ঢাকার কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার দাবি জানিয়ে ফেইসবুকে লাইভ করার সময় গতকাল রোববার পুলিশের হাতে আটক হন সৈয়দা রত্না নামের এক সংগঠক। এ সময় তার কলেজপড়ুয়া ছেলেকেও আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে তাদের একপর্যায়ে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
জানা গেছে, তেঁতুলতলার মাঠ বলে পরিচিত এক টুকরো জমিটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি। উক্ত এলাকার সবেধন নীলমণি এই একচিলতে জায়গা ভিন্ন আর কোনো খোলা জায়গা নেই; যেখানে শিশুরা একটু খেলতে পারে। শহরজুড়েই খেলার মাঠ, পার্ক বা খোলা জায়গার বড় অভাব। সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী, প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে খেলার মাঠ থাকার কথা। বাস্তবে সেটা নেই।
এ শহরে মাঠের বিকল্প মেলা ভার। এ কারণেই স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরেই মাঠটি রক্ষার জন্য আন্দোলন করছিল। তাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে কারণ, জায়গাটি কলাবাগান থানার ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কোন একটি থানার ভবন নির্মাণের প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না। প্রশ্ন হচ্ছে-ভবন নির্মাণ করার জন্য একটি এলাকার শিশুদের খেলার সুযোগ থেকে বঞ্ছিত করা জরুরি কিনা। ভবন ভাড়া নিয়েও থানা হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ইট-কংক্রিটের এই নগরে ভবনের অভাব নেই।
মাঠ রক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবিকে আমলে নেয়া জরুরি। যে কোন কাজে নাগরিকদের প্রয়োজনকে অগ্রগণ্য বিবেচনা করা দরকার। থানাও তৈরি করা হবে নাগরিকদের জন্য। থানা হলে অপরাধ দমন করা যাবে, নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়া যাবে। আমরা বলতে চাই, সমাজে কেউ যেন অপরাধী হিসেবে বেড়ে না ওঠে সেটা নিশ্চিত করার জন্য মাঠেরও প্রয়োজন আছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তেঁতুলতলার উক্ত স্থান খেলার মাঠ হিসেবে থাকবে নাকি সেখানে থানা হবে সেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা মনে করি, খোলা মনে আলোচনা হলে গ্রহণযোগ্য সমাধান মিলতে পারে। আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত সেখানে কোন ধরনের নির্মাণকাজ না চালানোই উত্তম।
শিশুরা আগের মতো সেখানে খেলতে পারছে- আমরা এমনটাই দেখতে চাই। খেলাকে কেউ যেন অপরাধ হিসেবে গণ্য না করে, খেলার জন্য কোন ?শিশুকে যেন শারীরিক-মানসিক নিপীড়নের শিকার হতে না হয় সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে। গত বছর ৩১ জানুয়ারি উক্ত মাঠে খেলতে যাওয়া কয়েকটি শিশুকে কান ধরে ওঠবস করিয়েছিল পুলিশ। শিশুদের সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ কাম্য নয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
ঢাকার কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার দাবি জানিয়ে ফেইসবুকে লাইভ করার সময় গতকাল রোববার পুলিশের হাতে আটক হন সৈয়দা রত্না নামের এক সংগঠক। এ সময় তার কলেজপড়ুয়া ছেলেকেও আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে তাদের একপর্যায়ে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
জানা গেছে, তেঁতুলতলার মাঠ বলে পরিচিত এক টুকরো জমিটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি। উক্ত এলাকার সবেধন নীলমণি এই একচিলতে জায়গা ভিন্ন আর কোনো খোলা জায়গা নেই; যেখানে শিশুরা একটু খেলতে পারে। শহরজুড়েই খেলার মাঠ, পার্ক বা খোলা জায়গার বড় অভাব। সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী, প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে খেলার মাঠ থাকার কথা। বাস্তবে সেটা নেই।
এ শহরে মাঠের বিকল্প মেলা ভার। এ কারণেই স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরেই মাঠটি রক্ষার জন্য আন্দোলন করছিল। তাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে কারণ, জায়গাটি কলাবাগান থানার ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কোন একটি থানার ভবন নির্মাণের প্রয়োজনকে অস্বীকার করা যায় না। প্রশ্ন হচ্ছে-ভবন নির্মাণ করার জন্য একটি এলাকার শিশুদের খেলার সুযোগ থেকে বঞ্ছিত করা জরুরি কিনা। ভবন ভাড়া নিয়েও থানা হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ইট-কংক্রিটের এই নগরে ভবনের অভাব নেই।
মাঠ রক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবিকে আমলে নেয়া জরুরি। যে কোন কাজে নাগরিকদের প্রয়োজনকে অগ্রগণ্য বিবেচনা করা দরকার। থানাও তৈরি করা হবে নাগরিকদের জন্য। থানা হলে অপরাধ দমন করা যাবে, নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়া যাবে। আমরা বলতে চাই, সমাজে কেউ যেন অপরাধী হিসেবে বেড়ে না ওঠে সেটা নিশ্চিত করার জন্য মাঠেরও প্রয়োজন আছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তেঁতুলতলার উক্ত স্থান খেলার মাঠ হিসেবে থাকবে নাকি সেখানে থানা হবে সেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা মনে করি, খোলা মনে আলোচনা হলে গ্রহণযোগ্য সমাধান মিলতে পারে। আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত সেখানে কোন ধরনের নির্মাণকাজ না চালানোই উত্তম।
শিশুরা আগের মতো সেখানে খেলতে পারছে- আমরা এমনটাই দেখতে চাই। খেলাকে কেউ যেন অপরাধ হিসেবে গণ্য না করে, খেলার জন্য কোন ?শিশুকে যেন শারীরিক-মানসিক নিপীড়নের শিকার হতে না হয় সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে। গত বছর ৩১ জানুয়ারি উক্ত মাঠে খেলতে যাওয়া কয়েকটি শিশুকে কান ধরে ওঠবস করিয়েছিল পুলিশ। শিশুদের সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ কাম্য নয়।