alt

মতামত » সম্পাদকীয়

যাত্রী ছাউনিগুলো ব্যবহারের উপযোগী করুন

: শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২

যাত্রী ছাউনি আগেও ছিল। সেগুলোর পাশাপাশি তিন বছর আগে আরও ৪০টি আধুনিক যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। পুলিশের মতামতের ভিত্তিতে নির্মাণ করা এসব যাত্রী ছাউনির উদ্দেশ্য ছিল বাস স্টপেজ এবং যাত্রী ওঠা-নামার কাজে ব্যবহার করা। কিন্তু পুরোনোগুলো যেমন, নতুনগুলোও তেমন অব্যবহৃত রয়ে গেছে। হচ্ছে না সুষ্ঠু রক্ষাণাবেক্ষণও।

যাত্রী সাধারণও ছাউনিতে দাঁড়ান না। সড়কেই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। গাড়ি আসলে ছুটাছুটি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়িতে ওঠেন। মূলত অনেকটা বাধ্য হয়েই যাত্রীরা এভাবে গাড়িতে ওঠেন। কারণ রাজধানীতে চলাচলরত পরিবহনগুলো কখেনোই নির্ধারিত জায়গায় থামে না। সড়কের মধ্যেই চলতি অবস্থায়ই যাত্রী ওঠা-নামা করায়।

যাত্রী ছাউনিগুলোতে যাত্রীদের অপেক্ষা করা কিংবা অবস্থান করার পরিবেশও নেই। কারণ রাজধানীর অধিকাংশ ব্যবহারযোগ্য নয়। বেশিরভাগই দখল হয়ে গেছে। অনেকগুলো পড়ে রয়েছে অযতœ-অবহেলায়। কোনোটিতে বসেছে দোকান, কোনটি আবার হকারদের দখলে। এমনকি যাত্রীদের বসার বেঞ্চ পর্যন্ত তুলে ফেলা হয়েছে অনেকগুলোর। দোকানপাট, ভাঙাচোরা, নোংরা, মাদকসেবী ও ভবঘুরেদের দখলে থাকায় যাত্রী সাধারণের ব্যবহারের সুযোগ নেই।

যাত্রী ছাউনিগুলো ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। যাদের দায়িত্ব তারা ঠিকমতো সেটা পালন করছেন না। বাসগুলো যেন নির্ধারিত স্টপেজে দাঁড়ায় সেটা কর্তৃপক্ষই নিশ্চিত করছেন না। যে কারণে যাত্রী ছাউনি অরক্ষিত হয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় কাজে অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। যাত্রী সাধারণের যদি কাজেই না লাগে তাহলে এগুলোর দরকার কী?

প্রখর রোদ কিংবা হঠাৎ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে রাজধানীর পথচারীদের জন্য যাত্রী ছাউনি আবশ্যক। তাছাড়া গন্তব্যে পৌঁছানোর গাড়ি না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করার জন্যও বিশেষ প্রয়োজন। আর এসব যাত্রী ছাউনিগুলো নির্মাণ করাও হয়েছিল বাস স্টপেজ এবং পথচারীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে।

যাত্রী ছাউনিগুলোকে সংস্কার করে ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে। সেখানে যাত্রীদের বসার, খাওয়ার, পানির সুব্যবস্থা করেতে হবে। সঙ্গে গণশৌচাগার থাকলে ভালো হয়। কোনো ধরনের দোকান, হকার, ভবঘুরে বা মাদকসেবীদের দখলে যেন না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। নগরে চলাচলরত জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে সিটি করপোরেশনকেই এই দায়িত্ব নিতে হবে।

বাসগুলো যেন নির্ধারিত স্টপেজে যাত্রী ছাউনির সামনেই যাত্রী ওঠা-নামা করায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। যাত্রীরা যেন ছাউনিতে ফিরে আসে ব্যবস্থা করতে হবে। এতে করে যাত্রীদের ঝুঁকি কমবে। ফলে দুর্ঘটনার হারও কমবে। কিছুটা হলেও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

