alt

opinion » editorial

নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

: শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ঝিনাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। ফলে হুমকিতে পড়েছে নদীর দু’কূলের বসতবাড়ি, জমিজমা, রাস্তাঘাট ও বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয় একটি প্রভাশালী চক্র এ অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করছে। কিন্তু বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট প্রভাব খাটিয়ে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

দেশের অনেক নদ-নদী থেকেই এভাবে অবৈধভাবে বালু তোলা হয়। সরিষাবাড়ীর কামরাবাদ ইউনিয়নের ঝিনাই নদী হচ্ছে এর একটি উদাহরণমাত্র। আর এখানকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ সারাদেশের ভুক্তভোগী জনসাধারণের প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে বালু তোলার ফলে বসতবাড়ী, রাস্তাঘাট, আবাদি জমি, ৪টি ব্রিজ, দুটি বিদ্যালয় যেমন নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তেমনি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও একই অবস্থা।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিকল্পনাহীনভাবে নদী থেকে বালু তোলা হলে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। প্রভাব পড়ে জলবায়ু পরিবর্তনেও। এই প্রভাব বিশ্লেষণ করতে হলে বালু উত্তোলনের স্থান, আয়তন, সময়, অন্যান্য খনি, সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য ও উত্তোলনের প্রাযুক্তিক ব্যবস্থা বিবেচনা করতে হয়। কিন্তু দেশে এসবের কিছুই বিবেচনায় নেয়া হয় না।

২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় বালুমহাল আইন। আইনে বলা হয়, বিপণনের উদ্দেশ্যে কোন উন্মুক্ত স্থান, চা-বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না। এছাড়া সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি তোলা নিষিদ্ধ।

বালুমহাল আইনের যথাযথ প্রয়োগ দেখা যায় না বললেই চলে। যদি দেখা যেত তাহলে সরিষাবাড়ীর ঝিনাই নদী থেকে সংঘবদ্ধচক্র অবৈধভাবে বালু তোলার সাহস পেতনা। এসব কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করা হলেও স্থানীয় প্রশাসনকে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছি বা নেব বলে কাজ সারে। কখনো যদি কোন ব্যবস্থা নেয়াও হয় সেটা বিচ্ছিন্নভাবে নেয়া হয়। ফলে স্থায়ী ও টেসই কোন সমাধান পাওয়া যায় না। শুধু মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কয়েকটি মেশিন ধ্বংস করলে হবে না, এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নিতে হবে।

দেশে অবকাঠামো নির্মাণে বালুর প্রয়োজন আছে। তবে তা তুলতে হবে নিয়ম মেনে। প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে, পরিবেশকে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে নির্বিচারে বালু তোলা হোক-সেটা আমরা চাই না।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ঝিনাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। ফলে হুমকিতে পড়েছে নদীর দু’কূলের বসতবাড়ি, জমিজমা, রাস্তাঘাট ও বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয় একটি প্রভাশালী চক্র এ অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করছে। কিন্তু বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট প্রভাব খাটিয়ে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

দেশের অনেক নদ-নদী থেকেই এভাবে অবৈধভাবে বালু তোলা হয়। সরিষাবাড়ীর কামরাবাদ ইউনিয়নের ঝিনাই নদী হচ্ছে এর একটি উদাহরণমাত্র। আর এখানকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ সারাদেশের ভুক্তভোগী জনসাধারণের প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে বালু তোলার ফলে বসতবাড়ী, রাস্তাঘাট, আবাদি জমি, ৪টি ব্রিজ, দুটি বিদ্যালয় যেমন নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তেমনি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও একই অবস্থা।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিকল্পনাহীনভাবে নদী থেকে বালু তোলা হলে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। প্রভাব পড়ে জলবায়ু পরিবর্তনেও। এই প্রভাব বিশ্লেষণ করতে হলে বালু উত্তোলনের স্থান, আয়তন, সময়, অন্যান্য খনি, সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য ও উত্তোলনের প্রাযুক্তিক ব্যবস্থা বিবেচনা করতে হয়। কিন্তু দেশে এসবের কিছুই বিবেচনায় নেয়া হয় না।

২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় বালুমহাল আইন। আইনে বলা হয়, বিপণনের উদ্দেশ্যে কোন উন্মুক্ত স্থান, চা-বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না। এছাড়া সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি তোলা নিষিদ্ধ।

বালুমহাল আইনের যথাযথ প্রয়োগ দেখা যায় না বললেই চলে। যদি দেখা যেত তাহলে সরিষাবাড়ীর ঝিনাই নদী থেকে সংঘবদ্ধচক্র অবৈধভাবে বালু তোলার সাহস পেতনা। এসব কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করা হলেও স্থানীয় প্রশাসনকে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছি বা নেব বলে কাজ সারে। কখনো যদি কোন ব্যবস্থা নেয়াও হয় সেটা বিচ্ছিন্নভাবে নেয়া হয়। ফলে স্থায়ী ও টেসই কোন সমাধান পাওয়া যায় না। শুধু মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কয়েকটি মেশিন ধ্বংস করলে হবে না, এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নিতে হবে।

দেশে অবকাঠামো নির্মাণে বালুর প্রয়োজন আছে। তবে তা তুলতে হবে নিয়ম মেনে। প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে, পরিবেশকে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে নির্বিচারে বালু তোলা হোক-সেটা আমরা চাই না।

back to top