alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নদী খননে থাকতে হবে পরিকল্পনা, করতে হবে সমন্বয়

: বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২

শুষ্ক মৌসুমে দেশের অনেক নদ-নদীতে নাব্য সংকট দেখা দেয়। এ কারণে নৌপথগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নদীকেন্দ্রিক জনজীবন হয়ে পড়ে স্থবির। বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না।

আজ প্রকাশিত সংবাদ-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্য কমে যাওয়া সংকটে পড়েছে গাইবান্ধার ৮০টি নৌপথ। জেলার অন্তত গোটা তিনেক নৌপথ যেন চালু থাকে সেজন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং করছে।

জানা গেছে, প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকা খরচে গত দু’বছর ধরে নদী খনন করা হচ্ছে। তবে তাতে সুফল মিলছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিআইডব্লিউটিএর কাজে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে।

নদীতে পলি জমে প্রাকৃতিক নিয়মে। উজান থেকে শুধু পানিই আসে না। পলি জমে জমেই এই বদ্বীপ তৈরি হয়েছে। পলি যেমন নতুন ভূমি তৈরি করে তেমন নৌপথও রুদ্ধ করে।

নতুন জমিতে মানুষের মধ্যে নতুন আশা তৈরি হয়। কিন্তু নৌপথ রুদ্ধ হলে তাদের যাতায়াত-যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। পলির কারণে নৌপথগুলো যেন বন্ধ হয়ে না যায়, মানুষের চলাচলে যেন বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য নদ-নদী খনন করা জরুরি।

নদী খননে বিআইডব্লিউটিএর যোগ্যতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দেশে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে গেছে। এজন্য সংস্থাটির ব্যর্থতাকে দায়ী করেন অনেকে। তাদের কাজে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাব আছে-এমন সমালোচনা প্রায়ই শোনা যায়। নৌপথ রক্ষণাবেক্ষণে তাদের গাছাড়া ভাবের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শুকনো মৌসুমে জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, সময় ও অর্থের অপচয় হয়।

শুকনো মৌসুমের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা নিয়ে আগে থেকে কাজ করলে অনেক নৌপথকেই চালু রাখা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। আর এ কাজের জন্য দরকার দূরদর্শিতা ও দায়িত্বশীলতা। নদী খনন করতে হবে গভীরভাবে। নদীর তলদেশ থেকে ওঠানো পলি যেন আবার নদীতে গিয়ে না জমে সেজন্য চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নদী খননে থাকতে হবে পরিকল্পনা, করতে হবে সমন্বয়

বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২

শুষ্ক মৌসুমে দেশের অনেক নদ-নদীতে নাব্য সংকট দেখা দেয়। এ কারণে নৌপথগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নদীকেন্দ্রিক জনজীবন হয়ে পড়ে স্থবির। বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না।

আজ প্রকাশিত সংবাদ-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্য কমে যাওয়া সংকটে পড়েছে গাইবান্ধার ৮০টি নৌপথ। জেলার অন্তত গোটা তিনেক নৌপথ যেন চালু থাকে সেজন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং করছে।

জানা গেছে, প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকা খরচে গত দু’বছর ধরে নদী খনন করা হচ্ছে। তবে তাতে সুফল মিলছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিআইডব্লিউটিএর কাজে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে।

নদীতে পলি জমে প্রাকৃতিক নিয়মে। উজান থেকে শুধু পানিই আসে না। পলি জমে জমেই এই বদ্বীপ তৈরি হয়েছে। পলি যেমন নতুন ভূমি তৈরি করে তেমন নৌপথও রুদ্ধ করে।

নতুন জমিতে মানুষের মধ্যে নতুন আশা তৈরি হয়। কিন্তু নৌপথ রুদ্ধ হলে তাদের যাতায়াত-যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। পলির কারণে নৌপথগুলো যেন বন্ধ হয়ে না যায়, মানুষের চলাচলে যেন বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য নদ-নদী খনন করা জরুরি।

নদী খননে বিআইডব্লিউটিএর যোগ্যতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দেশে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে গেছে। এজন্য সংস্থাটির ব্যর্থতাকে দায়ী করেন অনেকে। তাদের কাজে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাব আছে-এমন সমালোচনা প্রায়ই শোনা যায়। নৌপথ রক্ষণাবেক্ষণে তাদের গাছাড়া ভাবের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শুকনো মৌসুমে জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, সময় ও অর্থের অপচয় হয়।

শুকনো মৌসুমের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা নিয়ে আগে থেকে কাজ করলে অনেক নৌপথকেই চালু রাখা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। আর এ কাজের জন্য দরকার দূরদর্শিতা ও দায়িত্বশীলতা। নদী খনন করতে হবে গভীরভাবে। নদীর তলদেশ থেকে ওঠানো পলি যেন আবার নদীতে গিয়ে না জমে সেজন্য চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

back to top