alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত

: শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২

আমদানি ব্যয় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ। অবশ্য গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩৫ শতাংশের বেশি। কিন্তু আমদানির তুলনায় রপ্তানি কম হওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেড়ে গেছে। অন্যদিকে টান পড়েছে প্রবাসী আয়ে। চাহিদা বাড়ছে ডলারের। এসবের প্রভাব পড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে। ৪ হাজার ১৯৫ কোটি ডলারের রিজার্ভ দিয়ে আগামী পাঁচ মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

এই অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ করা, কম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ পিছিয়ে দেয়া, বিলাস পণ্যের আমদানিতে লাগাম টানার মতো সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি ছিল। আমরা মনে করি, সরকার সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পেরেছে। এর ফলে রিজার্ভের ওপর চাম কমবে।

সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ হলে রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় হবে। নানা অজুহাতে বিদেশ সফরের নামে একশ্রেণীর কর্মকর্তা জনগণের করের টাকা ধ্বংস করেন। তারা এমন সব উদ্ভট প্রকল্পের নামে বিদেশ সফর করেন যা তামাশার নামান্তর। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ড যাবে বাংলাদেশের ৪৩ জন প্রতিনিধির একটি দল। সরকার অবশ্য ২৫ জনের ব্যয় বহন করবে। প্রশ্ন হচ্ছে, এত বড় একটি দল শ্রম সম্মেলনে গিয়ে কী করবে। আমরা মনে করি, অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর সব সময়ের জন্যই বন্ধ করে দেয়া উচিত। তথাকথিত সফরের নামে রাষ্ট্রের অর্থের হরিলুট বন্ধ করতে হবে।

কম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তও সময়োপোযোগী। রিজার্ভের ওপর চাপ তৈরি করে এমন কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এখন বাস্তবায়ন না করাই ভালো। ভবিষ্যতে প্রকল্প নেয়ার আগে যাচাই-বাছাই করতে হবে। কোন অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প যেন হাতে নেয়া না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প হাতে নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কা কী বিপদে পড়েছে সেটা সব সময়ের জন্য মনে রাখতে হবে।

যদিও বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনীয় নয়। তবে রিজার্ভ কমে আসায় দেশের অর্থনীতিতে এক ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। এতে এখনি হয়তো শঙ্কিত হওয়ার তেমন কিছু নেই। তবে সরকার উল্লিখিত ব্যবস্থাগুলো না নিলে বা নিতে বিলম্ব করলে অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়তে পারত।

মহামারী আর যুদ্ধের প্রভাবে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোই হিমশিম খাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার অবস্থা নাজুক। পাকিস্তানের অবস্থা ভালো নয়। অন্যদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে পথ চলতে হবে। তাহলে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতে পারে।

আমদানি ব্যয়ের লাগাম টানার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছিল। মূলত আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও লেনদেনে ভারসাম্য রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিলাসপণ্য আমদানিতে লাগাম টানার উদ্যোগ সফল হলে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে বলে আশা করা যায়।

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত

শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২

আমদানি ব্যয় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ। অবশ্য গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩৫ শতাংশের বেশি। কিন্তু আমদানির তুলনায় রপ্তানি কম হওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেড়ে গেছে। অন্যদিকে টান পড়েছে প্রবাসী আয়ে। চাহিদা বাড়ছে ডলারের। এসবের প্রভাব পড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে। ৪ হাজার ১৯৫ কোটি ডলারের রিজার্ভ দিয়ে আগামী পাঁচ মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

এই অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ করা, কম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ পিছিয়ে দেয়া, বিলাস পণ্যের আমদানিতে লাগাম টানার মতো সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি ছিল। আমরা মনে করি, সরকার সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পেরেছে। এর ফলে রিজার্ভের ওপর চাম কমবে।

সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ হলে রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় হবে। নানা অজুহাতে বিদেশ সফরের নামে একশ্রেণীর কর্মকর্তা জনগণের করের টাকা ধ্বংস করেন। তারা এমন সব উদ্ভট প্রকল্পের নামে বিদেশ সফর করেন যা তামাশার নামান্তর। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ড যাবে বাংলাদেশের ৪৩ জন প্রতিনিধির একটি দল। সরকার অবশ্য ২৫ জনের ব্যয় বহন করবে। প্রশ্ন হচ্ছে, এত বড় একটি দল শ্রম সম্মেলনে গিয়ে কী করবে। আমরা মনে করি, অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর সব সময়ের জন্যই বন্ধ করে দেয়া উচিত। তথাকথিত সফরের নামে রাষ্ট্রের অর্থের হরিলুট বন্ধ করতে হবে।

কম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তও সময়োপোযোগী। রিজার্ভের ওপর চাপ তৈরি করে এমন কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এখন বাস্তবায়ন না করাই ভালো। ভবিষ্যতে প্রকল্প নেয়ার আগে যাচাই-বাছাই করতে হবে। কোন অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প যেন হাতে নেয়া না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প হাতে নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কা কী বিপদে পড়েছে সেটা সব সময়ের জন্য মনে রাখতে হবে।

যদিও বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনীয় নয়। তবে রিজার্ভ কমে আসায় দেশের অর্থনীতিতে এক ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। এতে এখনি হয়তো শঙ্কিত হওয়ার তেমন কিছু নেই। তবে সরকার উল্লিখিত ব্যবস্থাগুলো না নিলে বা নিতে বিলম্ব করলে অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়তে পারত।

মহামারী আর যুদ্ধের প্রভাবে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোই হিমশিম খাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার অবস্থা নাজুক। পাকিস্তানের অবস্থা ভালো নয়। অন্যদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে পথ চলতে হবে। তাহলে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতে পারে।

আমদানি ব্যয়ের লাগাম টানার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছিল। মূলত আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও লেনদেনে ভারসাম্য রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিলাসপণ্য আমদানিতে লাগাম টানার উদ্যোগ সফল হলে বাণিজ্য ঘাটতি কমবে বলে আশা করা যায়।

back to top