকে মাছের অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। সেখান থেকে সংগৃহীত মাছের ডিম থেকে হাজার কেজির বেশি রেণু উৎপাদনের রেকর্ডও আছে। জানা গেছে, ১৯৪৫ সালে ৫ হাজার কেজি রেণু উৎপাদন করা হয়েছিল।

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হালদা থেকে প্রায়ই বালু তোলা হয়। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে এই অবৈধ কাজ দিনের পর দিন চলছে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। নদীকে রক্ষা করতে হলে বাল তোলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। জাল ফেলে বা বড়শি দিয়ে অবৈধ মাছ শিকার করা হয়। অবৈধ মাছ শিকার বন্ধে নজরদারি করা জরুরি।

নদীতে কলকারখানার বর্জ্য ও দূষিত পানি প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। যেসব কলকারখানা দূষণের জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। ভারী যান্ত্রিক নৌযান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের হালদার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে কাজগুলো করা জরুরি।

নদী রক্ষায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছিল। কথা ছিল, জেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে। আমরা আশা করব, সুপারিশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ সমন্বিত পদক্ষেপ নেবে।

back to top