alt

মতামত » সম্পাদকীয়

অপ্রয়োজনে সেতু, প্রয়োজনে নাই

: সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের কালারঘাট গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে যমুনেশ্বরী নদী। নদীটি তারাগঞ্জ উপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে কালারঘাটসহ আশেপাশের দশ গ্রামকে। এ নদীর ওপর কোন সেতু না থাকায় গ্রামগুলো সড়ক যোগাযোগ থেকেও বিচ্ছিন্ন। ১০ গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা ঝুঁকিপুর্ণ বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে। এর বাইরে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে তাদের উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করতে হয়। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গত ৫০ বছর ধরে যমুনেশ্বরী নদী ওপর একটি সেতু দাবি করে আসছে এলাকাবসী। কিন্তু সেখানে সেতু নির্মাণের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। এলাকাবাসীর চাঁদা ও স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকোই হচ্ছে নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা। তাছাড়া খরা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে সেটা সম্ভব নয়। তখন কলা গাছের ভেলা কিংবা নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হতে হয়, যা হাজার হাজার মানুষকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম ঝুঁকি ও দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দেয়।

সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় উপজেলা সদরে আসা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। সঙ্গে নারী-শিশু, প্রবীণ এবং চিকিৎসা করাতে আসা রোগী এবং তাদের স্বজনদের দুর্ভোগ তো রয়েছেই। তাছাড়া সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরাও বঞ্চিত হচ্ছে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে। সামাজিকভাবেও তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে পিছিয়ে রয়েছে।

তারাগঞ্জ উপজেলার কালারঘাট গ্রামের মতো দেশের অনেক স্থানেই সেতুর অভাবে স্থানীয়দের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আবার অপ্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। দুর্গম পাহাড়, ধান ক্ষেত, সড়কের শেষ প্রান্তে, এমনকি বিরাণ ভূমিতেও কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এসব সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় এসব অবকাঠামোর কোন সুফলই সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ ভোগ করতে পারছে না। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পকেট ভারী হয়েছে ঠিকই। অন্যদিকে তারাগঞ্জের মতো দেশের বহু জয়গার বাসিন্দারা অর্ধ শতাব্দী ধরে কষ্ট করছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

যমুনেশ্বরী নদী ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার হাজারো মানুষ উপকৃত হবে। তরাগঞ্জের যমুনেশ্বরী নদীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এমন সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাই দেশের কোথায় কোথায় এমন সেতুর প্রয়োজন সেটা খুঁজে বের করতে হবে। সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অপ্রয়োজনে সেতু, প্রয়োজনে নাই-গণমাধ্যমে এমন প্রতিবেদন আমরা আর দেখতে চাই না।

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

অপ্রয়োজনে সেতু, প্রয়োজনে নাই

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের কালারঘাট গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে যমুনেশ্বরী নদী। নদীটি তারাগঞ্জ উপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে কালারঘাটসহ আশেপাশের দশ গ্রামকে। এ নদীর ওপর কোন সেতু না থাকায় গ্রামগুলো সড়ক যোগাযোগ থেকেও বিচ্ছিন্ন। ১০ গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা ঝুঁকিপুর্ণ বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে। এর বাইরে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে তাদের উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করতে হয়। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গত ৫০ বছর ধরে যমুনেশ্বরী নদী ওপর একটি সেতু দাবি করে আসছে এলাকাবসী। কিন্তু সেখানে সেতু নির্মাণের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। এলাকাবাসীর চাঁদা ও স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকোই হচ্ছে নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা। তাছাড়া খরা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে সেটা সম্ভব নয়। তখন কলা গাছের ভেলা কিংবা নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হতে হয়, যা হাজার হাজার মানুষকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম ঝুঁকি ও দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দেয়।

সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় উপজেলা সদরে আসা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। সঙ্গে নারী-শিশু, প্রবীণ এবং চিকিৎসা করাতে আসা রোগী এবং তাদের স্বজনদের দুর্ভোগ তো রয়েছেই। তাছাড়া সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরাও বঞ্চিত হচ্ছে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে। সামাজিকভাবেও তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে পিছিয়ে রয়েছে।

তারাগঞ্জ উপজেলার কালারঘাট গ্রামের মতো দেশের অনেক স্থানেই সেতুর অভাবে স্থানীয়দের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আবার অপ্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। দুর্গম পাহাড়, ধান ক্ষেত, সড়কের শেষ প্রান্তে, এমনকি বিরাণ ভূমিতেও কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এসব সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় এসব অবকাঠামোর কোন সুফলই সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ ভোগ করতে পারছে না। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পকেট ভারী হয়েছে ঠিকই। অন্যদিকে তারাগঞ্জের মতো দেশের বহু জয়গার বাসিন্দারা অর্ধ শতাব্দী ধরে কষ্ট করছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

যমুনেশ্বরী নদী ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার হাজারো মানুষ উপকৃত হবে। তরাগঞ্জের যমুনেশ্বরী নদীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এমন সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাই দেশের কোথায় কোথায় এমন সেতুর প্রয়োজন সেটা খুঁজে বের করতে হবে। সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অপ্রয়োজনে সেতু, প্রয়োজনে নাই-গণমাধ্যমে এমন প্রতিবেদন আমরা আর দেখতে চাই না।

back to top