alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বিধিনিষেধ ও গণপরিবহনের ভাড়া

: মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২

দেশে কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী হার নীতিনির্ধারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের আগাম ব্যবস্থা হিসেবে দেয়া হয়েছে ১১ দফা বিধিনিষেধ। যার মধ্যে গণপরিবহনে অর্ধেক আসন শূন্য রেখে চলাচলের কথা বলা হয়েছে।

এ সিদ্ধান্ত যাত্রী সাধারণের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। কারণ অতীতে দেখা গেছে, এ ধরনের সিদ্ধান্তের পর বাস ভাড়া বেড়ে গেছে। এবারও পরিবহন মালিকরা বাস ভাড়া বাড়ানোর জন্য চেষ্টা-তদবির করছেন। তারা কোন কিছুর জন্য চেষ্টা-তদবির করলে কী পরিণতি ভোগ করতে হয় যাত্রী সাধারণ সেটা ভালো করেই জানেন।

এখন মানুষের জন্য করোনার সংক্রমণের চেয়ে সরকারের বিধিনিষেধ অনেক বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিধিনিষেধ কতটা মানা হয় আর তাতে কী সুফল মেলে সেটা জানার উপায় নেই। এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট গবেষণা হতে পারে। তবে বিধিনিষেধে যে মানুষের ভোগান্তি বাড়ে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

অফিস, কলকারখানা, ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে মানুষকে পথে নামতেই হবে। গণপরিবহনের অপ্রতুলতার কারণে স্বাভাবিক দিনেই গাড়ির জন্য মানুষকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। গণপরিবহণের সংখ্যা বাড়বে না, কিন্তু যাত্রী পরিবহনের পরিমাণ কমবে।

এ অবস্থায় অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের বিধিনিষেধের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে। বিশেষকরে নারী যাত্রীদের বেশি অসুবিধা হবে। অতীতে দেখা গেছে, বাসের জন্য মানুষ মোড়ে মোড়ে জটলা পাকিয়ে থাকেন। বাসে ওঠার প্রতিযোগিতায় একজন আরেকজনের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন। এতে করোনার সংক্রমণ বাড়ে না কমে সেটা একটা প্রশ্ন।

অতীতে দেখা গেছে, বিধিনিষেধের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালানোর কথা বলা হলেও সেটা উপেক্ষিত থেকে যায়। বাড়তি ভাড়া আর সুযোগ বুঝে বাড়তি যাত্রী তোলায় বাসের ড্রাইভার-হেল্পার যত আগ্রহী স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রশ্নে তারা ততটাই উদাসীন থাকেন। যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজের ব্যবস্থা করা হয় না বা ব্যবস্থা থাকলেও সেটা ব্যবহার করা হয় না। গাড়ি জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশনা মানা হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ভাড়া যা বাড়ানো হয় তার চেয়েও বেশি আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। যাত্রী পরিবহনের সীমাও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা লঙ্ঘন করেন। তাদের অনিয়মের প্রতিবাদ করে যাত্রীরা প্রতিকার পান না। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের স্বেচ্ছাচারিতায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকেই যায়, আবার বাড়তি ভাড়াও গুনতে হয়। মানুষের আয় বাড়েনি কিন্তু খরচ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। কিছুদিন আগে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এখন আবার ভাড়া বাড়লে সাধারণ মানুষের খরচ বাড়বে।

জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ বাইরে বের হবেন আবার গণপরিবহনে সবাই উঠতে পারবেন না- এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে নাগরিক ভোগান্তি চলতেই থাকবে। কর্মস্থলে মানুষের যাওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বিধিনিষেধ ও গণপরিবহনের ভাড়া

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২

দেশে কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী হার নীতিনির্ধারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের আগাম ব্যবস্থা হিসেবে দেয়া হয়েছে ১১ দফা বিধিনিষেধ। যার মধ্যে গণপরিবহনে অর্ধেক আসন শূন্য রেখে চলাচলের কথা বলা হয়েছে।

এ সিদ্ধান্ত যাত্রী সাধারণের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। কারণ অতীতে দেখা গেছে, এ ধরনের সিদ্ধান্তের পর বাস ভাড়া বেড়ে গেছে। এবারও পরিবহন মালিকরা বাস ভাড়া বাড়ানোর জন্য চেষ্টা-তদবির করছেন। তারা কোন কিছুর জন্য চেষ্টা-তদবির করলে কী পরিণতি ভোগ করতে হয় যাত্রী সাধারণ সেটা ভালো করেই জানেন।

এখন মানুষের জন্য করোনার সংক্রমণের চেয়ে সরকারের বিধিনিষেধ অনেক বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিধিনিষেধ কতটা মানা হয় আর তাতে কী সুফল মেলে সেটা জানার উপায় নেই। এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট গবেষণা হতে পারে। তবে বিধিনিষেধে যে মানুষের ভোগান্তি বাড়ে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

অফিস, কলকারখানা, ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে মানুষকে পথে নামতেই হবে। গণপরিবহনের অপ্রতুলতার কারণে স্বাভাবিক দিনেই গাড়ির জন্য মানুষকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। গণপরিবহণের সংখ্যা বাড়বে না, কিন্তু যাত্রী পরিবহনের পরিমাণ কমবে।

এ অবস্থায় অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের বিধিনিষেধের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে। বিশেষকরে নারী যাত্রীদের বেশি অসুবিধা হবে। অতীতে দেখা গেছে, বাসের জন্য মানুষ মোড়ে মোড়ে জটলা পাকিয়ে থাকেন। বাসে ওঠার প্রতিযোগিতায় একজন আরেকজনের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন। এতে করোনার সংক্রমণ বাড়ে না কমে সেটা একটা প্রশ্ন।

অতীতে দেখা গেছে, বিধিনিষেধের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালানোর কথা বলা হলেও সেটা উপেক্ষিত থেকে যায়। বাড়তি ভাড়া আর সুযোগ বুঝে বাড়তি যাত্রী তোলায় বাসের ড্রাইভার-হেল্পার যত আগ্রহী স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রশ্নে তারা ততটাই উদাসীন থাকেন। যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজের ব্যবস্থা করা হয় না বা ব্যবস্থা থাকলেও সেটা ব্যবহার করা হয় না। গাড়ি জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশনা মানা হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ভাড়া যা বাড়ানো হয় তার চেয়েও বেশি আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। যাত্রী পরিবহনের সীমাও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা লঙ্ঘন করেন। তাদের অনিয়মের প্রতিবাদ করে যাত্রীরা প্রতিকার পান না। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের স্বেচ্ছাচারিতায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকেই যায়, আবার বাড়তি ভাড়াও গুনতে হয়। মানুষের আয় বাড়েনি কিন্তু খরচ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। কিছুদিন আগে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এখন আবার ভাড়া বাড়লে সাধারণ মানুষের খরচ বাড়বে।

জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ বাইরে বের হবেন আবার গণপরিবহনে সবাই উঠতে পারবেন না- এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে নাগরিক ভোগান্তি চলতেই থাকবে। কর্মস্থলে মানুষের যাওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

back to top