alt

opinion » editorial

ফল পাকাতে রাসায়নিকের ব্যবহার প্রসঙ্গে

: শুক্রবার, ০৬ মে ২০২২

মৌসুমের আগে আধাপাকা ফল কার্বাইড ও ইথোফেন দিয়ে পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন আশঙ্কা দেখা দেয়া অবশ্য অমূলক নয়। কারণ, অতীতে কার্বাইড দিয়ে ফল পাকিয়ে বিক্রি করেতে দেখা গেছে। মূলত মৌসুমের আগে ফল বাজারে বিক্রি করার জন্য এ কারসাজি করা হয়। এ সময় দাম বেশি পাওয়ায় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার আশায় এ কাজ করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে নানা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উঠে এসেছে, ফল পাকাতে নির্ধারিত মাত্রায় রাসায়নিক ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয় না। সমস্যা হচ্ছে, দেশে মৌসুমি ফলের মধ্যে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক অতিমাত্রায় ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া ‘নির্দিষ্ট পরিমাণ, কীভাবে নির্ধারণ করা হবে এবং সে অনুযায়ী তার ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে, সেটা একটা প্রশ্ন। আর এ কারণেই জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো ফল খেলে লিভার, কিডনি ও পাকস্থলীর সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমনকি ক্যানসারও হতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য এসব ফল মারাত্মক ক্ষতিকর। অতিরিক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করলে ফলের স্বাদও নষ্ট হয়ে যায়।

তাই কার্বাইড, ইথোফেনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক আমদানি, বিক্রি, ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত যেসব আইন ও বিধিমালা রয়েছে, সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করেতে হবে। তাহলে ফলে অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানোর মন্দ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হবে।

পাশাপাশি ক্রেতাদের সচেতন হতে হবে। ক্রেতা-সচেতনতা না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে কোন চাপ অনুভব করেন না। ক্রেতা সাধারণের বুঝতে হবে, মৌসুমের আগে কোন ফল পাকানো হলে তাতে অতি মাত্রায় রাসায়নিক মেশানোর আশঙ্কা থাকে। তারা যদি ধৈর্য ধরে ফলের মৌসুম আসার অপেক্ষা করেন তাহলে যেমন স্বাস্থ্য সুরক্ষা হবে, তেমনি অর্থও সাশ্রয় হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

ফল পাকাতে রাসায়নিকের ব্যবহার প্রসঙ্গে

শুক্রবার, ০৬ মে ২০২২

মৌসুমের আগে আধাপাকা ফল কার্বাইড ও ইথোফেন দিয়ে পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন আশঙ্কা দেখা দেয়া অবশ্য অমূলক নয়। কারণ, অতীতে কার্বাইড দিয়ে ফল পাকিয়ে বিক্রি করেতে দেখা গেছে। মূলত মৌসুমের আগে ফল বাজারে বিক্রি করার জন্য এ কারসাজি করা হয়। এ সময় দাম বেশি পাওয়ায় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার আশায় এ কাজ করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে নানা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উঠে এসেছে, ফল পাকাতে নির্ধারিত মাত্রায় রাসায়নিক ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয় না। সমস্যা হচ্ছে, দেশে মৌসুমি ফলের মধ্যে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক অতিমাত্রায় ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া ‘নির্দিষ্ট পরিমাণ, কীভাবে নির্ধারণ করা হবে এবং সে অনুযায়ী তার ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে, সেটা একটা প্রশ্ন। আর এ কারণেই জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো ফল খেলে লিভার, কিডনি ও পাকস্থলীর সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমনকি ক্যানসারও হতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য এসব ফল মারাত্মক ক্ষতিকর। অতিরিক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ করলে ফলের স্বাদও নষ্ট হয়ে যায়।

তাই কার্বাইড, ইথোফেনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক আমদানি, বিক্রি, ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত যেসব আইন ও বিধিমালা রয়েছে, সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করেতে হবে। তাহলে ফলে অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানোর মন্দ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হবে।

পাশাপাশি ক্রেতাদের সচেতন হতে হবে। ক্রেতা-সচেতনতা না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে কোন চাপ অনুভব করেন না। ক্রেতা সাধারণের বুঝতে হবে, মৌসুমের আগে কোন ফল পাকানো হলে তাতে অতি মাত্রায় রাসায়নিক মেশানোর আশঙ্কা থাকে। তারা যদি ধৈর্য ধরে ফলের মৌসুম আসার অপেক্ষা করেন তাহলে যেমন স্বাস্থ্য সুরক্ষা হবে, তেমনি অর্থও সাশ্রয় হবে।

back to top