আইন অনুযায়ী মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সব পৌর এলাকার খেলার মাঠ অন্য কোনভাবে ব্যবহার করা যাবে না বা অনুরূপ ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা যাবে না। কিন্তু প্রায়ই আইনের ব্যত্যয় ঘটতে দেখা যায়। খেলার মাঠে দোকানপাট বসে, মেলার আয়োজন করা হয়, নির্মাণসমাগ্রী রাখা হয়। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, খেলার মাঠ দখল বা সেখানে আইনবহির্ভূত কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নাম কখনও কখনও উঠে আসে।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার আরআরএন পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ দখল করে মাসব্যাপী শিল্পপণ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ তাঁত শিল্প শিক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় এ মেলার আয়োজনে থাকছে গাজীপুর জেলা পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)। কিন্তু সেখানে মেলা বসানোর জন্য কে বা কারা অনুমোদন দিয়েছে তা স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলছে না সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষই। এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে।
দেশজুড়েই খেলার মাঠ কমছে। কোথাও নতুন করে কোন খেলার মাঠ হচ্ছে কি-না, সেটা গবেষণার বিষয়। কিন্তু খেলার মাঠ যে দখল হয়ে যাচ্ছে এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন দেখা যায়। সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, শুধু রাজধানীতেই খেলার মাঠ দখল বা অপব্যবহার করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, রাজধানীর বাইরেও যেমন দখল হচ্ছে, তেমনি হচ্ছে অপব্যবহারও। ফলে শিশু-কিশোরসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী বঞ্চিত হচ্ছে মাঠের সুযোগ-সুবিধা থেকে। মেলার প্রস্তুতির সময় থেকে যেমনটা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত রয়েছে কালীগঞ্জের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
শিশু-কিশোরদের পর্যাপ্ত খেলাধুলা ও সুষ্ঠু বিনোদনের অভাবে এলাকায় এলাকায় গড়ে উঠছে কিশোর গ্যাং। তারা জড়িয়ে পড়ছে নানা অনৈতিক কাজে। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীসহ প্রশাসনের উদ্বেগ দেখতে পাই। এমন অবস্থায় শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা ও সুষ্ঠু বিনোদনে উন্মুক্ত খেলার মাঠের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এই গুরুত্ব সংশ্লিষ্ট কেউ উপলব্ধি করছে বলে মনে হয় না। খেলার মাঠের যথেচ্ছ ব্যবহার দেখে অন্তত তাই মনে হয়। একটি মাঠে যে শুধু খেলাধুলাই চলে তা নয়. অনেকে উন্মুত্ত মাঠে হাঁটাচলা করেন, বুক ভরে নিঃশ্বাস নেন, শরীর চর্চা করেন, বয়স্করা সকাল-বিকাল অবকাশ যাপন করেন।
আমরা বলতে চাই, খেলার মাঠ খেলার জন্যই রাখতে হবে। সেখানে শিশু-কিশোরদের নির্বিঘ্নে খেলার সুযোগ দিতে হবে। শিল্পপণ্য মেলার প্রয়োজন রয়েছে। তবে খেলার মাঠেই কেন এর আয়োজন করতে হবে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। বিকল্প কোন জায়গায় বা ব্যবস্থায় মেলার আয়োজন করা যেতে পারে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১১ মে ২০২২
আইন অনুযায়ী মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সব পৌর এলাকার খেলার মাঠ অন্য কোনভাবে ব্যবহার করা যাবে না বা অনুরূপ ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা যাবে না। কিন্তু প্রায়ই আইনের ব্যত্যয় ঘটতে দেখা যায়। খেলার মাঠে দোকানপাট বসে, মেলার আয়োজন করা হয়, নির্মাণসমাগ্রী রাখা হয়। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, খেলার মাঠ দখল বা সেখানে আইনবহির্ভূত কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নাম কখনও কখনও উঠে আসে।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার আরআরএন পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ দখল করে মাসব্যাপী শিল্পপণ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ তাঁত শিল্প শিক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় এ মেলার আয়োজনে থাকছে গাজীপুর জেলা পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)। কিন্তু সেখানে মেলা বসানোর জন্য কে বা কারা অনুমোদন দিয়েছে তা স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলছে না সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষই। এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে।
দেশজুড়েই খেলার মাঠ কমছে। কোথাও নতুন করে কোন খেলার মাঠ হচ্ছে কি-না, সেটা গবেষণার বিষয়। কিন্তু খেলার মাঠ যে দখল হয়ে যাচ্ছে এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন দেখা যায়। সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, শুধু রাজধানীতেই খেলার মাঠ দখল বা অপব্যবহার করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, রাজধানীর বাইরেও যেমন দখল হচ্ছে, তেমনি হচ্ছে অপব্যবহারও। ফলে শিশু-কিশোরসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী বঞ্চিত হচ্ছে মাঠের সুযোগ-সুবিধা থেকে। মেলার প্রস্তুতির সময় থেকে যেমনটা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত রয়েছে কালীগঞ্জের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
শিশু-কিশোরদের পর্যাপ্ত খেলাধুলা ও সুষ্ঠু বিনোদনের অভাবে এলাকায় এলাকায় গড়ে উঠছে কিশোর গ্যাং। তারা জড়িয়ে পড়ছে নানা অনৈতিক কাজে। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীসহ প্রশাসনের উদ্বেগ দেখতে পাই। এমন অবস্থায় শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা ও সুষ্ঠু বিনোদনে উন্মুক্ত খেলার মাঠের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এই গুরুত্ব সংশ্লিষ্ট কেউ উপলব্ধি করছে বলে মনে হয় না। খেলার মাঠের যথেচ্ছ ব্যবহার দেখে অন্তত তাই মনে হয়। একটি মাঠে যে শুধু খেলাধুলাই চলে তা নয়. অনেকে উন্মুত্ত মাঠে হাঁটাচলা করেন, বুক ভরে নিঃশ্বাস নেন, শরীর চর্চা করেন, বয়স্করা সকাল-বিকাল অবকাশ যাপন করেন।
আমরা বলতে চাই, খেলার মাঠ খেলার জন্যই রাখতে হবে। সেখানে শিশু-কিশোরদের নির্বিঘ্নে খেলার সুযোগ দিতে হবে। শিল্পপণ্য মেলার প্রয়োজন রয়েছে। তবে খেলার মাঠেই কেন এর আয়োজন করতে হবে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। বিকল্প কোন জায়গায় বা ব্যবস্থায় মেলার আয়োজন করা যেতে পারে।