alt

মতামত » সম্পাদকীয়

প্রেরণাদায়ী সাফল্য

: বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২

দেশের প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়ে কুষ্টিয়া গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর ফলে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া যাবে।

দেশের প্রকৌশলীরা একটি পাম্প সচল করায় প্রকল্পের সক্ষমতা বেড়েছে। এতে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে। এর মাধ্যমে অন্তত ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানা গেছে। ১৯৫৪ সালে কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। খালগুলো ভরাট হওয়ায় বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতা কমে এসেছে বলে জানা যায়।

কাজের সুযোগ দিলে আমাদের দেশের মানুষও ভালো করতে পারে। তারা সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারে। জিকে সেচ প্রকল্পের পাম্প মেরামতের মাধ্যমে তার আরও একটি উদাহরণ পাওয়া গেল। আমাদের দেশে শুধু যে প্রকৌশলীদের সাফল্য দেখা যায় তা নয়। অতীতে কৃষি, চিকিৎসাসহ অনেক ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন জরুরি হচ্ছে তাদের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে অভ্যন্তরীণ জনগোষ্ঠীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়বে। পাশাপাশি দেশের অর্থও সাশ্রয় হবে।

ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশ ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংকের তালিকায় নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হয়। এরপর ২০২১ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের সুপারিশ পায়। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বের হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেটা অর্জন করতে হলে দক্ষ ও যোগ্য অভ্যন্তরীণ জনশক্তির বিকল্প নেই।

পৃথিবীতে যত দেশ উন্নত হয়েছে তারা নিজস্ব শক্তি থেকে উন্নত হয়েছে। কিন্তু দেশের বড় বড় অনেক প্রকল্পের কাজই এখনও সম্পন্ন করার জন্য বাইরের দেশের জনশক্তির ওপর নির্ভর করতে হয়। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য অভ্যন্তরীণ জনশক্তির পরিচর্যার পাশাপাশি তাদের কাজের সুযোগও দিতে হবে।

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

প্রেরণাদায়ী সাফল্য

বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২

দেশের প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়ে কুষ্টিয়া গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর ফলে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া যাবে।

দেশের প্রকৌশলীরা একটি পাম্প সচল করায় প্রকল্পের সক্ষমতা বেড়েছে। এতে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে। এর মাধ্যমে অন্তত ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানা গেছে। ১৯৫৪ সালে কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। এর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। খালগুলো ভরাট হওয়ায় বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতা কমে এসেছে বলে জানা যায়।

কাজের সুযোগ দিলে আমাদের দেশের মানুষও ভালো করতে পারে। তারা সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারে। জিকে সেচ প্রকল্পের পাম্প মেরামতের মাধ্যমে তার আরও একটি উদাহরণ পাওয়া গেল। আমাদের দেশে শুধু যে প্রকৌশলীদের সাফল্য দেখা যায় তা নয়। অতীতে কৃষি, চিকিৎসাসহ অনেক ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন জরুরি হচ্ছে তাদের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে অভ্যন্তরীণ জনগোষ্ঠীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়বে। পাশাপাশি দেশের অর্থও সাশ্রয় হবে।

ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশ ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংকের তালিকায় নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হয়। এরপর ২০২১ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের সুপারিশ পায়। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বের হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেটা অর্জন করতে হলে দক্ষ ও যোগ্য অভ্যন্তরীণ জনশক্তির বিকল্প নেই।

পৃথিবীতে যত দেশ উন্নত হয়েছে তারা নিজস্ব শক্তি থেকে উন্নত হয়েছে। কিন্তু দেশের বড় বড় অনেক প্রকল্পের কাজই এখনও সম্পন্ন করার জন্য বাইরের দেশের জনশক্তির ওপর নির্ভর করতে হয়। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য অভ্যন্তরীণ জনশক্তির পরিচর্যার পাশাপাশি তাদের কাজের সুযোগও দিতে হবে।

back to top