alt

opinion » editorial

দখল হওয়া খাসজমি উদ্ধার করুন

: শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর এক সপ্তাহ পার হয়নি, আবার পুনর্দখল হয়ে গেছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নে। পুনর্দখল করে মুছাপুর ক্লোজারের সামনে ৬০০ একর খাসজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। ফলে বেহাত হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে সরকারের শত কোটি টাকার সম্পত্তি। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

এমন দখল-উচ্ছেদ-পুনর্দখলের খেলা চলছে দেশজুড়েই। এটা একটা দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। দেশের বড় বড় শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও চলছে এমন দখল-উচ্ছেদ-পুনর্দখলের খেলা। রাস্তা-ঘাট-ফুটপাত থেকে শুরু করে নদী-নালা-খাল-বিল-বন-বাদার কোন কিছুই রেহাই পাচ্ছে না। সবকিছুই চলে যাচ্ছে দখলদারদের পেটে।

দখলদারের তালিকায় আছে স্থানীয় প্রভাবশালী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি। যেমনটা ঘটেছে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুরে। সেখানে দখলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য। তার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়নের এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির। আগে মনে করা হতো, এটা রাজধানীসহ বড় বড় শহরের সমস্যা। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে দেশের সব জায়গায় এ সমস্যা ছড়িয়ে পড়ছে।

প্রশ্ন হলো, দখলদারা এত বিস্তৃতভাবে সারা দেশে কীভাবে ছড়িয়ে পড়েছে কেন। এর কারণ হলো তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এর উদাহরণ হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর। সেখানে যারা খাস জায়গা দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের উপস্থিতিতে ভূমি কার্যালয়ের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে দখলকারীরা। এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি, নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। পুনর্দখল করে ঘর নির্মাণের পর প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক কারণে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

অবৈধ স্থাপনা শুধু উচ্ছেদ করলেই হবে না। বরং যারা দখল করে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর এ ধরনের কাজ করতে সাহস না করে। উচ্ছেদের পর যাতে পুনর্দখল হয়ে না যায় সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে। সেখানে নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই এ ব্যবস্থা করতে হবে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

দখল হওয়া খাসজমি উদ্ধার করুন

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর এক সপ্তাহ পার হয়নি, আবার পুনর্দখল হয়ে গেছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নে। পুনর্দখল করে মুছাপুর ক্লোজারের সামনে ৬০০ একর খাসজমিতে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। ফলে বেহাত হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে সরকারের শত কোটি টাকার সম্পত্তি। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

এমন দখল-উচ্ছেদ-পুনর্দখলের খেলা চলছে দেশজুড়েই। এটা একটা দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। দেশের বড় বড় শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও চলছে এমন দখল-উচ্ছেদ-পুনর্দখলের খেলা। রাস্তা-ঘাট-ফুটপাত থেকে শুরু করে নদী-নালা-খাল-বিল-বন-বাদার কোন কিছুই রেহাই পাচ্ছে না। সবকিছুই চলে যাচ্ছে দখলদারদের পেটে।

দখলদারের তালিকায় আছে স্থানীয় প্রভাবশালী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি। যেমনটা ঘটেছে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুরে। সেখানে দখলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য। তার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়নের এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির। আগে মনে করা হতো, এটা রাজধানীসহ বড় বড় শহরের সমস্যা। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে দেশের সব জায়গায় এ সমস্যা ছড়িয়ে পড়ছে।

প্রশ্ন হলো, দখলদারা এত বিস্তৃতভাবে সারা দেশে কীভাবে ছড়িয়ে পড়েছে কেন। এর কারণ হলো তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এর উদাহরণ হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর। সেখানে যারা খাস জায়গা দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের উপস্থিতিতে ভূমি কার্যালয়ের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে দখলকারীরা। এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি, নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। পুনর্দখল করে ঘর নির্মাণের পর প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক কারণে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

অবৈধ স্থাপনা শুধু উচ্ছেদ করলেই হবে না। বরং যারা দখল করে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর এ ধরনের কাজ করতে সাহস না করে। উচ্ছেদের পর যাতে পুনর্দখল হয়ে না যায় সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে। সেখানে নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই এ ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top