রেলওয়ের পাকশী বিভাগের ঈশ্বরদী সদর দপ্তরের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) মো. শফিকুল ইসলামকে বরখাস্তের আদেশ আজ প্রত্যাহার করা হয়েছে। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামের তিন আত্মীয়কে জরিমানা করার ঘটনার জের ধরে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
কেউ বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াই টিটিইর কাজ। রেলমন্ত্রীর তিন আত্মীয় টিকিট ছাড়াই এসি কামরায় ভ্রমণ করছিলেন। তাদের কাছ থেকে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করে টিটিই তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। উক্ত তিন যাত্রীর পরিচয় জানবার পরও যে তিনি তার দায়িত্ব ভুলে জাননি সেজন্য তাকে সাধুবাদ দেয়া যেতে পারে।
কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তির পরিচয়ে দায়িত্বরত টিটিইকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়া হয়েছিল। তাতেও কাজ না হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে তাকে বরখাস্ত করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করার পূর্বে ঘটনা তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন অনুভব করেনি।
বলা হয়ে থাকে, আইন সবার জন্য সমান। দেশে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ ঘটে না বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বিনা টিকিটে মন্ত্রীর তিন আত্মীয়ের ভ্রমণের ঘটনায় এই অভিযোগ আরও জোরালো হলো। প্রভাবশালীরা শুধু আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েই ক্ষান্ত হন না। আইনের ঊর্ধ্বে থেকে চলার জন্য সব অন্যায় প্রচেষ্টাও তারা চালান। যে কারণে দায়িত্ব পালন করা টিটিইকে বরখাস্ত হতে হয়।
টিটিইর বিরুদ্ধে যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগের তদন্ত হতে পারে। তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তির স্ত্রীর হুকুমে কোন ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ দেশের আইনে নেই। বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা উক্ত যাত্রীদের একজনের স্বজন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘রেলমন্ত্রীর স্ত্রী রেলওয়ের একজন কর্মকর্তাকে ফোন করে টিটিইকে বরখাস্ত করতে বলেছিলেন।’
আমরা জানতে চাইব যে, রেলওয়েতে দায়িত্বরত কোন ব্যক্তিকে বরখাস্ত করতে বলার এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর স্ত্রীর রয়েছে কিনা। না থাকলে এ ধরনের কর্মকান্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরাই বা কেন মন্ত্রীর স্ত্রীর কথায় ওঠবস করলেন সেটারও তদন্ত হওয়া দরকার। পুরো ঘটনায় রেলমন্ত্রী কতটা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে পেরেছেন সেই প্রশ্ন উঠেছে।
উল্লিখিত ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি যেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করব, প্রভাবশালী কেউ তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা করবে না।
 ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            রোববার, ০৮ মে ২০২২
রেলওয়ের পাকশী বিভাগের ঈশ্বরদী সদর দপ্তরের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) মো. শফিকুল ইসলামকে বরখাস্তের আদেশ আজ প্রত্যাহার করা হয়েছে। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামের তিন আত্মীয়কে জরিমানা করার ঘটনার জের ধরে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
কেউ বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াই টিটিইর কাজ। রেলমন্ত্রীর তিন আত্মীয় টিকিট ছাড়াই এসি কামরায় ভ্রমণ করছিলেন। তাদের কাছ থেকে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করে টিটিই তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। উক্ত তিন যাত্রীর পরিচয় জানবার পরও যে তিনি তার দায়িত্ব ভুলে জাননি সেজন্য তাকে সাধুবাদ দেয়া যেতে পারে।
কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তির পরিচয়ে দায়িত্বরত টিটিইকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়া হয়েছিল। তাতেও কাজ না হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে তাকে বরখাস্ত করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করার পূর্বে ঘটনা তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন অনুভব করেনি।
বলা হয়ে থাকে, আইন সবার জন্য সমান। দেশে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ ঘটে না বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বিনা টিকিটে মন্ত্রীর তিন আত্মীয়ের ভ্রমণের ঘটনায় এই অভিযোগ আরও জোরালো হলো। প্রভাবশালীরা শুধু আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েই ক্ষান্ত হন না। আইনের ঊর্ধ্বে থেকে চলার জন্য সব অন্যায় প্রচেষ্টাও তারা চালান। যে কারণে দায়িত্ব পালন করা টিটিইকে বরখাস্ত হতে হয়।
টিটিইর বিরুদ্ধে যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগের তদন্ত হতে পারে। তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তির স্ত্রীর হুকুমে কোন ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ দেশের আইনে নেই। বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা উক্ত যাত্রীদের একজনের স্বজন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘রেলমন্ত্রীর স্ত্রী রেলওয়ের একজন কর্মকর্তাকে ফোন করে টিটিইকে বরখাস্ত করতে বলেছিলেন।’
আমরা জানতে চাইব যে, রেলওয়েতে দায়িত্বরত কোন ব্যক্তিকে বরখাস্ত করতে বলার এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর স্ত্রীর রয়েছে কিনা। না থাকলে এ ধরনের কর্মকান্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরাই বা কেন মন্ত্রীর স্ত্রীর কথায় ওঠবস করলেন সেটারও তদন্ত হওয়া দরকার। পুরো ঘটনায় রেলমন্ত্রী কতটা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে পেরেছেন সেই প্রশ্ন উঠেছে।
উল্লিখিত ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি যেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করব, প্রভাবশালী কেউ তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা করবে না।
