alt

opinion » editorial

প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে

: মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২

দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগে রয়েছে উদাসীনতা। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

দুই দশক আগে ২০০২ সালে দেশে প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এখন প্লাস্টিকের তৈরি শপিং ব্যাগ মানুষের হাতে হাতে। কিন্তু এর ব্যবহার বন্ধে নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাট বা কাগজের মতো পরিবেশবান্ধব ব্যাগের উৎপাদন ও ব্যবহার কেন কমল, সেটা একটা প্রশ্ন।

শুধু পণ্য বহনের কাজেই যে প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে, তা নয়। শিল্প ও কৃষিসহ নানা ক্ষেত্রে এর ব্যবহার হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো এর ব্যবহার সুবিধাজনক বা প্রয়োজনীয়। কিন্তু প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে যদি নিয়মনীতি মানা হতো বা প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক হতো তাহলে পরিবেশের ক্ষতি কমানো যেত। অবিবেচনাপ্রসূত ব্যবহার ও সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে পরিবেশ ও মানুষের বিপদ বাড়ছে।

দেশে যে পরিমাণ প্লাস্টিকের ব্যবহার হয় তার মধ্যে রিসাইকেল করা হয় ৩৬ শতাংশ। সিংহভাগ প্লাস্টিকই ব্যবহারের পর ফেলা হয় যত্রতত্র। প্লাস্টিক সহজে পচে না। মাটিতে বা জলাশয়ে ফেলা প্লাস্টিক পরিবেশের ওপর নানাভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, দেশের ৭৩ শতাংশ মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি মিলেছে। শুধু মাছের মাধ্যমেই নয় নানাভাবে এটা আমাদের খাদ্যের সঙ্গে মিশে যায়, যা একসময় মানুষের দেহে প্রবেশ করে নানা জটিলতা তৈরি করে।

প্লাস্টিক দূষণ থেকে মানুষ ও পরিবেশকে রক্ষা করতে হলে ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে। বর্জ্য যেন যত্রতত্র ফেলা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এর পুনর্ব্যবহার বাড়ানো গেলে পরিবেশ রক্ষার কাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এসব বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা আমাদের আশা।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে

মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২

দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগে রয়েছে উদাসীনতা। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

দুই দশক আগে ২০০২ সালে দেশে প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এখন প্লাস্টিকের তৈরি শপিং ব্যাগ মানুষের হাতে হাতে। কিন্তু এর ব্যবহার বন্ধে নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাট বা কাগজের মতো পরিবেশবান্ধব ব্যাগের উৎপাদন ও ব্যবহার কেন কমল, সেটা একটা প্রশ্ন।

শুধু পণ্য বহনের কাজেই যে প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে, তা নয়। শিল্প ও কৃষিসহ নানা ক্ষেত্রে এর ব্যবহার হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো এর ব্যবহার সুবিধাজনক বা প্রয়োজনীয়। কিন্তু প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে যদি নিয়মনীতি মানা হতো বা প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক হতো তাহলে পরিবেশের ক্ষতি কমানো যেত। অবিবেচনাপ্রসূত ব্যবহার ও সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে পরিবেশ ও মানুষের বিপদ বাড়ছে।

দেশে যে পরিমাণ প্লাস্টিকের ব্যবহার হয় তার মধ্যে রিসাইকেল করা হয় ৩৬ শতাংশ। সিংহভাগ প্লাস্টিকই ব্যবহারের পর ফেলা হয় যত্রতত্র। প্লাস্টিক সহজে পচে না। মাটিতে বা জলাশয়ে ফেলা প্লাস্টিক পরিবেশের ওপর নানাভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, দেশের ৭৩ শতাংশ মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি মিলেছে। শুধু মাছের মাধ্যমেই নয় নানাভাবে এটা আমাদের খাদ্যের সঙ্গে মিশে যায়, যা একসময় মানুষের দেহে প্রবেশ করে নানা জটিলতা তৈরি করে।

প্লাস্টিক দূষণ থেকে মানুষ ও পরিবেশকে রক্ষা করতে হলে ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে। বর্জ্য যেন যত্রতত্র ফেলা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এর পুনর্ব্যবহার বাড়ানো গেলে পরিবেশ রক্ষার কাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এসব বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা আমাদের আশা।

back to top