alt

opinion » editorial

খেলার মাঠেই কেন থানা বানাতে হবে

: সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

ঢাকার কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার দাবি জানিয়ে ফেইসবুকে লাইভ করার সময় গতকাল রোববার পুলিশের হাতে আটক হন সৈয়দা রত্না নামের এক সংগঠক। এ সময় তার কলেজপড়ুয়া ছেলেকেও আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে তাদের একপর্যায়ে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

জানা গেছে, তেঁতুলতলার মাঠ বলে পরিচিত এক টুকরো জমিটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি। উক্ত এলাকার সবেধন নীলমণি এই একচিলতে জায়গা ভিন্ন আর কোনো খোলা জায়গা নেই; যেখানে শিশুরা একটু খেলতে পারে। শহরজুড়েই খেলার মাঠ, পার্ক বা খোলা জায়গার বড় অভাব। সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী, প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে খেলার মাঠ থাকার কথা। বাস্তবে সেটা নেই।

এ শহরে মাঠের বিকল্প মেলা ভার। এ কারণেই স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরেই মাঠটি রক্ষার জন্য আন্দোলন করছিল। তাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে কারণ, জায়গাটি কলাবাগান থানার ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কোন একটি থানার ভবন নির্মাণের প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না। প্রশ্ন হচ্ছে-ভবন নির্মাণ করার জন্য একটি এলাকার শিশুদের খেলার সুযোগ থেকে বঞ্ছিত করা জরুরি কিনা। ভবন ভাড়া নিয়েও থানা হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ইট-কংক্রিটের এই নগরে ভবনের অভাব নেই।

মাঠ রক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবিকে আমলে নেয়া জরুরি। যে কোন কাজে নাগরিকদের প্রয়োজনকে অগ্রগণ্য বিবেচনা করা দরকার। থানাও তৈরি করা হবে নাগরিকদের জন্য। থানা হলে অপরাধ দমন করা যাবে, নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়া যাবে। আমরা বলতে চাই, সমাজে কেউ যেন অপরাধী হিসেবে বেড়ে না ওঠে সেটা নিশ্চিত করার জন্য মাঠেরও প্রয়োজন আছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তেঁতুলতলার উক্ত স্থান খেলার মাঠ হিসেবে থাকবে নাকি সেখানে থানা হবে সেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা মনে করি, খোলা মনে আলোচনা হলে গ্রহণযোগ্য সমাধান মিলতে পারে। আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত সেখানে কোন ধরনের নির্মাণকাজ না চালানোই উত্তম।

শিশুরা আগের মতো সেখানে খেলতে পারছে- আমরা এমনটাই দেখতে চাই। খেলাকে কেউ যেন অপরাধ হিসেবে গণ্য না করে, খেলার জন্য কোন ?শিশুকে যেন শারীরিক-মানসিক নিপীড়নের শিকার হতে না হয় সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে। গত বছর ৩১ জানুয়ারি উক্ত মাঠে খেলতে যাওয়া কয়েকটি শিশুকে কান ধরে ওঠবস করিয়েছিল পুলিশ। শিশুদের সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ কাম্য নয়।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

খেলার মাঠেই কেন থানা বানাতে হবে

সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

ঢাকার কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার দাবি জানিয়ে ফেইসবুকে লাইভ করার সময় গতকাল রোববার পুলিশের হাতে আটক হন সৈয়দা রত্না নামের এক সংগঠক। এ সময় তার কলেজপড়ুয়া ছেলেকেও আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে তাদের একপর্যায়ে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

জানা গেছে, তেঁতুলতলার মাঠ বলে পরিচিত এক টুকরো জমিটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি। উক্ত এলাকার সবেধন নীলমণি এই একচিলতে জায়গা ভিন্ন আর কোনো খোলা জায়গা নেই; যেখানে শিশুরা একটু খেলতে পারে। শহরজুড়েই খেলার মাঠ, পার্ক বা খোলা জায়গার বড় অভাব। সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী, প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে খেলার মাঠ থাকার কথা। বাস্তবে সেটা নেই।

এ শহরে মাঠের বিকল্প মেলা ভার। এ কারণেই স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরেই মাঠটি রক্ষার জন্য আন্দোলন করছিল। তাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে কারণ, জায়গাটি কলাবাগান থানার ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কোন একটি থানার ভবন নির্মাণের প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না। প্রশ্ন হচ্ছে-ভবন নির্মাণ করার জন্য একটি এলাকার শিশুদের খেলার সুযোগ থেকে বঞ্ছিত করা জরুরি কিনা। ভবন ভাড়া নিয়েও থানা হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ইট-কংক্রিটের এই নগরে ভবনের অভাব নেই।

মাঠ রক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবিকে আমলে নেয়া জরুরি। যে কোন কাজে নাগরিকদের প্রয়োজনকে অগ্রগণ্য বিবেচনা করা দরকার। থানাও তৈরি করা হবে নাগরিকদের জন্য। থানা হলে অপরাধ দমন করা যাবে, নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়া যাবে। আমরা বলতে চাই, সমাজে কেউ যেন অপরাধী হিসেবে বেড়ে না ওঠে সেটা নিশ্চিত করার জন্য মাঠেরও প্রয়োজন আছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তেঁতুলতলার উক্ত স্থান খেলার মাঠ হিসেবে থাকবে নাকি সেখানে থানা হবে সেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা মনে করি, খোলা মনে আলোচনা হলে গ্রহণযোগ্য সমাধান মিলতে পারে। আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত সেখানে কোন ধরনের নির্মাণকাজ না চালানোই উত্তম।

শিশুরা আগের মতো সেখানে খেলতে পারছে- আমরা এমনটাই দেখতে চাই। খেলাকে কেউ যেন অপরাধ হিসেবে গণ্য না করে, খেলার জন্য কোন ?শিশুকে যেন শারীরিক-মানসিক নিপীড়নের শিকার হতে না হয় সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে। গত বছর ৩১ জানুয়ারি উক্ত মাঠে খেলতে যাওয়া কয়েকটি শিশুকে কান ধরে ওঠবস করিয়েছিল পুলিশ। শিশুদের সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ কাম্য নয়।

back to top