alt

মতামত » সম্পাদকীয়

শাবিপ্রবির এ পরিস্থিতির দায় কার

: মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

চাওয়া ছিল সামান্যই। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ডাবলিং নিষিদ্ধ করা, গণরুম না রাখা, অভিভাবকদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া, খাবারের মান উন্নত করা ইত্যাদি। দাবিগুলো তুলেছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের ছাত্রীরা। গত বৃহস্পতিবার তারা এ দাবি নিয়ে প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কখাও বলেছিল। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে আন্দোলন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যেই পদত্যাগ করতে হয়েছে ওই হলের প্রাধ্যক্ষকে।

শিক্ষার্থীদের সামান্য কিছু চাওয়ার জের ধরে আজকে শাবিপ্রবিতে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হলো কেন- আমরা সেটা জানতে চাই। যেসব দাবি তারা তুলেছে সেগুলো পাওয়ার অধিকার কী শিক্ষার্থীদের নেই। নাকি এগুলো পূরণ করার সামর্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ছিল না। কোন দাবি-দাওয়া তোলা হলে সেটা সমাধানের পথ না খুঁজে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয় কেন?

শিক্ষার্থীরা যখন প্রাধ্যক্ষের কাছে দাবিগুলো তুললেন, তিনি আমলে নিলেন না। আসদাচরণ করলেন। পুরো বিষয় যখন উপাচর্য বরাবর পেশ করা হলো, তখন সেখানে ছাত্রলীগ গিয়ে হাজির হলো, হামলা করল। এরপর যখন ছাত্রলীগের হামলার বিচারের দাবি উঠল, উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা হলো। তখন পুলিশ গিয়ে হাজির হলো, শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছুড়ল, লাঠিচার্জ করল।

সমস্যাকে বড় করে তোলা বা জল ঘোলা করার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে যখনই প্রতিবাদ শুরু করেছে, তখনই উপাচার্য এটা সমাধান করতে পারতেন বলেই আমরা মনে করি। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিলে জল এতদূর গড়াত না। ছাত্রীদের যেসব দাবি, সেটা পূরণ করা খুব কঠিন কিছু ছিল বলে মনে হয় না। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতায় ছোট একটা ঘটনা বড় আকার ধারণ করেছে। শিক্ষার্থীরা এখনও আন্দোলন করছেন। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে।

সমস্যার আরেক নাম ছাত্রলীগ। শিক্ষার্থীরা যখনই যেখানে কোন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে সেখানেই তারা হাজির হয়। সেখানে তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা না করে হামলা চালায়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা ইস্যুতে প্রশাসনের চেয়ে ছাত্রলীগের মাথাব্যথাই বেশি! তাদের গুণ্ডামির কারণে শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিপদে পড়ে।

শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নয়; এর আগে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ রয়েছে। তাদের এ মারমুখী আচরণের কারণে সরকারকেও বিভিন্ন সময়ে বিপদে পড়তে হয়। এ ছাত্রলীগ হামলা চালিয়ে কোন কোন সমস্যাকে এমন জায়গায় নিয়ে যায়, যেখান থেকে সমাধানের সহজ পথ বের করা সরকারের পক্ষেও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কোটা আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন জটিল হয়েছিল তাদের কারণেই। এখন শাবিপ্রবিতে যেন এর পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

শাবিপ্রবির এ পরিস্থিতির দায় কার

মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

চাওয়া ছিল সামান্যই। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ডাবলিং নিষিদ্ধ করা, গণরুম না রাখা, অভিভাবকদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া, খাবারের মান উন্নত করা ইত্যাদি। দাবিগুলো তুলেছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের ছাত্রীরা। গত বৃহস্পতিবার তারা এ দাবি নিয়ে প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কখাও বলেছিল। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে আন্দোলন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যেই পদত্যাগ করতে হয়েছে ওই হলের প্রাধ্যক্ষকে।

শিক্ষার্থীদের সামান্য কিছু চাওয়ার জের ধরে আজকে শাবিপ্রবিতে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হলো কেন- আমরা সেটা জানতে চাই। যেসব দাবি তারা তুলেছে সেগুলো পাওয়ার অধিকার কী শিক্ষার্থীদের নেই। নাকি এগুলো পূরণ করার সামর্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ছিল না। কোন দাবি-দাওয়া তোলা হলে সেটা সমাধানের পথ না খুঁজে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয় কেন?

শিক্ষার্থীরা যখন প্রাধ্যক্ষের কাছে দাবিগুলো তুললেন, তিনি আমলে নিলেন না। আসদাচরণ করলেন। পুরো বিষয় যখন উপাচর্য বরাবর পেশ করা হলো, তখন সেখানে ছাত্রলীগ গিয়ে হাজির হলো, হামলা করল। এরপর যখন ছাত্রলীগের হামলার বিচারের দাবি উঠল, উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা হলো। তখন পুলিশ গিয়ে হাজির হলো, শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছুড়ল, লাঠিচার্জ করল।

সমস্যাকে বড় করে তোলা বা জল ঘোলা করার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে যখনই প্রতিবাদ শুরু করেছে, তখনই উপাচার্য এটা সমাধান করতে পারতেন বলেই আমরা মনে করি। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিলে জল এতদূর গড়াত না। ছাত্রীদের যেসব দাবি, সেটা পূরণ করা খুব কঠিন কিছু ছিল বলে মনে হয় না। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতায় ছোট একটা ঘটনা বড় আকার ধারণ করেছে। শিক্ষার্থীরা এখনও আন্দোলন করছেন। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে।

সমস্যার আরেক নাম ছাত্রলীগ। শিক্ষার্থীরা যখনই যেখানে কোন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে সেখানেই তারা হাজির হয়। সেখানে তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা না করে হামলা চালায়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা ইস্যুতে প্রশাসনের চেয়ে ছাত্রলীগের মাথাব্যথাই বেশি! তাদের গুণ্ডামির কারণে শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিপদে পড়ে।

শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নয়; এর আগে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ রয়েছে। তাদের এ মারমুখী আচরণের কারণে সরকারকেও বিভিন্ন সময়ে বিপদে পড়তে হয়। এ ছাত্রলীগ হামলা চালিয়ে কোন কোন সমস্যাকে এমন জায়গায় নিয়ে যায়, যেখান থেকে সমাধানের সহজ পথ বের করা সরকারের পক্ষেও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কোটা আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন জটিল হয়েছিল তাদের কারণেই। এখন শাবিপ্রবিতে যেন এর পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।

back to top