যাত্রী ছাউনিগুলো ব্যবহারের উপযোগী করুন

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২

যাত্রী ছাউনি আগেও ছিল। সেগুলোর পাশাপাশি তিন বছর আগে আরও ৪০টি আধুনিক যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। পুলিশের মতামতের ভিত্তিতে নির্মাণ করা এসব যাত্রী ছাউনির উদ্দেশ্য ছিল বাস স্টপেজ এবং যাত্রী ওঠা-নামার কাজে ব্যবহার করা। কিন্তু পুরোনোগুলো যেমন, নতুনগুলোও তেমন অব্যবহৃত রয়ে গেছে। হচ্ছে না সুষ্ঠু রক্ষাণাবেক্ষণও।

যাত্রী সাধারণও ছাউনিতে দাঁড়ান না। সড়কেই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। গাড়ি আসলে ছুটাছুটি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়িতে ওঠেন। মূলত অনেকটা বাধ্য হয়েই যাত্রীরা এভাবে গাড়িতে ওঠেন। কারণ রাজধানীতে চলাচলরত পরিবহনগুলো কখেনোই নির্ধারিত জায়গায় থামে না। সড়কের মধ্যেই চলতি অবস্থায়ই যাত্রী ওঠা-নামা করায়।

যাত্রী ছাউনিগুলোতে যাত্রীদের অপেক্ষা করা কিংবা অবস্থান করার পরিবেশও নেই। কারণ রাজধানীর অধিকাংশ ব্যবহারযোগ্য নয়। বেশিরভাগই দখল হয়ে গেছে। অনেকগুলো পড়ে রয়েছে অযতœ-অবহেলায়। কোনোটিতে বসেছে দোকান, কোনটি আবার হকারদের দখলে। এমনকি যাত্রীদের বসার বেঞ্চ পর্যন্ত তুলে ফেলা হয়েছে অনেকগুলোর। দোকানপাট, ভাঙাচোরা, নোংরা, মাদকসেবী ও ভবঘুরেদের দখলে থাকায় যাত্রী সাধারণের ব্যবহারের সুযোগ নেই।

যাত্রী ছাউনিগুলো ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। যাদের দায়িত্ব তারা ঠিকমতো সেটা পালন করছেন না। বাসগুলো যেন নির্ধারিত স্টপেজে দাঁড়ায় সেটা কর্তৃপক্ষই নিশ্চিত করছেন না। যে কারণে যাত্রী ছাউনি অরক্ষিত হয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় কাজে অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। যাত্রী সাধারণের যদি কাজেই না লাগে তাহলে এগুলোর দরকার কী?

প্রখর রোদ কিংবা হঠাৎ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে রাজধানীর পথচারীদের জন্য যাত্রী ছাউনি আবশ্যক। তাছাড়া গন্তব্যে পৌঁছানোর গাড়ি না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করার জন্যও বিশেষ প্রয়োজন। আর এসব যাত্রী ছাউনিগুলো নির্মাণ করাও হয়েছিল বাস স্টপেজ এবং পথচারীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে।

যাত্রী ছাউনিগুলোকে সংস্কার করে ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে। সেখানে যাত্রীদের বসার, খাওয়ার, পানির সুব্যবস্থা করেতে হবে। সঙ্গে গণশৌচাগার থাকলে ভালো হয়। কোনো ধরনের দোকান, হকার, ভবঘুরে বা মাদকসেবীদের দখলে যেন না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। নগরে চলাচলরত জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে সিটি করপোরেশনকেই এই দায়িত্ব নিতে হবে।

বাসগুলো যেন নির্ধারিত স্টপেজে যাত্রী ছাউনির সামনেই যাত্রী ওঠা-নামা করায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। যাত্রীরা যেন ছাউনিতে ফিরে আসে ব্যবস্থা করতে হবে। এতে করে যাত্রীদের ঝুঁকি কমবে। ফলে দুর্ঘটনার হারও কমবে। কিছুটা হলেও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

back to top