alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পাসপোর্ট অফিসকে দালালমুক্ত করুন

: বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২

ফেনীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালাল ছাড়া কোনো সেবা মেলে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে দালাল চক্রকে ঘিরে কোটি কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয় বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দালাল চক্রের কারণে সেবাগ্রহীতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা, পোহাতে হচ্ছে নানান ভোগান্তি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও জানে। কখনো কখনো অভিযান চালিয়ে দালালদের গ্রেপ্তারও করা হয়। তবে তাতে কোনই সমাধান মেলে না।

কেবল ফেনী নয়, দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসেও দালালদের দৌরাত্ম্য দেখা যায়। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়েই তারা নির্বিঘ্নে অপকর্ম করে। কালেভদ্রে অভিযান চালিয়ে দু-চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও দালালদের সংখ্যা দু-চারজনে সীমিত নয়। যাদের গ্রেপ্তার করা হয় তাদের কী সাজা হয়- সেটাই একটা প্রশ্ন।

অভিযোগ আছে দালাল চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণীর সদস্যও এ চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ মেলে। পাসপোর্ট অফিসের সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে দালালরা যে অর্থ আদায় করে তার একটি অংশ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও পায়। যে কারণে দালাল চক্র বহাল তবিয়তেই থাকে। সব আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে রীতিমতো দোকান খুলে তারা দালালি করে। এ নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে উঠলে, গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে লোক দেখানো অভিযান চালানো হয়। অভিযানের পর আবার দালালচক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে।

আমরা দালালমুক্ত পাসপোর্ট অফিস দেখতে চাই। সেবাগ্রহীতারা নির্বিঘ্নে পাসপোর্ট পাচ্ছে সেটাই কাম্য। ফেনীসহ সব এলাকার পাসপোর্ট অফিসের দালালদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাদের যারা নানানভাবে মদদ দেয় বা তাদের কাছ থেকে মাসোহারা নেয় সেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। শর্ষের ভূত না তাড়ালে টেকসই সমাধান মিলবে না।

অভিযোগ আছে দালালচক্রের সঙ্গে জড়িতরা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের আশীর্বাদপুষ্ট। যে কারণে অনেক সময় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না। দালালদের যেন রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া না হয়- সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পাসপোর্ট অফিসকে দালালমুক্ত করুন

বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২

ফেনীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালাল ছাড়া কোনো সেবা মেলে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে দালাল চক্রকে ঘিরে কোটি কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয় বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দালাল চক্রের কারণে সেবাগ্রহীতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা, পোহাতে হচ্ছে নানান ভোগান্তি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও জানে। কখনো কখনো অভিযান চালিয়ে দালালদের গ্রেপ্তারও করা হয়। তবে তাতে কোনই সমাধান মেলে না।

কেবল ফেনী নয়, দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসেও দালালদের দৌরাত্ম্য দেখা যায়। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়েই তারা নির্বিঘ্নে অপকর্ম করে। কালেভদ্রে অভিযান চালিয়ে দু-চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও দালালদের সংখ্যা দু-চারজনে সীমিত নয়। যাদের গ্রেপ্তার করা হয় তাদের কী সাজা হয়- সেটাই একটা প্রশ্ন।

অভিযোগ আছে দালাল চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণীর সদস্যও এ চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ মেলে। পাসপোর্ট অফিসের সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে দালালরা যে অর্থ আদায় করে তার একটি অংশ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও পায়। যে কারণে দালাল চক্র বহাল তবিয়তেই থাকে। সব আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে রীতিমতো দোকান খুলে তারা দালালি করে। এ নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে উঠলে, গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে লোক দেখানো অভিযান চালানো হয়। অভিযানের পর আবার দালালচক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে।

আমরা দালালমুক্ত পাসপোর্ট অফিস দেখতে চাই। সেবাগ্রহীতারা নির্বিঘ্নে পাসপোর্ট পাচ্ছে সেটাই কাম্য। ফেনীসহ সব এলাকার পাসপোর্ট অফিসের দালালদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাদের যারা নানানভাবে মদদ দেয় বা তাদের কাছ থেকে মাসোহারা নেয় সেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। শর্ষের ভূত না তাড়ালে টেকসই সমাধান মিলবে না।

অভিযোগ আছে দালালচক্রের সঙ্গে জড়িতরা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের আশীর্বাদপুষ্ট। যে কারণে অনেক সময় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না। দালালদের যেন রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া না হয়- সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top