alt

opinion » editorial

গ্যাস সিলিন্ডারে বেলুন ফোলানো বন্ধে অভিযান চালান

: শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২

মাঘের শুরুতে হাসানপুর গ্রামের মাঠে মেলা শুরু হবে। বিরলি গ্রামের বেলুন বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন মেলায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। নিজের বাড়ির উঠানে গ্যাসের সিলিন্ডার দিয়ে ফোলাচ্ছিলেন বেলুন। মেলার স্বপ্নে বিভোর গ্রামের শিশুরা তাকে ঘিরে বেলুন ফোলানো দেখছিল।

মেলা শুরু হয়েছে। কিন্তু তাদের কেউই সেখানে যোগ দিতে পারেনি। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বেলুন বিক্রেতাসহ উপস্থিত শিশুরা আহত হয়েছে। যারা পরের দিন যেতে চেয়েছিল মেলায়, তাদের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতাল। আহতদের মধ্যে কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে।

বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাতে অনেকে মারাও গেছে। ২০১৯ সালে ঢাকার রূপনগরে বেলুনে গ্যাস ভরার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সাত শিশু মারা গিয়েছিল।

বেলুন ফোলাতে হয় সাধারণত হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে। জানা গেছে, দেশের বেলুন বিক্রেতারা হিলিয়াম গ্যাসের পরিবর্তে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করছে। এ গ্যাস তারা ঘরে বসেই তৈরি করছে। পানি আর কস্টিক সোডা দিয়েই সহজ তৈরি করা যায় এই গ্যাস। উপকরণ সহজলভ্য, খরচও কম। এ কারণে বেলুন বিক্রেতার হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহারেই আগ্রহী।

লাভের দিকটা মাথায় থাকলেও এর ঝুঁকির দিকটা তারা উপেক্ষা করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরিতে যে কস্টিক সোডা ব্যবহার করা হয় সেটি তাপের সৃষ্টি করে। এর ফলে সিলিন্ডারে ক্ষয় ধরে পাতলা হয়ে একসময় লিকেজ তৈরি হয়। যা থেকে এক সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে।

সিলিন্ডার ব্যবহার করে বেলুনে গ্যাস ভরে বিক্রি করা অবৈধ হলেও বেলুন বিক্রেতারা তা মানছে না। তাদের কেউ এ কাজ থেকে নিবৃত্তও করছে না। সিলিন্ডার ব্যবহার করে বেলুনে গ্যাস ভরার কাজ বন্ধ করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের- এ নিয়ে এক সংস্থা আরেক সংস্থার ঘাড়ে দায় চাপায়। তাদের এ দায় চাপানোর খেলায় ঘটছে দুর্ঘটনা, হতাহত হচ্ছে মানুষ। সিলিন্ডার ব্যবহার করে যারা গ্যাস বেলুন বিক্রি বন্ধ করতে অভিযান চালাতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

নাঙ্গলকোটে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

গ্যাস সিলিন্ডারে বেলুন ফোলানো বন্ধে অভিযান চালান

শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২

মাঘের শুরুতে হাসানপুর গ্রামের মাঠে মেলা শুরু হবে। বিরলি গ্রামের বেলুন বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন মেলায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। নিজের বাড়ির উঠানে গ্যাসের সিলিন্ডার দিয়ে ফোলাচ্ছিলেন বেলুন। মেলার স্বপ্নে বিভোর গ্রামের শিশুরা তাকে ঘিরে বেলুন ফোলানো দেখছিল।

মেলা শুরু হয়েছে। কিন্তু তাদের কেউই সেখানে যোগ দিতে পারেনি। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বেলুন বিক্রেতাসহ উপস্থিত শিশুরা আহত হয়েছে। যারা পরের দিন যেতে চেয়েছিল মেলায়, তাদের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতাল। আহতদের মধ্যে কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে।

বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাতে অনেকে মারাও গেছে। ২০১৯ সালে ঢাকার রূপনগরে বেলুনে গ্যাস ভরার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সাত শিশু মারা গিয়েছিল।

বেলুন ফোলাতে হয় সাধারণত হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে। জানা গেছে, দেশের বেলুন বিক্রেতারা হিলিয়াম গ্যাসের পরিবর্তে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করছে। এ গ্যাস তারা ঘরে বসেই তৈরি করছে। পানি আর কস্টিক সোডা দিয়েই সহজ তৈরি করা যায় এই গ্যাস। উপকরণ সহজলভ্য, খরচও কম। এ কারণে বেলুন বিক্রেতার হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহারেই আগ্রহী।

লাভের দিকটা মাথায় থাকলেও এর ঝুঁকির দিকটা তারা উপেক্ষা করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরিতে যে কস্টিক সোডা ব্যবহার করা হয় সেটি তাপের সৃষ্টি করে। এর ফলে সিলিন্ডারে ক্ষয় ধরে পাতলা হয়ে একসময় লিকেজ তৈরি হয়। যা থেকে এক সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে।

সিলিন্ডার ব্যবহার করে বেলুনে গ্যাস ভরে বিক্রি করা অবৈধ হলেও বেলুন বিক্রেতারা তা মানছে না। তাদের কেউ এ কাজ থেকে নিবৃত্তও করছে না। সিলিন্ডার ব্যবহার করে বেলুনে গ্যাস ভরার কাজ বন্ধ করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের- এ নিয়ে এক সংস্থা আরেক সংস্থার ঘাড়ে দায় চাপায়। তাদের এ দায় চাপানোর খেলায় ঘটছে দুর্ঘটনা, হতাহত হচ্ছে মানুষ। সিলিন্ডার ব্যবহার করে যারা গ্যাস বেলুন বিক্রি বন্ধ করতে অভিযান চালাতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

নাঙ্গলকোটে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top