alt

মতামত » সম্পাদকীয়

খেলার মাঠ রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব

: বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

তেঁতুলতলা মাঠ নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই সেখানে নির্মাণকাজ চালিয়ে নিচ্ছিল পুলিশ। নির্মাণকাজ চালানোর পক্ষে তারা ব্যাখ্যাও দিয়েছিল। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাসহ দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মাঠটি রক্ষার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ শেষ পর্যন্ত অবস্থান পরিবর্তন করেছে।

শিশু-কিশোরদের শারীরিক-মানসিক বিকাশে খেলার মাঠের ভূমিকা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। সমস্যা হচ্ছে, রাজধানীতে খেলার মাঠের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। যেসব মাঠ রয়েছে তাদের অনেকগুলোই আকার-আয়তনে ছোট। সেখানেই শিশু-কিশোরদের একাধিক দল পালাক্রমে বা একসঙ্গে খেলাধুলা করে। অনেক সময় বড়রাও মুক্ত স্থানের পরশ পেতে এসব মাঠে ভাগ বসায়। কোন কারণে মাঠ দখল হলে শিশু-কিশোরদের মতো প্রবীণদেরও ইট-কংক্রিটে বাঁধা পড়তে হয়।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার আয়তন ৩০৫ দশমিক ৪৭ বর্গকিলোমিটার। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনায় প্রতি এক বর্গকিলোমিটার এলাকায় দুটি খেলার মাঠ থাকা বাঞ্ছনীয়। এ হিসাবে ঢাকায় মাঠ থাকার কথা ৬১১টি। অথচ এখানে রয়েছে ২৫৬টি। তবে রাজধানীর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কথা বিবেচনা করলে আরো বেশি সংখ্যক মাঠের প্রয়োজন পড়বে। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী, সাড়ে ১২ হাজার মানুষের জন্য থাকা প্রয়োজন একটি খেলার মাঠ। ঢাকায় কমবেশি রয়েছে ২ কোটি মানুষ। বোধগম্য কারণেই এত বেশি সংখ্যক মানুষের খেলার মাঠের প্রয়োজন মেটানো দুরূহ।

রাজধানীতে মাঠের প্রয়োজন তো মিটছেই না, যাও আছে তারও অনেকগুলো নানান কারণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গত দুই দশকে রাজধানীর ১২৬টি মাঠ অস্তিত্ব হারিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে- মাঠগুলো রক্ষা করবে কে? সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানই যদি নানানভাবে মাঠ দখল করে নেয় তখন নাগরিকদের হতাশার শেষ থাকে না। মাঠের জন্য নাগরিকদের যৌক্তিক দাবিকে যখন উপেক্ষা করা হয় তখন আমরা উদ্বিগ্ন না হয়ে পারি না।

এ নগরে মাঠের বিকল্প খুঁজে বের করা ভার। তবে ভবনের বিকল্প রয়েছে। সরকারি যে কোন ভবন করার জন্য চাইলে জায়গা পাওয়া সম্ভব। এমনকি নতুন করে নির্মাণ না করে ভবন ভাড়া নিয়েও সরকার নাগরিকদের প্রয়োজনীয় অনেক সেবা দিতে পারে বা দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে তেঁতুলতলার খেলার মাঠে থানা নির্মাণ না করাই শ্রেয়।

নাগরিকদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সরকারের। খেলার মাঠ রক্ষা করাও সরকারের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব তারা যথাযথভাবে পালন করছে- সেটাই আমরা দেখতে চাই।

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

খেলার মাঠ রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব

বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

তেঁতুলতলা মাঠ নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই সেখানে নির্মাণকাজ চালিয়ে নিচ্ছিল পুলিশ। নির্মাণকাজ চালানোর পক্ষে তারা ব্যাখ্যাও দিয়েছিল। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দাসহ দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মাঠটি রক্ষার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ শেষ পর্যন্ত অবস্থান পরিবর্তন করেছে।

শিশু-কিশোরদের শারীরিক-মানসিক বিকাশে খেলার মাঠের ভূমিকা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। সমস্যা হচ্ছে, রাজধানীতে খেলার মাঠের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। যেসব মাঠ রয়েছে তাদের অনেকগুলোই আকার-আয়তনে ছোট। সেখানেই শিশু-কিশোরদের একাধিক দল পালাক্রমে বা একসঙ্গে খেলাধুলা করে। অনেক সময় বড়রাও মুক্ত স্থানের পরশ পেতে এসব মাঠে ভাগ বসায়। কোন কারণে মাঠ দখল হলে শিশু-কিশোরদের মতো প্রবীণদেরও ইট-কংক্রিটে বাঁধা পড়তে হয়।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার আয়তন ৩০৫ দশমিক ৪৭ বর্গকিলোমিটার। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনায় প্রতি এক বর্গকিলোমিটার এলাকায় দুটি খেলার মাঠ থাকা বাঞ্ছনীয়। এ হিসাবে ঢাকায় মাঠ থাকার কথা ৬১১টি। অথচ এখানে রয়েছে ২৫৬টি। তবে রাজধানীর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কথা বিবেচনা করলে আরো বেশি সংখ্যক মাঠের প্রয়োজন পড়বে। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী, সাড়ে ১২ হাজার মানুষের জন্য থাকা প্রয়োজন একটি খেলার মাঠ। ঢাকায় কমবেশি রয়েছে ২ কোটি মানুষ। বোধগম্য কারণেই এত বেশি সংখ্যক মানুষের খেলার মাঠের প্রয়োজন মেটানো দুরূহ।

রাজধানীতে মাঠের প্রয়োজন তো মিটছেই না, যাও আছে তারও অনেকগুলো নানান কারণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গত দুই দশকে রাজধানীর ১২৬টি মাঠ অস্তিত্ব হারিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে- মাঠগুলো রক্ষা করবে কে? সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানই যদি নানানভাবে মাঠ দখল করে নেয় তখন নাগরিকদের হতাশার শেষ থাকে না। মাঠের জন্য নাগরিকদের যৌক্তিক দাবিকে যখন উপেক্ষা করা হয় তখন আমরা উদ্বিগ্ন না হয়ে পারি না।

এ নগরে মাঠের বিকল্প খুঁজে বের করা ভার। তবে ভবনের বিকল্প রয়েছে। সরকারি যে কোন ভবন করার জন্য চাইলে জায়গা পাওয়া সম্ভব। এমনকি নতুন করে নির্মাণ না করে ভবন ভাড়া নিয়েও সরকার নাগরিকদের প্রয়োজনীয় অনেক সেবা দিতে পারে বা দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে তেঁতুলতলার খেলার মাঠে থানা নির্মাণ না করাই শ্রেয়।

নাগরিকদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সরকারের। খেলার মাঠ রক্ষা করাও সরকারের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব তারা যথাযথভাবে পালন করছে- সেটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top