alt

opinion » editorial

প্রশ্নবিদ্ধ কারাগারের নিরাপত্তা

: বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে অভিযান চালিয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির হদিস পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। সেখানে কারারক্ষীদের সহায়তায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কয়েদিরা। কারগারে চিকিৎসাসেবা, খাবার এবং পরিবেশ মানসম্মত নয়। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দেশের কারাগারগুলো থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির খবর মেলে। কাশিমপুর কারাগারে অতীতেও অনেক অনিয়ম ঘটতে দেখা গেছে। কারাগারের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। কারাগারে বন্দীর সুযোগ-সুবিধা, দর্শনার্থীর প্রবেশ-বের হওয়া কোনো কিছুই টাকা ছাড়া হয় না। টাকা দিলে সেখানে অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করা যায়। অতীতে কোন কোন দন্ডিত ব্যক্তি নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছে। অসুস্থতার ভান করে প্রভাবশালী অপরাধীরা প্রায়ই হাসপাতালে থাকে। কারাগারের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই এসবে জড়িত। এর ফলে একদিকে যেমন কারাগারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, অন্যদিকে বন্দীদের সংশোধন কাজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

অপরাধীর শাস্তি দেয়াই কারাগার প্রতিষ্ঠার একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। অপরাধীর চরিত্র সংশোধন করাও জরুরি। কারাগার থেকে বেরিয়ে কোন অপরাধী যেন স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে। কিন্তু দেশের কারাগারগুলোতে যে পরিবেশ পরিস্থিতি বিদ্যমান, তাতে এই আশা করা যায় না যে সেখানে অপরাধীরা সংশোধনের সুযোগ পাচ্ছে। প্রায়ই দেখা যায় কারামুক্ত হওয়ার পর কোন কোন ব্যক্তি আরও বড় অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে।

দেশের কারাগারগুলোকে প্রকৃত অর্থে সংশোধন কেন্দ্রে পরিণত করতে হলে অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। সেখানে তদারকি জোরদার করতে হবে। কারা বিধির কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি।

অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হলে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। কারাগারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নজির কম। কোন কোন অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা তদন্ত করে কঠোর শাস্তির সুপারিশ করা হলেও বদলি কিংবা সতর্ক করার মতো লঘু শাস্তি দেয়া হয়। বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে অপরাধভেদে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিতে হবে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

প্রশ্নবিদ্ধ কারাগারের নিরাপত্তা

বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে অভিযান চালিয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির হদিস পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। সেখানে কারারক্ষীদের সহায়তায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কয়েদিরা। কারগারে চিকিৎসাসেবা, খাবার এবং পরিবেশ মানসম্মত নয়। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দেশের কারাগারগুলো থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির খবর মেলে। কাশিমপুর কারাগারে অতীতেও অনেক অনিয়ম ঘটতে দেখা গেছে। কারাগারের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। কারাগারে বন্দীর সুযোগ-সুবিধা, দর্শনার্থীর প্রবেশ-বের হওয়া কোনো কিছুই টাকা ছাড়া হয় না। টাকা দিলে সেখানে অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করা যায়। অতীতে কোন কোন দন্ডিত ব্যক্তি নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছে। অসুস্থতার ভান করে প্রভাবশালী অপরাধীরা প্রায়ই হাসপাতালে থাকে। কারাগারের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই এসবে জড়িত। এর ফলে একদিকে যেমন কারাগারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, অন্যদিকে বন্দীদের সংশোধন কাজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

অপরাধীর শাস্তি দেয়াই কারাগার প্রতিষ্ঠার একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। অপরাধীর চরিত্র সংশোধন করাও জরুরি। কারাগার থেকে বেরিয়ে কোন অপরাধী যেন স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে। কিন্তু দেশের কারাগারগুলোতে যে পরিবেশ পরিস্থিতি বিদ্যমান, তাতে এই আশা করা যায় না যে সেখানে অপরাধীরা সংশোধনের সুযোগ পাচ্ছে। প্রায়ই দেখা যায় কারামুক্ত হওয়ার পর কোন কোন ব্যক্তি আরও বড় অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে।

দেশের কারাগারগুলোকে প্রকৃত অর্থে সংশোধন কেন্দ্রে পরিণত করতে হলে অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। সেখানে তদারকি জোরদার করতে হবে। কারা বিধির কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি।

অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হলে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। কারাগারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নজির কম। কোন কোন অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা তদন্ত করে কঠোর শাস্তির সুপারিশ করা হলেও বদলি কিংবা সতর্ক করার মতো লঘু শাস্তি দেয়া হয়। বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে অপরাধভেদে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top