alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম প্রসঙ্গে

: বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কম-বেশি অভিযোগ রয়েছে। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই চলছে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসির অনুমোদনের আগেই বিভিন্ন প্রোগ্রামে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা, অবৈধ ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া, সনদ বাণিজ্য ইত্যাদি অভিযোগও রয়েছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়।

এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার বিষয়ে সতর্ক জারি করে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া, স্থায়ী ক্যম্পাসে যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়াসহ নানান ব্যবস্থা নিয়ে থাকে ইউজিসি। সম্প্রতি তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করতে যাচ্ছে ইউজিসি। আইনানুযায়ী নিজস্ব ক্যাম্পাসে যায়নি- এমন ২২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে তারা। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে যদি এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব ক্যাম্পাসে না যায়, তাহলে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া অন্যান্য ক্যাম্পাস বা ভবনগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও সতর্ক করছে ইউজিসি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইউজিসির এমন সতর্কবার্তার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বহুবার এ ধরনের সতর্কবার্তা দিয়েছে তারা। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সতর্ক করেছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের।

আবার ইউজিসি যেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের নানা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। মালিকানার দ্বন্দ্ব থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে শিক্ষা প্রশাসনের একশ্রেণীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এমনকি ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ এসব প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটসহ প্রায় সব সভায় নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন সরকার মনোনীত প্রতিনিধি। এজন্য প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের জন্য সম্মানীরও ব্যবস্থা করা হয়।

অনিয়মের মধ্যে চলা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইউজিসি বলছে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা; কিন্তু শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তরা সিন্ডিকেটের সভায় যাচ্ছে। এতে সেসব প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। তাদের এরকম ভূমিকা জনমনে বিভ্রান্তিও ছড়াচ্ছে। আমরা বলতে চাই, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দ্বৈত ভূমিকা পরিত্যাগ করতে হবে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম-নীতি মানে না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে করে জনমনে কোন বিভ্রান্তি না ছড়ায়।

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম প্রসঙ্গে

বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কম-বেশি অভিযোগ রয়েছে। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই চলছে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসির অনুমোদনের আগেই বিভিন্ন প্রোগ্রামে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা, অবৈধ ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া, সনদ বাণিজ্য ইত্যাদি অভিযোগও রয়েছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়।

এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার বিষয়ে সতর্ক জারি করে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া, স্থায়ী ক্যম্পাসে যাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়াসহ নানান ব্যবস্থা নিয়ে থাকে ইউজিসি। সম্প্রতি তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করতে যাচ্ছে ইউজিসি। আইনানুযায়ী নিজস্ব ক্যাম্পাসে যায়নি- এমন ২২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে তারা। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে যদি এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব ক্যাম্পাসে না যায়, তাহলে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া অন্যান্য ক্যাম্পাস বা ভবনগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও সতর্ক করছে ইউজিসি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইউজিসির এমন সতর্কবার্তার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বহুবার এ ধরনের সতর্কবার্তা দিয়েছে তারা। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সতর্ক করেছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের।

আবার ইউজিসি যেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের নানা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। মালিকানার দ্বন্দ্ব থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে শিক্ষা প্রশাসনের একশ্রেণীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এমনকি ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ এসব প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটসহ প্রায় সব সভায় নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন সরকার মনোনীত প্রতিনিধি। এজন্য প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের জন্য সম্মানীরও ব্যবস্থা করা হয়।

অনিয়মের মধ্যে চলা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইউজিসি বলছে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা; কিন্তু শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তরা সিন্ডিকেটের সভায় যাচ্ছে। এতে সেসব প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। তাদের এরকম ভূমিকা জনমনে বিভ্রান্তিও ছড়াচ্ছে। আমরা বলতে চাই, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দ্বৈত ভূমিকা পরিত্যাগ করতে হবে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম-নীতি মানে না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে করে জনমনে কোন বিভ্রান্তি না ছড়ায়।

back to top